Showing posts with label Tips and Tricks. Show all posts
Showing posts with label Tips and Tricks. Show all posts

Microsoft Office 2016 এর নতুন কিছু ফিচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

Microsoft Office 2016
Microsoft Office 2016 সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের অফিস অ্যাপসের সবচেয়ে আপডেট ভার্সন গুলোর একটি। এটি অফিস ২০১৩ এর পরবর্তী সংস্করণ। এই সফটওয়্যারটি একই সাথে ডেস্কটপ, নোটবুক, ফোন ও ট্যাবলেটে সার্পোট করবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টটেশনের কাজও এই সফটওয়্যারটি দ্বারা করা যাবে। পাশাপাশি এই সফটওয়্যারটিতে টেল মি টুল ও ইমেজ রোটেশন নামে দুটি নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে। আপনি চাইলে সহজেই মাইক্রোসফট অফিস ২০১৬ এর প্রাক সংস্করণ ব্যবহার করতে পারেন। আর এ জন্য আপনাকে মাইক্রোসফট কানেক্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে। নিচে Microsoft Office 2016 সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Microsoft Word 2016

গুগল ডক্সের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সহযোগীতার জন্য যা অন্যান্য অফিস সফটওয়্যার গুলোর চেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভালো। Microsoft Word 2016 এর সাথে এই বৈশিষ্ট্য গুলোর কিছু কিছু যোগ করা হয়েছে। অফিস ২০১৬ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ওয়েব ও ডেস্কটপ ওয়ার্ড অ্যাপ্লিকেশান উভয়টিই পাশাপাশি ভালো ভাবে কাজ করে। এই সফটওয়্যারটির সাথে স্কাইপ ভিডিও চ্যাটিং অপশন একীভূত করা হয়েছে।



Microsoft office 2016
ফলে আপনি আপনার টিমম্যাটদের সাথে ভিডিও চ্যাটিং এর মাধ্যমে একই সাথে কাজ করার পাশাপাশি কাজের মাত্রা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। একটি ডকুমেন্ট ওপেন করার পর শেয়ার বাটন চেপে আপনি সহজেই আপনার অনুমোদিত টিমম্যাট বা বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে যোগ দিতে পারবেন। আপনার ভিডিও কলটি আপনার বন্ধুর দ্বারা একসেপ্ট হওয়ার পর আপনি এটি মিনিমাইজ করে ওয়ার্ড ডকুমেন্টে দু জন দু জনের ফেইস দেখে কথা ও কাজ এক সাথে সম্পন্ন করতে পারবেন।  তাছাড়া এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধু বা টিমম্যাটদেরকে তাৎক্ষণিক ভাবে ম্যাসেজ বা ইমেইলও করতে পারবেন। তবে ভিডিও কলে আপনার বন্ধু বা টিমম্যাটদের সাথে যোগাযোগ করতে হলে তাদেরকে অবশ্যই অনলাইনে একটিভ থাকতে হবে।

Microsoft Office 2016 Outlook

Microsoft Office 2016 সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে একই ডকুমেন্ট একাধিক জন দেখতে ও এডিট করতে পারে। আর এই কাজটি অত্যন্ত সহজ। মূলত অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এই সব ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশান গুলোর টুলবারের ডান পাশে একটি শেয়ার বাটন রাখা হয়েছে।



Microsoft Office 2016
Microsoft জানে যে ক্লাউড ভিত্তিক ডকুমেন্ট গুলো ব্যবহারকারীরা তাদের সহকর্মীদেরকে ইমেইল করে থাকে এবং ইমেইল পাওয়ার পর সহকর্মীরা অনেক বার ডাউনলোড করলে ইডিট করার অনুমতি থাকে না। ফলে তারা ইডিট করতে পারে না। অনেক সময় এই ফাইল গুলো ওপেনই করা যায় না। অথবা ওপেন করা গেলেও ইডিট করা যায় না।
আউটলুক ২০১৬ তে আপনি যখন কোন ডকুমেন্ট যোগ করে ওয়ানড্রাইভ ফোল্ডারে সংরক্ষণ করবেন এবং এটি কাউকে ইমেইল করবেন তখন প্রাপক স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফাইলটি ইডিট করার অনুমতি পাবেন। প্রাপক যদি আউটলুক ব্যবহার করে থাকেন তবে ডকুমেন্টটি একটি সংযুক্ত আইকন হিসেবে প্রদর্শিত হবে। যা ঐ ব্যক্তি সহজেই ওপেন করতে পারবেন।

Custom User Group

অফিস অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করে এমন সংস্থায় যদি আপনি কর্মরত থাকেন এবং একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে আপনাকে দুটি বিকল্পের যে কোন একটি বিকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর সে জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগকে আপনার জন্য একটি গ্রুপ মেইলিং এড্রেস তৈরি করতে বলুন অথবা প্রতিটি মেইলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট সঠিক মানুষদের মনে রাখতে হবে।
আউটলুক ২০১৬ তে কোন সংস্থায় কর্মরত ব্যবহারকারীরা নিজস্ব কাস্টমস গ্রুপ তৈরি করতে পারবে এবং নিজে নিজেই সেই গ্রুপের অন্যদেরকে আমন্ত্রণ করতে পারবে। আউটলুক উইন্ডোর বাম পাশে ইমেইল বক্সের নিচে আপনার গ্রুপের সদস্যদের তালিকা প্রদর্শিত হবে। গ্রুপ তৈরির পর আপনাকে আপনার সদস্যদের গ্রুপে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। আর আমন্ত্রণ গ্রহণের পর চাইলে অন্য সদস্যরাও মানুষদেরকে গ্রুপে যুক্ত করতে পারবে।

New Excel Chart

মাইক্রোসফট এক্সেলে চারটি নতুন ধরনের চার্ট যুক্ত করেছে। যা আপনাকে তাজা ও আর্কষণীয় ভাবে তথ্য উপস্থাপনে সহায়তা করবে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌতুহলী চার্ট হলো ওয়াটারফল চার্ট। যা বেসলাইন বরাবর উপরে বা নিচে একটি উলম্ব বার প্রদর্শন করে। মাইক্রোসফট কতৃপক্ষ বলছে ওয়াটারফল আর্থিক তথ্যের জন্য ভালো।
অন্যান্য চার্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রি ম্যাপ, বিভিন্ন আইটেমের কাল্পনিক মূল্যের চার্ট ও সানবার্ট চার্ট ইত্যাদি।

Office Theme




Microsoft Office 2016
অফিস ২০১৩ এ বার ও রিবন গুলো অনমনীয় সাদা রঙের। যা একে অপরের থেকে আলাদা। কিন্তু অফিস ২০১৬ ব্যবহারের ফলে অনমনীয় সাদা থিম, গাঢ় ধূসর থিম কিংবা অন্য রঙিন থিম ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অফিস ২০১৬ তে ওয়ার্ডের জন্য নীল, আউটলুকের জন্য হালকা নীল, এক্সেলের জন্য সবুজ ও পাওয়ার পয়েন্টের জন্য লাল রং রয়েছে।

Smart Lookup

আপনি যদি একটি ডকুমেন্ট দেখা বা ইডিট করার সময় যে শব্দ বা বাক্যটি শিখতে চান তা সহজেই দেখতে হলে হাইলাইট করতে পারেন। আর এ জন্য আপনাকে ডান বাটন ক্লিক করে স্মার্ট লুকআপ নির্বাচন করতে হবে। তারপর অ্যাপসের ডান পাশে উল্লেখিত বাক্যাংশটির কিছু নিবন্ধ ও ফটো দেখা যাবে। এটি ওয়ার্ড, এক্সেল ও আউটলুক সহ প্রায় সব অফিস অ্যাপ্লিকেশান গুলোতে কাজ করে। তাছাড়া এটি আপনি হাইলাইট করেননি এমন কিছু প্রেক্ষাপটও তৈরি করতে পারে।
আশা করি মাইক্রোসফট অফিস নিয়ে রিভিউ আপনাদের ভাল লেগেছে। আবারও পরবর্তী কোন নতুন ও লেটেস্ট প্রোডাক্ট নিয়ে নতুন লেখা নিয়ে ফিরে আসব। আমাদের সাথেই থাকবেন।
আপনাদের প্রশ্ন বা মতামত নিচের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের প্রশ্ন ও মতামতের গুরুত্ব সবসময় দিয়ে থাকি। 

কিভাবে নগদ একাউন্ট (Nagad Account) করতে হয় দেখে নিন বিস্তারিত

 কিভাবে নগদ একাউন্ট (Nagad Account) করতে হয়
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি।

আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইট কে ভালোবেসে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন আপনাদেরকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করে ট্রিকবিডি সর্বদা।

আজকে আমি একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যার নাম নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট।

আপনারা নিশ্চয়ই এই Service নাম শুনেছেন যা Bkash এর মতন সকল সিস্টেম ।

তবে Bkash এর মতন system হলে ও Bkash এর চাইতে ভালো সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে এই নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ….

