নিজের হাতে যন্ত্র বানানোর মজাই আলাদা আর সেটা যদি হয় ইলেক্ট্রনিক্স কোন যন্ত্র তবে তার মজা আরও বেশী। যারা বিভিন্ন প্রজেক্টে সফল হয়েছেন তারা অবশ্যই স্বীকার করবেন প্রতিটি সফল প্রজেক্ট মন কে ভরিয়ে দেয় এক অনাবিল আনন্দে। আবার সেই সাথে প্রতিটি বিফল প্রজেক্ট দেয় নতুন করে শুরু করবার প্রেরণা। এই সুখ বা শক্তি নিমিষেই ভয়ংকর দুর্ঘটনার ছোবলে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে পারে আপনাকে যদি আপনার নিরাপত্তা বিধি জানা না থাকে এবং আপনি জানা তাকবার পরও তা পালন না করেন।
সকল বৈদ্যুতিক কাজের সাধারণ একটি নিরাপত্তা বিধি আছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং অবশ্য পালনীয়। যা আপনাকে করবে কাজের সময় ও কাজের পরে যন্ত্র কার্যক্ষম থাকার সময় নিরাপদ। এই নিরাপত্তা আপনার এবং আপনার তৈরীকৃত যন্ত্র দুই’য়ের জন্যই জরুরী। অনেকেই শখের বশে কাজ করতে যেয়ে বা অতি সাহসী বা উৎসাহিত হয়ে নিরাপত্তা বিধি না মেনেই কাজ করে থাকেন। এই ধরনের কাজ করবার চেয়ে কোন কাজ না করাই ভালো। নিরাপত্তা বিধি বিহিন যে কোন ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
১. পায়ে অবশ্যই রাবার বা বিদ্যুত অপরিবাহী বস্তু দ্বারা তৈরী সোলের জুতা পড়তে হবে।
২. হাতের কাছে টেস্টার রাখতে হবে এবং সকল সময় কোথাও খালি হাতে সার্কিটে হাত দিতে যাবার আগে সেখানে টেস্টার দ্বারা চেক করে নিতে হবে
৩. হাতে রাবার গ্লোভস পরিধান করা উচিৎ
৪. বৈদ্যুতিক লাইন সঠিক ভাবে গ্রাউন্ডিং আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ
৫. অভিজ্ঞতা না থাকলে হাই ভোল্টেজ লাইন বা বাড়িতে যে বিদ্যুত সকল কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন লাইনে অভিজ্ঞ কারো উপস্থিতি ছাড়া কাজ না করা উচিৎ
৬. লাইনের পজেটিভ নেগেটিভ বা লাইভ নিউট্রাল কখনোই একসাথে সর্ট করা উচিৎ না
৭. কোন কম্পোনেন্ট উল্টো করে লাগানো যাবে না
৮. কোন সার্কিট বানানোর পর কমপক্ষে তিনবার পরীক্ষা করে দেখবার পর সব কিছু সঠিক পাওয়া গ্যালে তারপর কানেকশন দিতে হবে
৮. কোন অবস্থায় ব্যাটারী খুলে ভিতরে কি আছে তা দেখা চলবে না
৯. হাতের কাছে সবসময় পর্যাপ্ত পানি রাখতে হবে কাজ করবার সময়
১০. দ্রুত মেইন লাইন ডিসকানেক্ট করবার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সেই সাথে যথাযথ মানের নিরাপত্তা ফিউজ ব্যবহার করতে হবে
১১. একটি ফার্স্ট এইড বক্স খুব জরুরী ( সামান্য তুলা, ব্যান্ডেজ, এন্টিসেপটিক ক্রিম সহ)
১২. জিহ্বা বা শর্ট করে দিয়ে কখনও ব্যাটারী বা লাইনে বিদ্যুত আছেকিনা তা পরীক্ষা করা যাবে না
১৩. সোল্ডারিং করবার সময় উৎপন্ন ধোয়া সরাসরি নাকে যাতে না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে
১৪. ধারালো বস্তু নিয়ে কাজ করতে হলে সতর্কতার সাথে করতে হবে
১৫. সকল টুলস কাজের আগেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে সচল ও সঠিক ভাবে কাজ করে কিনা
১৬. ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্ত শরীর ও অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে
১৭. সস্তা পার্টস না খুঁজে মানসম্মত পার্টস ব্যবহার করতে হবে
১৮. সব সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে
১৯. কাজের জায়গায় কোন শিশুকে প্রবেশ করতে দিবেন না
২০. অনভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিলে সাহায্য নেবার আগে সাহায্যকারীকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে তারপর কাজ শুরু করবেন
হাউস ওয়্যারিং বা ঘরে বৈদ্যুতিক তার লাগানো
২১. হাই ভোল্টেজ প্রজেক্ট করবার সময় শরীরের কোন অংশ যেনো কোন অবস্থায় না স্পর্শ পায় সেইব্যাপারে সতর্ক থাকবেন
২২. চোখে পরিস্কার রংয়ের নিরাপত্তা চশমা পরা উচিৎ
২৩. বৈদ্যুতিক লাইন সিরিজ কানেকশনে ব্যবহার করা উচিৎ এবং সেই সাথে একটা আলাদা সার্কিট ব্রেকার লাইনের সাথে যুক্তকরে নিলে নিরাপত্তা সংহত হবে।
মনে রাখবেন – আপনি বিদ্যুতের কিছু না জানলেও আপনাকে শক দিতে বিদ্যুত সবসময় প্রস্তুত থাকে তাই কোন প্রকার সাহসীকতা ও ম্যাজিক দেখাতে যাবেন না কোন অবস্থায়ই।
সকল বৈদ্যুতিক কাজের সাধারণ একটি নিরাপত্তা বিধি আছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং অবশ্য পালনীয়। যা আপনাকে করবে কাজের সময় ও কাজের পরে যন্ত্র কার্যক্ষম থাকার সময় নিরাপদ। এই নিরাপত্তা আপনার এবং আপনার তৈরীকৃত যন্ত্র দুই’য়ের জন্যই জরুরী। অনেকেই শখের বশে কাজ করতে যেয়ে বা অতি সাহসী বা উৎসাহিত হয়ে নিরাপত্তা বিধি না মেনেই কাজ করে থাকেন। এই ধরনের কাজ করবার চেয়ে কোন কাজ না করাই ভালো। নিরাপত্তা বিধি বিহিন যে কোন ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের (Electrical Engineering) জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৭৫ টি ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ কিন্তু অবশ্য পালনিয় কিছু নিরাপত্তা বিধি আজ আমরা জানবো যা প্রত্যেক ইলেক্ট্রনিক্স হবিস্