নগদ এর সার্ভিস নিয়ে কিছু আলোচনা করবো বিস্তারিত details post অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন
নগদ এর সুবিধা
  1.  টাকা লেনদেন করতে পারবেন মোবাইল এর মাধ্যমে।
  2.  সেন্ড মানি করতে পারবেন ফ্রিতে
  3.  ক্যাশ আউট করতে পারবেন খুব সহজে মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে 1.70% অর্ডার কোড এর মাধ্যমে 1.80% সার্ভিস চার্জ
  4.  মোবাইল রিচার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি
  5.  প্রতি মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্যাশ আউট করতে
  6.  সেন্ড মানি 5 লক্ষ টাকা প্রতি মাসে করতে পারবেন
সার্ভিস চার্জ এর পরিমাণ
সেবার নাম  চার্জ(App)চার্জ(USSD)
ক্যাশ ইনফ্রিফ্রি
সেন্ড মানিফ্রি,৳ 4
মুবাইল রিচার্জ   ফ্রিফ্রি
ক্যাশ আউট  1.70% 1.80%
দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ
সেবার নাম সংখ্যা পরিমাণ 
ক্যাশ ইন0/102,50,000
সেন্ড মানি0/502,50,000
মুবাইল রিচার্জ   0/5010,000
ক্যাশ আউট 0/102,50,000

মাসিক লেনদেনের পরিমাণ
সেবার নাম সংখ্যা পরিমাণ 
ক্যাশ ইন0/505,00,000
সেন্ড মানি0/1505,00,000
মুবাইল রিচার্জ   0/15001,00,000
ক্যাশ আউট 0/505,00,000
কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
16167
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম নগর সার্ভিস সম্পর্কে এখন আমরা কিভাবে এই নব সার্ভিসটা নেব এবং কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করব তার জন্য কি আমাদের বাজারে তাদের এজেন্টের কাছে যেতে হবে নাকি আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারব এই প্রশ্ন আপনার মনে অবশ্যই জেগেছে।
সমস্যা নেই আপনার বাজারে যেতে হবে না আপনার মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে আপনি নগদ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন প্রথমে নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন প্লে স্টোর থেকে
নগদ একাউন্ট খুলতে যা লাগবে
আপনি মোবাইল দ্বারা একটি নগদ একাউন্ট তৈরি করতে চাইলে আপনার কাছে যা প্রয়োজন হবে….
1. ন্যাশনাল আইডি কার্ড।।
2. একটি অ্যাক্টিভ সিম কার্ড।।
3. আপনি যান ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে নগদ একাউন্ট খুলবেন তার একটি সেলফি নিতে হবে।।
নগদ একাউন্ট কিভাবে খুলবেন
প্রথমে প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপ ওপেন করুন এবার নিচের দিকে একটু লক্ষ্য করুন দেখুন রয়েছে রেজিস্ট্রেশন ক্লিক করুন

এখন যে Number  দিয়ে Nagad Account  খুলতে চান সেই Number  দিয়ে (পরবর্তী ধাপ) রয়েছে  Click করুন

আপনি যে Number  দিয়ে Account  খুলেছেন সেই নাম্বারটা কি গ্রামীন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি, যে Number  হোক সেটা এখানে সিলেক্ট করে দিন তারপর (পরবর্তী ধাপ) রয়েছে Click করুন

এবার আপনাকে National ID card আপলোড করতে হবে যদি আপনার National ID card নতুন হয়ে থাকেন তাহলে নতুন
না হলে পুরাতন দিয়ে দিন
এখন ক্লিক করুন (পরবর্তী)

এখন আপনাকে National ID card আপলোড করতে হবে অর্থাৎ আপনি আপনার National ID card এর পিকচার তুলতে হবে ক্যামেরার মাধ্যমে
তার জন্য দেখুন ক্যামেরা ICone রয়েছে প্রথম ক্যামেরা আইকন icone এ আপনি আপনার National ID card এ প্রথম পেজ তুলে ক্রুপ করে আপলোড করে দিন
এবং দ্বিতীয় ক্যামেরা আইকনের ব্যাক পাট দিয়ে দিন
সবকিছু ঠিকঠাক করে আপলোড করে (পরবর্তী) ধাপ ক্লিক করুন

এখন দেখুন আপনার সমস্ত তথ্য ওরা নিয়ে নিয়েছে আপনাকে কষ্ট করে আর কিছু লিখতে হবে না
এখন (পরবর্তী) ধাপ ক্লিক করুন

তারপর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অর্থাৎ আপনি যদি পুরুষ অথবা মহিলা হন তাহলে দিয়ে দিন যাই হোন না কেন আপনার আইডি কার্ড এর তথ্য অনুযায়ী…
একদম নিচে রয়েছে দেখুন মুনাফা গ্রহীতা একাউন্ট আপনি (না) দিয়ে দিন
এবার ক্লিক করুন (পরবর্তী)

এবার আপনি যান National ID card আপলোড করেছেন অর্থাৎ যার National ID card দিয়ে একাউন্ট খুলতে চান
তার একটি সেলফি ছবি তুলতে হবে তার জন্য ক্যামেরা আইকন এ ক্লিক করে একটি সেলফি আপলোড করে দিন
তারপর (পরবর্তী) ধাপ ক্লিক করুন

যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে আপলোড করুন না হলে স্কিপ করে চলে যান

এবার আপনি স্বাক্ষর দিয়ে দিন দেখতে পারছেন  যেখানে আমি লিখেছি হুসাইন এই জায়গাতে আপনি আপনার সিগনেচার দিয়ে দিন
তারপর (পরবর্তী) ধাপ ক্লিক করুন

এবার আপনার যত ডকুমেন্ট আপলোড করেছেন তাই একসাথে দেখাবে
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে (পরবর্তী) ধাপ ক্লিক করুন

এখানে আসার পর দেখুন আপনি যার নামে অ্যাকাউন্ট করেছেন দেখিয়ে দিচ্ছে আপনাকে
 কিছুই করতে হবে না ক্লিক করুন (পরবর্তী)

আপনি যে নাম্বার দিয়েছেন নগদ একাউন্ট খোলার জন্য  সেই নাম্বারে দেখুন একটি কোড চলে গিয়েছে  সেই কোড কপি করে এনে সেখানে বসিয়ে দিন
 তারপর ক্লিক করুন (যাচাই করুন)

এবার আপনাকে সেই মোবাইল  ফোন হাত নিতে হবে যে নাম্বার দিয়েছিলেেন প্রথমে আবার ডায়াল করুন *167# 
এখন দেখুন নতুন পিন কোড দেওয়ার জন্য অপশন এসেছে নতুন পিন কোড দিয়ে দিন ইচ্ছে মত চার পাঁচ ছয় ডিজিটের
আবার কনফার্ম পিন কোড দিন ওকে করে দিন আপনার একাউন্ট কমপ্লিট
এবার বিকাশ অ্যাপ এর মধ্যে যেভাবে ভিজিট করুন ঠিক সেভাবেই ভিজিট করতে পারবেন

এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । 

নোকিয়া (Nokia) ফোন Android Pie আপডেট ফিচার

বাজারে এসে গেছে এন্ড্রয়েড এর নতুন ভার্সন এন্ড্রয়েড পাই। Google এর Pixel সিরিজের স্মার্টফোন গুলি সবার আগেই Android Pie আপডেট পেয়ে গেছে। এবার এন্ড্রয়েড পাই আপডেট এর ঘোষণা দিয়েছে নোকিয়া ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল।

বর্তমানে এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি গুলির মধ্যে গ্রাহকদের লেটেস্ট এন্ড্রয়েড আপডেট দেওয়ার সুনামে এক নম্বরে আছে নোকিয়া ব্র্যান্ড। শিঘ্রই কোম্পানির সকল স্মার্টফোনে  এন্ড্রয়েড পাই আপডেট পৌঁছে যাবে বলেছেন এইচ এমডি গ্লোবাল। যেসব ফোনে এখন এন্ড্রয়েড ওরিও ভার্সন চলছে সেই সকল মডেল গুলিতে এন্ড্রয়েড পাই আপডেট পাওয়া যাবে।
Android Pie আপডেট পাবে নোকিয়ার যে সকল ফোন
Nokia 1Nokia X5
Nokia 2Nokia 6
Nokia 2.1Nokia 6.1
Nokia 2.1Nokia X6 aka Nokia 6.1 Plus
Nokia 3Nokia 7
Nokia 3.1Nokia 7 Plus
Nokia 5Nokia 8
Nokia 5.1Nokia 8 Sirocco
সম্প্রতি Nokia কোম্পানি ব্যস্ত ব্যবহারকারীদের ফোনে Android Pie আপডেট পৌঁছে দেওয়ার কাজে। নকিয়ার যে সকল ফোনে স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ সিরিজ এর চিপসেট রয়েছে সেই সব আগে ফোনে এন্ড্রয়েড এর এই লেটেস্ট আপডেট আগে দেওয়া হবে। এই তালিকায় আছে Nokia 6.1 এবং Nokia 6.1 Plus মডেলের ফোন। অক্টোবর মাসের মদ্ধেই এই দুই মডেলের ফোন Android Pie আপডেট পেয়ে যাবে।
পাশাপাশি Nokia 8 এবং Nokia 8 Sirocco মডেলের ফোন ব্যবহারকারীরা এন্ড্রয়েড পাই আপডেট পাবেন নভেম্বর মাসে।
এছাড়া এই বছরের শেষে Nokia কোম্পানির অন্যান্য ফোনগুলিতে লেটেস্ট Android Pie আপডেট পৌঁছে যাবে।

আইফোনের (Iphone) অটো আপডেট কিভাবে বন্ধ করতে হয় জেনে নিন


আইফোন অনেক সময় অ্যাপের অটো আপডেট নিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা কিছু অ্যাপের আপডেট  করতে না চাইলেও সেগুলি অটো আপডেট নিয়ে থাকে। আইফোন আপডেট ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ডাটা ও ব্যাটারি চার্জ বেশি খরচ করে ফেলে। তবে আইফোন ব্যবহারকারীরা চাইলেই আইফোনের অটো আপডেট বন্ধ করে রাখতে পারেন।
কিভাবে আইফোন আপডেট বন্ধ করে রাখবেন তা নিচে ছবিসহ দেয়া হল।
প্রথমে আইফোনের সেটিংস অপশনে যেতে হবে, তারপর সেটিংস থেকে স্ক্রল করে ‘itunes & app store’ মেনুতে ক্লিক করতে হবে।
তারপর ‘automatic downloads’ মেনু থেকে Music, Apps, Books & Audiobooks এবং Updates অপশনগুলো অফ বা আনচেক করে দিতে হবে।

পরের ধাপে ‘Use Mobile Data’ অপশন ও আনচেক বা অফ করে রাখতে পারেন। তাহলে মোবাইল ডাটা দিয়ে কোনো অ্যাপ অটো আপডেট হবে না। এতে আইফোনের অটো আপডেট বন্ধ হয়ে বেঁচে যাবে মোবাইল ডেটা ও ব্যাটারি চার্জ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

UI/UX ডিজাইন কি? কিভাবে UI/UX Design করতে হয় তা নি ১০০ টি টিপস


UI/UX ডিজাইন কি?
সাধারনত আমরা UI মানে কি জানি এটা হচ্ছে সব থেকে বড় বিষয়। UI এর পূর্ণরুপ হচ্ছে User Interface(ইউজার ইন্টারফেস) ।

মূলত এইটা আমরা চিন্তা করতে পারি মানুষের শরীর নিয়ে। ধরুন মানুষের শরীর নিয়ে কথা বলতে গেলে আমরা প্রথমে কি দেখি?

আমরা প্রথমে দেখি তার শরীরের একটা দৃশ্য , যেটা দেখে আমরা বুঝতে পারি যে এইটা একটা মানুষ । আমরা যা দেখে বুঝতে পারি যে এইটা একটা মানুষ সেটাই হচ্ছে তার ইউয়াই(UI) । তার মানে যখন আমরা কোন Mobile App বা Website বা Interaction Design ইত্যাদি নিয়ে কাজ করব তখন আমরা দেখেই বুঝব যে এইটা হচ্ছে Mobile App বা Website এর UI(ইউয়াই)। যেমন উপরে যে ছবিটি দেওয়া আছে সেটা দেখে আমরা আসলে বুঝতে পারি যে এইটা একটি মোবাইলে এ্যাপ এর ইউয়াই(UI)। কিছুটা হলেও আমরা বুঝতে পারছি যে ইউয়াই ডিজাইন কি , এইটা দেখতে কেমন হয়।

UI/UX এই দুইটা ডিজাইনের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে UX Design । চলুন আমরা এবার ইউএক্স ডিজাইন নিয়ে একটু খেলা ধুলা করি।

আমরা UI মানে জানি । এখন UX এর পূর্ণরূপ হইলো ইউজার এক্সপেরিএন্স(User Experience)। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইউজার এক্সপেরিএন্স !! এটা আবার কেমন জিনিস??? প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক।

জাওজ্ঞা সামনের দিকে আওজ্ঞা………………………………

চলুন একটা উদাহরন দিয়ে আমরা ইউএক্স (UX) টা বুঝার চেস্টা করি। ইউয়াই তে আমরা যেমন মানুষের শরীর নিয়ে উদাহরন দিয়ে বুঝার চেস্টা করসিলাম এইখানেও আমরা সেটা দিয়েও বুঝার চেস্টা করব। আসলে ইউএক্স বলতে বুঝায় কোন কাজ কিভাবে সেটা বুঝায়। এখন এটা যদি আমরা মানুষের শরীর দিয়ে বুঝতে যায় তাহলে ব্যাপার টা হয় এরকম…

যখন আমরা কোন মানুষকে দেখি তখন সরবপ্রথম আমরা তার শরীর এবং চেহারা দেখতে পাই এটা হছহে ইউয়াই, আর যখন আমরা এইটা দেখবো যে মানুষের শরীরের অঙ্গগুলা কিভাবে কাজ করে এইটা হচ্ছে তার ইউএক্স(UX) যে সে কিভাবে কাজ করে। আমরা এখানে লেখার শেষে একটা এ্যানিমেশন দেখতে পাচ্ছি, যেইটা দেখে বুঝতে পারতেসি এইটা একটা Website। চলুন এইটা নিয়ে একটু আলোচনা করি।

এই এ্যানিমেশনটা তে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ইঁদুরের(Mouse) নড়াচড়ার/ক্লিক এর উপর নির্ভর করে Website টি কিভাবে কাজ করছে। এইটাই হচ্ছে মুলত ইউএক্স(UX)। আর এই ফ্লো টা ডিজাইন করা (এটা কিভাবে কাজ করবে) কে ইউএক্স ডিজাইন(UX Design) বলে। আসলে ইউএক্স এর উপর নির্ভর করে ইউয়াই ডিজাইন করা হয়। কারন আমি যদি না জানি যে কোন বাটনে , কোন ইমেজে ক্লিক করলে কি হবে, মাউসে স্ক্রোল করলে কি হবে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো না যে ডিজাইন টা কেমন হবে। এই থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ইউয়াই ডিজাইনের আগে ইউএক্স ডিজাইন করা কতটা দরকার।

যাই হোক, এই ছিলো ইউয়াই/ইউএক্স ডিজাইনের(UI/UX Design) উপর আমার জানা কিছু কিছু তথ্য। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

ওয়েব ডিজাইনের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন (ইউএক্সডি বা ইউএক্স) ব্যবহারকারীদের সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের উপযোগযোগ্যতা, অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করে ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া।

এক নজরে বিস্তারিত
1 ফ্লো
2 স্ক্রলিং
3 কন্ট্রাস্ট এবং কালার
4 লোডিং
5 মোবাইল
6 নেভিগেশন
7 ফর্ম
8 লিংক
9 বাটনস্‌
10 সার্চ
11 ক্যারোসলস
12 একোর্ডিয়েন্স
13 হেল্‌প এবং হিন্টস্‌
14 আইকন
15 কনটেন্ট
16 রিডেবিলিটি


ফ্লো

১. মনে করুন ওয়েবসাইটটি একটি ইয়েলো ব্রিক রোড এর মত। পেইজগুলো এমনভাবে ডিজাইন করুন যেন ভিজিটর অনায়েসে এক পেইজ থেকে অন্যটিতে যেতে পারেন এবং যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।

২. ভিজিটররা তাদের পৃষ্ঠার একদম উপরে প্রয়োজনীয় আইটেমের তালিকা দেখতে পছন্দ করে থাকেন, তাদের গুরুত্ব অনুযায়ী।

৩. সঙ্গতিপূর্ণ এবং সহজে ব্যবহার করা ওয়েব ইন্টারফেসগুলি ভিজিটরদের ইলিমেন্টস্‌কে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।

৪. ওয়েবসাইটে ডেড অ্যান্ড পৃষ্ঠাগুলি তৈরি করা এড়িয়ে চলুন। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং ভিজিটরদের জন্য অতিরিক্ত কাজ তৈরি করে।

৫. সাধারণ ওয়েবসাইট পেটার্ণ এবং ইন্টারফেস ব্যবহার করুন; যেন ভিজিটরদের নতুন কোন কিছুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে না হয়।

স্ক্রলিং
UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

৬. ভিজিটর ওয়েবপৃষ্ঠাটি ততক্ষণ স্ক্রোল করবে, যতক্ষণ প্রাসঙ্গিক তথ্যটি ফোল্ড এ স্পষ্ট করে দেয়া থাকবে।

৭. আপনার ওয়েবসাইট যেন সর্বদা স্ক্রলিং এর নির্দেশের দৃঢ় দৃশ্যমান ইঙ্গিত প্রদান করে যখন নিচের দিকে আরও কন্টেন্ট থাকে।

৮. ওয়েব পেইজ যতটা সম্ভম লম্বা করা থেকে বিরত থাকুন। লম্বা ওয়েব পেইজ অনেক ব্যাবহারকারীই পছন্দ করেন না।

৯. চলমান ওয়েবপেইজ ভাল , কারন স্ক্রোলিং ক্লিক করার চেয়ে দ্রুততর – শুধু পৃষ্ঠাগুলি খুব দীর্ঘ করবেন না ।

কন্ট্রাস্ট এবং কালার
UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

১০. Color blind ইউজারদের জন্য ডিজাইন করুন। আপনার ডিজাইনকে গ্রেস্কেল রূপান্তর করুন যেন সকল ইউজাররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পড়তে পারে ।

১১. লিঙ্ক ছাড়া অন্য টেক্সটে রঙ নীল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

১২ . খেয়াল রাখতে হবে যাতে ওয়াবসাইটি তীব্রভাবে ঝলমল না করে ।

১৩. আপনার ওয়েবসাইট এর CTAs জন্য একটি নির্দিষ্ট রং নির্ধারন করুন, এবং অন্য কিছুতে এই রং ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

১৪. ঠান্ডা, গাঢ় রং ব্যাকগ্রাউন্ডে এবং ওয়ার্ম এবং ব্রাইট কালার এর উপরের কনটেন্টে ব্যবহার করুন।

লোডিং
UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

১৫. নিশ্চিত করুন যে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য যেন দ্রুত এবং সহজেই পূরণ করতে পারে।

১৬. ওয়েবসাইটটি যেন দ্রুত লোডিং হয় তা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যেন ওয়েবসাইট ভিজিটররা বিরক্ত অনুভব না করেন।

১৭. ওয়েবসাইটের গতির পেইজ লোড হওয়া, পেইজরে ধরন, লোডিং টাইম, অ্যানিমেশন মসৃণতার উপর নির্ভর করে ।

১৮.পেইজটি লোড হওয়ার সময় ওয়েবসাইতে উপাদান গুলোর একটি Skeleton প্রদর্শন করা উচিত।

১৯. ওয়েব পেইজের লেখা গুলা ছবির আগে লোড হওয়া উচিত, যাতে ইউজার পুরো পেইজ লোড হয়ার আগে লেখা পড়া শুরু করতে পারে।

২০.লোডিং টাইম বেশি হলে ভিজিটররা প্রায়ই ওয়েবসাইটটি ছেড়ে চলে যান। সুতরাং ওয়াবসাইটি যেন দ্রুত লোড হয় তা নিশ্চিত হতে হবে।

মোবাইল
UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

২১. যদি মোবাইল ইন্টারফেস উপাদানগুলি ছোট হয় তাহলে তা সঠিকভাবে ট্যাপ করা কঠিন হবে ।

২২. মুবাইলের টার্চ টার্গেট মিনিমাম 1cm x 1cm হতে হবে ।

২৩. আপনার মোবাইল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে কেউ যদি কনিষ্ঠ আঙ্গুল ব্যবহার করে, তাহলে বুঝতে হবে Interface target অনেক ছোট হয়ে গেছে।

২৪. টেবলেটে ইউজারের জন্য স্কিনের স্লাইড ও বাটনর গুলো হাতে কাছে হতে হবে।

২৫. স্বাভাবিক ওয়েবপেজ স্ক্রোলিং ছাড়া অন্য কিছু জন্য Vertical Swiping এর প্রয়োজন নেই।

২৬. মোবাইল ইন্টারফেসের জন্য ডবল ট্যাপ ব্যবহার করবেন না। যাতে ব্যবহারকারী সিঙেল টার্চে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারেন।

২৭. মোবাইল লেআউট ডিজাইন করার সময় ব্যবহারকারীদের এক হাত বা দুই হাতে ডিভাইস ব্যবহার করবে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

নেভিগেশন
UI এবং UX ডিজাইন টিউটোরিয়াল - UI/UX ডিজাইন নিয়ে অসাধারণ ১০০টি কিলার টিপস এন্ড ট্রিকস

২৮. আপনার ওয়েবসাইটে নেভিগেশন মেনুতে অ্যাক্সেসের জন্য সর্বদা একটি সহজ উপায় রাখতে হবে ।

২৯. যদি আপনার ওয়েবসাইটের অনুক্রম 3-4 স্তরের গভীরের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটাকে রিডিজাইন করতে হবে ।

৩০. স্ট্যাকি মেনু ব্যবহার করুন, বিশেষ করে দীর্ঘ ওয়েবপেইজ গুলোতে এবং যখন দ্রুত অ্যাক্সেস প্রয়োজন হয় ।

৩১.ভাল ওয়েবসাইটে নেভিগেশনের বিকল্প নেই, এটি যেন ব্যাগ্রাউন্ডে অদৃশ্য হয়ে যায় ।

৩২. আপনার ন্যাভিগেশন সামঞ্জস্যপূর্ণ করুন, এটি ওয়েবসাইট জুড়ে পরিবর্তন করা উচিত নয় ।

৩৩. ন্যাভিগেশন লেবেল নির্দিষ্ট করুন, এটি 2-3 শব্দ বেশী হবে না এবং সর্বাধিক শব্দবহন তথ্য দিয়ে শুরু করুন ।

৩৪. ব্রেডকামব ব্যবহার করে ইউজার ওয়েবসাইটটি কোথায় তা জানান ।

৩৫. মোবাইল ন্যাভিগেশন : সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন গুলো উপরে রাখুন এবং অন্যগুলো একটি হ্যামবার্গার মেনুর অধীনে রাখুন ।

৩৬. ডেস্কটপে হ্যামবার্গার মেনুগুলি কম লক্ষণীয়,পরিচিত এবং কম তথ্যের হবে ।

৩৭. মোবাইলের সেকেন্ডারি নেভিগেশনের জন্য ল্যান্ডিং পেজ, সাব মেনু , ইন-পেইজ মেনু ব্যবহার করুন ।

৩৮. মেনু ড্রপডাউনগুলি লম্বালম্বি হওয়া উচিত, আড়াআড়ি করবেন না , আড়াআড়ি স্ক্রোল করা অনেক কঠিন।

৩৯. মেগা মেনু পৃষ্ঠার তুলনায় সংকীর্ণ হতে হবে যাতে তাদের ক্লিক করতে সহজ হয়।

৪০. যদি মেগা মেনু ব্যবহার করা হয় , তাহলে Group গুলির মধ্যে লিংক রাখুন, এবং ক্লিকযোগ্য এবং অ- ক্লিকযোগ্য গুলোর মধে পাথ্যক্য রাখুন ।

৪১. ওয়েবসাইটের মেনুতে লগইন বা সার্চ মেনু হাইড করবেন না ।

ফর্ম
৪২. ফর্ম লেবেল সারিবদ্ধ করুন এবং দ্রুত স্ক্যানিং জন্য একটি সিঙেল সাইড ব্যবহার করুন ।

৪৩. ফিল্ডের লেবেলগুলি রিডিং এরিয়ার বাইরে হওয়া উচিত , যেন ব্যবহারকারীরা তাদের পথ হারান না।

৪৪. দীর্ঘ ওয়েব আরো ইউজার ফেন্ডলি করতে সেকশন গুলো বিভক্ত করতে হবে।

৪৫. ফর্ম Error এর জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করুন।

৪৬. ওয়েবসাইটের ইরর ম্যাসেজটি হেল্পফুল , ব্যবহারযোগ্য, সংক্ষিপ্ত এবং সহজ হতে হবে ।

৪৭. প্রতিটি Error এরিয়ার পাশে একবারে সব Error গুলো দেখান যাতে মোবাইল ব্যবহারকারী সতর্কতা মিস না করে ।

লিংক

৪৮. ওয়েবসাইট লিংক গুলো নীল টেক্সট /আন্ডারলাইন ব্যবহার করে লিংকটি স্পষ্ট ও লক্ষণীয় করতে হবে।

৪৯. লিংক সবসময় লিঙ্ক মত হওয়া উচিত।

৫০. এক জন ইউজার যখন কোন লিংক এ ক্লিক করে তখন ইউজার যেন বুজতে পারে এটি কিসের লিংক , লিংক টেক্সটি এরকম হয়া উচিত।

৫১. লিংক ছাড়া অন্য টেক্সটে Blue/Underline ইউজ করার যাবে না।

৫২. কিছু উপাদান যেমন , প্রডাক্ট ইমেজ ও রিভিউ ক্লিকযোগ্য হতে হবে ।

৫৩. ব্যবহারকারীদের মেমরি লোড কমানো ভিজিট লিঙ্ক জন্য ডিফারেন্ট রং ব্যবহার করতে হবে ।

৫৪. ব্যবহারকারীদের মেমরি লোড কমাতে ওয়েবসাইটের ভিজিট করা লিঙ্কগুলির জন্য একটি আলাদা রঙ ব্যবহার করুন।

বাটনস্‌

৫৫. ওয়েবসাইটে Button গুলি ক্লিকযোগ্য দেখতে হবে , ইউজার Button এ ক্লিক করার জন্য Button গুলো যথেষ্ট বড় হতে হবে।

৫৬. ওয়েবসাইটের বেশি গুরুত্তপুন্য অংশগুলো বড় এবং ইউজারদের হাতের কাছে হবে ।

৫৭. Button এ ব্যাগ্রাউন্ড কালার , বর্ডার , এমন হতে হবে যাতে বুঝা যায় এটি ক্লিক যোগ্য ।

৫৮. ফ্ল্যাট ডিজাইনের জন্য উজ্জল কালার ইউজ করুন ।

৫৯. মোবাইলের তথ্য পরিবর্তন বা মুছে ফেলার বাটনগুলি এমন হতে হবে যাতে ভুলে ক্লিক না পড়ে ।

৬০. মোবাইলের তথ্য পরিবর্তন বা মুছে ফেলার বাটনগুলির অনাকািঙ্খিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে ট্যাপ করার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

সার্চ

৬১. ওয়েবসাইট যত েছোটই হোক না কেন, অবশ্য সার্চ ফিল্ড ব্যবহার করুন।

৬২. ডেক্সটপে সার্চ বারটি টেক্সট বক্সের মত হবে, এবং মোবাইলে সার্চ আইকনটি “ OK “ হবে ।

৬৩. সার্চ বার টি উপরে ডান কর্নারে দিতে হবে যেন ইউজারের সার্চ বার টি সহজে খুজে পায় ।

৬৪. ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করার সময়, ব্যবহারকারীরা সাধারণত “টাইপ করার জন্য ছোট বাক্স” খোঁজেন ।

৬৫. সমগ্র অনুসন্ধান ক্যোয়ারী দেখতে ওয়েবসাইটগুলির Search field গুলো যথেষ্ট wide হওয়া উচিত।

ক্যারোসলস

৬৬. Carousels এড়িয়ে চলুন। প্রতিটি নতুন স্লাইড পূর্ববর্তী স্লাইডের স্মৃতি মুছে ফেলে । ব্যবহারকারীরা এক সময়ে শুধুমাত্র এক জিনিস উপর ফোকাস করতে পারে।

৬৭. Carousels নেভিগেশন ডটস মোবাইল ওয়েবসাইটগুলিতে দেখতে কঠিন। পরিবর্তে বাম এবং ডান থেকে peeking ইমেজ ব্যবহার করুন|

৬৮. ক্যারোরেল ন্যাভিগেশনে তীর নির্দেশনার পরিবর্তে বর্ণনামূলক লেবেল ইউজ করুন , যেন ভিজিটর জানতে পারেন পরবর্তী স্লাইডে কি আছে।

৬৯. কেবলমাত্র 1% ব্যবহারকারী ক্যারোজেল স্লাইডে ক্লিক করেন , সুতরাং এটাতে ক্লিক পরার কোন আশা থাকে না।

৭০. ব্যবহারকারীরা তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার পর ওয়েবসাইটের কারসেলগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইডে ম্যানুয়ালি স্যুইচ করা উচিত।

একোর্ডিয়েন্স
৭১. মোবাইল ওয়েবসাইটগুলিতে লম্বা কন্টেন্ট সংকুচিত করতে accordions ব্যবহার করুন

৭২. Accordions ব্যবহার করার সময়, Expand এবং collapse করার সুযোগ অফার করতে পারেন।

৭৩. In-page jump links চেয়ে ছোট পৃষ্ঠাগুলি ব্যবহার করা সহজ

৭৪. মোবাইল ওয়েবসাইটের উপর accordions ব্যবহার Interaction cost বৃদ্ধি করে।

হেল্‌প এবং হিন্টস্‌

৭৫. প্রতিটি ওয়েব পেজের মূল উদ্দেশ্য ব্যবহারকারীকে স্পষ্ট হওয়া উচিত|

৭৬. ব্যবহারকারীরা অনেকেই ওয়েবসাইটের Help ব্যবহার করতে চান না। Offer wizards এবং FAQs প্রয়োজন থাকলে রাখতে পারেন।

৭৭. ওয়েবসাইটে Hints এবং Context এর App প্রদর্শন করুন শুধুমাত্র যখন প্রয়োজন।

৭৮. Help এবং Instruction সংক্ষিপ্ত হতে হবে এবং অন্যান্য ইন্টারফেস থেকে দৃশ্যত ভিন্ন হতে হবে।

৭৯. একবারে একটি Hints প্রদর্শন করুন ওয়েবসাইট এবং মোবাইলে। এটি memory burden হ্রাস করে।

আইকন

৮০. আইকনগুলি অবশ্যই তাদের ফাংশন এবং উদ্দেশ্য বর্ণনা করবে এবং তাদের সহজ, পরিচিত এবং অর্থপূর্ণ করুন।

৮১. প্রয়োজন অনুযায়ী আইকন ব্যবহার করা উচিত, তাদের overusing এড়িয়ে চলুন এবং অলংকরণের জন্য কেবল তাদের ব্যবহার করবেন না

কনটেন্ট

৮২. আপনার ওয়েবপৃষ্ঠা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সর্বদা সবচেয়ে বেশি চোখে পরা উচিত।

৮৩. Key information প্রথমে রাখুন ,কারন ব্যবহারকারীরা উপরের বামদিকে থেকে পড়া শুরু করে এবং প্রথম 2-3 টি শব্দ সবচেয়ে বেশি দেখে ।

৮৪. ওয়েবসাইটের টপ পেইজে বেশি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিষয়বস্তু রাখুন। কোন ডিভাইসে কি অগ্রাধিকার পাবে তা নির্ধারণ করতে এনালাইটিক্স করুন ।

৮৫. ‍Supporting details থেকে Primary Information পৃথক করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট রঙ এবং আকার বিপরীতে ব্যবহার করুন।

৮৬. অগ্রাধিকারযোগ্য, যেমন Context, Location এবং Emergency information, মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ।

৮৭. মোবাইলের জন্য অগ্রাধিকারযোগ্য : Location, events, phone number, emergency info, time-sensitive info চলমান থাকা প্রয়োজন।।

৮৮. ওয়েবসাইট ন্যাভিগেশন জন্য Industry Jargon বা প্রচলিতো শব্দ তুলনায় সহজ, সুস্পষ্ট শব্দ ভাল।

রিডেবিলিটি

৮৯. বেশীরভাগ ব্যবহারকারীই প্রথমে লেখাটি দেখেন এবং পরে পড়ে থাকেন , দেখে সহজে বোঝার জন্য ভিজ্যুয়াল বৈচিত্র এবং অর্থপূর্ণ লেখা ব্যবহার করুন।

৯০. পাঠযোগ্যতাটি শুধু আপনি কিছু পড়তে পারেন কিনা তা নয় – আপনি এটা পড়তে চান কিনা তা ও বুজায়।

৯১. পঠনযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বুলেটযুক্ত তালিকা, সংখ্যাসূচক তালিকা, লাইন এবং অনুচ্ছেদগুলির মধ্যে ফাকা রাখুন ।

৯২. একটি ওয়েবসাইট ফন্ট নির্বাচন করার সময়, তার সুনির্দিষ্টতা, পঠনযোগ্যতা, ওজন এবং শৈলী বিবেচনা করুন।

৯৩. মোবাইল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে পঠনযোগ্যতা উন্নত করার জন্য একটি ফন্টের এক্স-উচ্চতা বড় করার কথা বিবেচনা করুন ।

৯৪. সব ডিভাইসে ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না , বিশেষ করে দীর্ঘ ফর্মে। এবং বডি টেক্সটে ঘন ফন্ট ব্যবহার করবেন না

৯৫. মোবাইল ওয়েবসাইটের শিরোনামগুলির আকার অবশিষ্ট বিষয়বস্তু থেকে বড় হবে ।

৯৬. মোবাইল ওয়েবসাইটগুলিতে ফন্ট সাইজ বড় রাখবেন – সর্বদা স্ক্রিন আকারে সাথে মিল রেখে ফন্ট সাইজ নির্বাচন করুন ।

৯৭. ব্যানার অন্ধত্ব: ব্যবহারকারী যেন ব্যানারটি বিজ্ঞাপন ব্যানার মনে না করে ।

৯৮. Long text blocks গুলো সহজে পাঠযোগ্য করতে, প্রতি Paragraph এ একটি আইডিয়া নিয়ে লিখুন।

৯৯. Italicized text পড়া কঠিন, বিশেষত ডিলেক্সিক পাঠকদের জন্য।

১০০. Tagline এবং Headline এর সব টেক্সট Capital Letter ব্যবহার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

কীভাবে মোবাইল এর ব্যাটারি ঠিক যত্ন নিতে হয় বিস্তারিত জেনে নিন

স্মার্টফোন ব্যাটারি এর ধরণ গত কয়েক বছরে অনেক বদলে গেছে। ব্যাটারি টেকনোলজির তেমন একটা পরিবর্তন না হলেও এর লাগানোর পদ্ধতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। আজকালকার প্রায় সকল আধুনিক স্মার্টফোন এর ব্যাটারি বদ্ধভাবে লাগানো থাকে। অর্থাৎ একজন সাধারণ ব্যবহারকারী নিজে থেকে তার ফোন এর ব্যাটারি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এবং কোনো কারনে আপনার ব্যাটারিটির ত্রুটি দেখা দিলে আপনাকে সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে।
এজন্য আজকাল স্মার্টফোন ব্যাটারি এর সঠিক যত্ন নেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। আজকের এই পোস্ট এ আমি আলোচনা করবো এমন কিছু বিশেষ উপায় নিয়ে যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনটির ব্যাটারির বিশেষ যত্ন নিতে পারবেন। এবং আপনাকে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে বারবার সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে না। দেখুন আপনার ফোনটির মধ্যে কেবল ব্যাটারিই এমন একটি অংশ যা সবচেয়ে আগে নষ্ট হতে পারে। বাকী যেসকল যন্ত্রাংশ আছে যেমন মাদারবোর্ড, র‍্যাম, প্রসেসর ইত্যাদি এগুলোকে আপনি যদি সাধারন ব্যবহার করেন তবে সেগুলো অনেক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কিন্তু ব্যাটারি সাধারন ব্যবহার করার পরেও খারাপ হয়ে যেতে পারে। যাই হোক, আর ভূমিকা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এর ৬ টি কমন সমস্যা ও সমাধান

স্মার্টফোন ব্যাটারি এর চার্জিং অভ্যাস ঠিক করুন

স্মার্টফোন ব্যাটারি এর সঠিক যত্ন
ব্যাটারির বিশেষ যত্ন রাখতে যেটি প্রথম ধাপ তা হলো ব্যাটারির চার্জিং অভ্যাস ঠিক করা। আপনার কখনোয় ব্যাটারিকে ০% ডিসচার্জ করা উচিৎ নয়। বা এমনটাও করা যাবে না যে, আপনি ব্যাটারি প্রতিদিন ০% ডিসচার্জ করছেন তারপর আবার ১০০% চার্জ করছেন। কিংবা সারাদিন ফোন ব্যবহার করতে করতে ১০০% থেকে ০% ডিসচার্জ করে ফেললেন। আপনি মাসে একবার ০% ডিসচার্জ করতে পারেন, যাইহোক একটু পরে এ নিয়ে আলোচনা করছি।তাহলে সঠিক উপায় কি? জী, সঠিক উপায় হলো দিনে একাধিকবার স্মার্টফোন ব্যাটারি রিচার্জ করা। মনে করুন আপনি ২০% এর পরে চার্জ করা শুরু করলেন এবং ৭০% বা ৮০% পর্যন্ত চার্জ করলেন। আবার চার্জ ২০% বা ১৫% এ নেমে আসলো তারপর পুনরায় চার্জ এ লাগালেন।
ব্যাটারি চার্জিং এর এই অভ্যাসটি আপনি একটি মানুষের সাথে তুলনা করতে পারেন। যেমন একটি মানুষ সারাদিন কাজ করার সময় কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা খাবার খেয়ে থাকে কিংবা পানি পান করে থাকে। এতে সে সুস্থ থাকবে এবং বেশি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে কাজ করতে পারবে। কিন্তু কেউ যদি সারাদিন ননস্টপ ভাবে কাজ করে কিন্তু একবারও না খায় বা সারাদিন কাজ করলো তারপর ক্লান্ত এবং ক্ষুদার্থ হয়ে রাতে একবারে সারাদিনের খাবার খেলো তবে সে এই অনিয়মের জন্য খুব বেশিদিন সুস্থ থাকতে পারবে না। এবং ধিরেধিরে তার কার্যক্ষমতাও লোপ পাবে
দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে ১০ টি প্রয়োজনীয় অ্যাপ
স্মার্টফোন ব্যাটারি ও অনেকটা এই নীতিতেই কাজ করে। তাই ব্যাটারি এর চার্জিং অভ্যাস ঠিক খুবই প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, অন্তত মাসে একবার বা ২০-২৫ দিনে একবার আপনার ফোনের ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ করে ১০০% চার্জ করতে হবে। ব্যাটারির ভেতর অবস্থিত সেল গুলো বারবার চার্জ এবং ডিসচার্জ হওয়ার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে। তো আপনি যদি একমাসের ভেতর একবার পুরা ডিসচার্জ করে রিচার্জ করেন তবে সেল গুলোর আগের ক্ষমতা ফেরত পেয়ে যায়। যেমনটা আমাদের রক্তদান করার সময় হয়ে থাকে।
আরেকটি বিষয় জেনে রাখুন যে প্রতিটি ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র বা লাইফ সাইকেল থাকে। সেটা স্মার্টফোন ব্যাটারি হোক আর ল্যাপটপ ব্যাটারি হোক কিংবা আপনার ট্যাবলেট এর ব্যাটারি হোক। সাধারনত একটি ফোন এর ব্যাটারিতে ১০০০ লাইফ সাইকেল থাকে। ১০০০ লাইফ সাইকেল থাকার মানে হচ্ছে এই ব্যাটারিটি ১০০০ বার ডিসচার্জ এবং চার্জ হতে পারবে। এমনটা নয় যে ১০০০ লাইফ সাইকেল পার হয়ে যাবার পরে ব্যাটারিটি কাজ করা বন্ধ করে দেবে। এমনটা হতে পারে যে আগে যে চার্জ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতো তা এখন বেলা ১ টা পর্যন্ত থাকছে। ১০০০ লাইফ সাইকেল এর দিকে লক্ষ্ করলে, একটি ব্যাটারির আয়্যু প্রায় ৩ বছরের মতো।

আমি এ কথা বারবার বলতে চাই যে যেসকল ফোন এর ব্যাটারি খোলা যায় না অর্থাৎ নন-রিমুভআবোল ব্যাটারি রয়েছে সেসকল ব্যাটারির জন্য চার্জিং অভ্যাস ঠিক করাটা বিশেষ জরুরী। তা না হলে এমনটাও হতে পারে যে ফোন কেনার ৬ মাস এর মাথায় ব্যাটারি পরিবর্তন করার জন্য সার্ভিস সেন্টারে যেতে হচ্ছে, তাও শুধু মাত্র এ জন্য যে আপনার চার্জিং অভ্যাস ঠিক ছিল না। যেসকল ফোন এর ব্যাটারি খোলা যায় সে ফোন গুলোর কথা আলাদা। সেই ফোনগুলোতে আপনি যখন চাইবেন যেভাবে চাইবেন ব্যাটারি পরিবর্তন করতে পারবেন।

ভালো এবং সঠিক চার্জার ব্যবহার করুন

স্মার্টফোন ব্যাটারি যত্ন
স্মার্টফোন ব্যাটারি সুস্থ রাখতে সঠিক এবং ভালো চার্জার ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। কোনো কারনে আপনার যদি মনে হয় যে আপনার চার্জার দিয়ে আপনার ফোনটি ভালোভাবে চার্জ হচ্ছে না তবে আপনি বিনা দ্বিধায় অন্য চার্জার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আপনার ফোনটি যদি কুইক চার্জিং সমর্থন করে তবে আপনি যেকোনো কুইক চার্জার ব্যবহার করতে পারেন। কুইক চার্জিং প্রযুক্তি সম্পর্কে লেখা আমার পোস্ট টি যদি না পড়ে থাকেন তবে পড়ে আসতে পারেন। তবে হাঁ, একটা বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা বিশেষ প্রয়োজন আছে। আপনি যে তৃতীয় পক্ষ চার্জারই ব্যবহার করুন না কেনো এর ভোল্ট যেন আপনার আসল চার্জার এর সাথে মিল থাকে। চার্জারটি কত মিলি অ্যাম্পিয়ার বা এর কারেন্ট কত এতে কোনো যায় আসে না।
কেনোনা আপনার ফোনটির ভেতর অবস্থিত চার্জিং সার্কিট ঠিক ততটায় কারেন্ট গ্রহন করবে ঠিক যতটা তার করা দরকার। আপনাকে শুধু চার্জারটির আউটপুট ভোল্ট এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চার্জার এর চার্জারটির আউটপুট ভোল্ট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আপনি আমার লেখা এই পোস্ট টি পড়ে আসতে পারেন।

ব্যাটারি ওভার চার্জের ভয় একদম করবেন না

স্মার্টফোন ব্যাটারি
অনেকের মনে এই ভুল ধারনাটি থেকে থাকে যে সারা রাত ধরে চার্জ করতে ব্যাটারি ওভার চার্জ হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আসলে ব্যাপারটি মোটে সত্যি নয়। গত ৪-৫ বছরে বাজারে যতো স্মার্টফোন আসছে তার সবগুলোতেই ওভার চার্জিং প্রোটেকশন এর এক বিশেষ সার্কিট থাকে। যার ফলে আপনার ব্যাটারির চার্জ ১০০% হয়ে যাবার পরে আর চার্জ গ্রহন করে না। এই সমস্যাটি আজ থেকে ৮-১০ বছর আগে ছিল। আপনারা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে নকিয়া ফোন গুলোর ব্যাটারি ফুলে যেতো। কিন্তু আজকের দিনে এই বিষয় নিয়ে ভয় করার মতো মোটেও কিছু নেই।

ইন্টারনেট (Internet) ব্রাউজিং যেভাবে আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে!

একনজরে স্মার্টফোন ব্যাটারি এর সঠিক যত্ন নেয়ার উপায় সমূহ

স্মার্টফোন ব্যাটারি এর সঠিক যত্ন
  • প্রথম কথা তো এটা যে, প্রতিদিন ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ তারপর ১০০% রিচার্জ করা যাবে না। এটি মাসে একবার করলে ভালো হয়।
  • নিয়মিত ব্যাটারি চার্জ করতে থাকুন, যদি সম্ভব হয় তবে দিনে অল্প অল্প করে চার্জ করতে থাকুন।
  • আপনি যদি অন্য চার্জার বা অন্য কোম্পানির চার্জার ব্যবহার করতে চান তবে এর ভোল্ট মিল করে নিন। যতো সম্ভব ভালো চার্জার কেনার চেষ্টা করুন। একেবারে সস্তা চার্জার না কেনায় ভালো।
  • এবং শেষ কথা, আপনি আপনার ফোন এর ওভার চার্জিং এর ভয় থেকে বিরত থাকুন।

ইন্টারনেট কি? | কীভাবে ইন্টারনেট কাজ করে? | বিস্তারিত জেনে নিন

শেষ কথা

আশা করি আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক অনেক উপকার এ আসবে। এবং এখন থেকে আপনারা আপনাদের স্মার্টফোন ব্যাটারির সঠিক যত্ন নিতে পারবেন। পোস্ট টি ভালো লেগে থাকলে এবং উপকৃত হয়ে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এই সাইট টি নিয়মিত ভিসিট করতে থাকুন। কেনোনা আমি প্রতিদিন এইভাবেই এই রকম বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে থাকি।

ইউটিউব এর জন্য (Best Youtube Video Editor apps) বেস্ট ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার (2018)

ইউটিউবিং এ দিন দিন মানুষের বেশি ঝোক এর ফলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর প্রতি মানুষের চাহিদা বেড়েই চলেছে। মানসম্মত ভিডিও প্রস্তুত করে ইউটিউবে তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভিডিও এডিটর সফটওয়্যারের বিকল্প নেই। একটি মানসম্মত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং এর সুন্দর ইন্টারফেসই কেবল ভিডিও ক্রিয়েটরকে একটি ভালো কনটেন্ট বানানের জন্য সহযোগিতা করে।
আজ আমরা ভালো ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য মানসম্মত ভিডিও এডিটর সম্পর্কে জানব।ইউটিউবিং এর জন্য যা হবে আপনার নিত্যদিনের সাথী। এই আর্টিকেলটি কেবল ইউটিউবে যারা ভিডিও বানাচ্ছেন তাদের জন্য না, বাকিরাও ভিডিও এডিটিং এর জন্য এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন, নিঃসন্দেহে। যারা নতুন নতুন ইউটিউবিং শুরু করছেন তাদের মানসম্মত ভিডিও কনটেন্ট তৈরির যাত্রা শুরু করার জন্য লাইটওয়ার্কস, ফিলমোরা এর মত সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করতে পারেন। কোয়ালিটি বজায় রেখে আপনার ভিডিওগ্রাফীতে প্রান দিতে ও নতুনত্ব আনতে এগুলো আপনার দারুনভাবে কাজে আসবে।

লাইটওয়ার্কসঃ

এটি  প্রথমদিককার তৈরি একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। ১৯৮৯ সালে লাইটওয়ার্কস উন্মুক্ত হয়। ৯০ এর দশকে হলিউড এর বেশ কিছু ছবি এবং টেলিভিশন সিরিজও এটি ব্যবহার করে এডিট করা হত।
লাইটওয়ার্কস বর্তমানে উইন্ডোজ,লিনাক্স ও ম্যাক (ডাউনলোড)  অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য উন্মুক্ত। আগের মত এর চাহিদা অতটা না হলেও,এখনও নতুনদের জন্য লাইটওয়ার্কস ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।লাইটওয়ার্কস সম্পূর্ন ফ্রীএবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। তবে এর একটি প্রো ভার্সনও রয়েছে। তবে নতুনদের জন্য লাইওয়ার্কস এর ফ্রী ভার্সনই সেরা।

ইন্টরনেটে যে অবৈধ কাজ গুলো আমরা সবাই প্রতিদিন করে থাকি! বিস্তারিত জেনে নিন

ইন্টরনেটে যে অবৈধ কাজ গুলো আমরা সবাই প্রতিদিন করে থাকি! বিস্তারিত জেনে নিন

লাইটওয়ার্কসে মাল্টি-ক্যামেরা এডিটিং,রিয়েল টাইম ভিজুয়াল ইফেক্টস এর মত ফিচার সহ; আপনার যদি ডুয়াল মনিটর সাপোর্ট থাকে, তবে এর সেকেন্ড মনিটর সাপোর্টও রয়েছে। ডুয়াল মনিটর ব্যবহার করে এই লাইটওয়ার্কসকে এক্সপান্ড করে ব্যবহার করা যাবে। এখানে এডিটিং এর পর ৭২০ পিক্সেল পর্যন্ত ভিডিও সরাসরি ইউটিউব এবং ভিমিও তে এক্সপোর্ট করা যাবে।

ফিলমোরাঃ


Source: FileHorse

ওয়ান্ডারশেয়ার এর তৈরি ফিলমোরা হল বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় বর্তমান সময়ের একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। মূলত যারা ভিডিওগ্রাফীতে বেশি মনোযোগী হয়ে, ভিডিও এডিটিং এ কম সময় দিতে চান, তাদের জন্য ফিলমোরা সেরা। ফিলমোরা হল পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য সহজ সাবলীল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।এটি ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে দারুন একটা প্রিমিয়াম আউটপুট পাওয়া যায়। ফিলমোরা ব্যবহারের জন্য কোন প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে ফিলমোরা হল একটি পেইড অ্যাপলিকেশন এবং এটিকে কিনতে আপনাকে ৩৯$ ডলার খরচ করতে হবে। তবে এর পারর্ফমেন্স এর হিসেবে এই টাকা খরচ করা যায়।
ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে ফিলমোরাতে টিল্ট স্ক্রীন,স্প্লিট স্ক্রীন,অডিও মিক্সার, GIF সাপোর্ট, মাল্টি ভিডিও সাপোর্ট,অডিও রেকর্ডার সহ ৪কে মানের রেজুলেশনে ভিডিও রেন্ডারিং করার ক্ষমতা রয়েছে।

ক্যামটাসিয়াঃ

যারা মূলত ইউটিউবে টিউটোরিয়াল বানান তাদের জন্য নিঃসন্দেহে রেকমেন্ডেড সফটওয়্যার ক্যামটাসিয়া, যার পুরো নাম ক্যামটাসিয়া স্টুডিও (Camtasia Studio)। টেকস্মিথ এর তৈরি এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি টিউটোরিয়াল তৈরিকারকদের অন্যতম হাতিয়ার। এর মূলত দুটি অংশ – ক্যামটাসিয়া রেকর্ডার ও ক্যামটাসিয়া এডিটর।এখানে এডিটরটি একটি সেপারেট টুল যেটি স্ক্রিন ভিডিও এবং অডিও ক্যাপচারিং এর কাজ করে। অন্যদিকে,এর এডিটরটি দিয়ে এসব ক্লিপ জোড়া লাগানো, লোয়ার থার্ড তৈরি, টেক্সট এডিট, ইফেক্ট দেয়া ইত্যাদি কাজ করা যায়।
এটি একটি পেইড সফটওয়্যার। ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২৯৯$ ডলার খরচ করে এটি পারচেজ করতে পারেন। তাছাড়াও ৫,১০,১৫ ইউজারদের জন্য আলাদা আলাদা প্যাকেজ রয়েছে। আর ক্র্যাক করেও ব্যবহার করা যায়, অর্থাত টাকা না দিয়ে অবৈধ ভাবে, তবে এভাবে ব্যবহার করা আপনার দায়িত্ব।

আপনি যদি প্রোফেশনাল হন,আপনি যদি ব্যাক্তিগত বা কোন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এর জন্য ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান তবে আপনাকে এডবি প্রিমিয়ার প্রো, ভেগাস প্রো এর মত প্রিমিয়াম সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে কোয়ালিটি যেমন ভালো হবে, তেমনই কাজের পেশাদারিত্ব বজায় রাখা সহজ হবে।

এডবি প্রিমিয়ার প্রোঃ


Source: PcMag

১৯৯১ সালে লঞ্চ হওয়া এডবি প্রিমিয়ার এর সাক্সেসর হিসেবে ২০০৩ সালে এডবি সিস্টেমস লঞ্চ করে এডবি প্রিমিয়ার প্রো এডবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড এর অধীনে। বর্তমানে এটিও একটি বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। মানুষ যেমন ফটো ম্যানুপুলেশন এবং এডিটিং এর জন্য এডবি এর জনপ্রিয় ফটোশপ এর ওপর নির্ভরশীল,সেই ভরসায় মানুষ এডবি প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহারেও বেশি আগ্রহী। এডবি প্রোডাক্টস এর ওপর মানুষের ভেতর একটি আলাদা আগ্রহ কাজ করে। আর সেই আগ্রহের কারনে এডবি এর অন্যসব সফটওয়্যার এর মত প্রিমিয়ার প্রো প্রায় এক যুগ ধরে মানুষের কাছে প্রিয়।
CNN এবং BBC এর মত নিউজ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রত্যাহিক কাজে প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহার করছে। যেহেতু এডবির কোনো সফটওয়্যার ফ্রি নয়, তাই আপনাকে প্রিমিয়ার প্রো পেইড এবং লাইসেন্সিং এর সাথে ব্যবহার করতে অবশ্যই মাসিক হিসেবে টাকা প্রদান করতে হবে। তবে হ্যা, ক্র্যাক করে ব্যবহার করাও খুব সহজ, তবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। ক্র্যাক করে ব্যবহার করলে আপনাকে এক টাকাও দিতে হবে না ; কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ক্র্যাক ব্যবহার অবৈধ।

সাইবারলিংক পাওয়ার ডাইরেক্টরঃ

সাইবারলিংক এর তৈরি একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হল পাওয়ার ডাইরেক্টর। ভিডিও ট্রিমিং,জয়েনিং,৩৬০ ডিগ্রী ফুটেজ এডিট, অডিও ম্যানেজমেন্ট ও টেক্সট এডিটিং এর মত কাজ গুলো এই সফটওয়্যারে যাবে সহজেই। এটি একটি পেইড সফটওয়্যার, আর বর্তমানে এর দাম হল ১৩০$ ডলার। পিসিম্যাগ এর এডিটর রেটিংসে একে ৫ এর ভেতর ৪.৫ রেটিং দিয়ে এক্সিলেন্ট মার্ক করা হয়েছে। দ্রুত ভিডিও রেন্ডারিং, মোশন ট্র্যাকিং, ৩ডি ও ৪কে ভিডিও এডিটিং ক্যাপাবিলিটি,মাল্টি ক্যামেরা এডিটিং এর মত সুবিধা পাওয়া যাবে এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার টিতে।

Source: CNet

যেসব ইউটিউবার ভিডিও কনটেন্ট বানানোর জন্য একের অধিক ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন, তাদের জন্য আমি এই সফটওয়্যারটি রেকমেন্ড করলাম। এর সিম্পল ইন্টারফেস এবং স্মুথ পারফর্মেন্স এর সাথে ভিডিও ক্রিয়েটরদের মানিয়ে নিতে বেশি বেগ পেতে হবে না।

ভেগাস প্রোঃ

ভেগাস প্রো খুবই শক্তিসালী এবং প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। প্রোফেশনাল এডিটিং এর জন্য প্রায় সব রকম ফিচারসই পাওয়া যাবে এতে । অডিও এর জন্য ভেগাস প্রোতে রয়েছে, অডিও মিক্সিং কনসোল। সনি ভেগাসে ভিজুয়াল ইফেক্টস এর অপশন রয়েছে, প্রিমিয়ার প্রো তে যা করা যায় না, আফটার ইফেক্টস ব্যবহার করতে হয়।
সর্বপ্রথম সনিক ফাউন্ডারি নামক কোম্পানি ভেগাস প্রো তৈরি করলেও পরবর্তীতে সনি ক্রিয়েটিভ সফটওয়্যার এটি কিনে নেয় এবং তাদের অধিনে প্রকাশ করে। এবং বর্তমানে ভেগাস প্রো সফটওয়্যার ম্যাজিক্স সফটওয়্যাট কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

ফাইনাল কাট প্রোঃ

ম্যাক্রোমিডিয়ার তৈরি ফাইনাল কাট প্রো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি খুবই কাজের এবং শক্তিসালী একটি সফটওয়্যার,পরবর্তীতে অ্যাপেল ইনকরর্পোরেট একে ম্যাক্রোমিডিয়া’র কাছে থেকে কিনে নেয়। এটি কেবল ইন্টেল প্রোসেসর ভিত্তিক ম্যাক কম্পিউটারে চলে।
বেশিরভাগ প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটর এবং ইউটিউবার যারা ম্যাক ব্যবহার করে, তারা সাধারনত এই ফাইনাল কাট প্রো কে ব্যবহার করে। যদিও অনেকে এডবি সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তবে ফাইনাল কাট প্রো এর ব্যবহারকারী ম্যাকে বেশি। এখানে অনেক কিছু প্রি বিল্ট হিসেবে থাকে, প্রিমিয়ার প্রো’তে আবার সেসব কিছু একদম নতুন করে শুরু করতে হয়।

স্মার্টফোনে ভিডিও এডিটিং এর জন্যঃ

স্মার্টফোনের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলাও কিন্তু জরুরী। কেননা এখন যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, অনেককেরই হয়ত ব্যাক্তিগত কম্পিউটার নেই। তবুও আপনারা ভিডিও বানাতে চান, আর এর জন্য আপনাদের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দরকার। তাই স্মার্টফোনের জন্য আমি বেশি সফটওয়্যার এর নাম বলব না। স্মার্টফোনে ভিডিও এডিটিং এর জন্য নির্ভরযোগ্য তথা রিলায়েবল সফটওয়্যার হল কাইনমাস্টার। প্লে স্টোর থেকে কাইনমাস্টার প্রো সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে নিয়ে সহজেই আপনার ছোট খাট এইচডি ভিডিও এডিট করার কার্য সমাধা করতে পারেন।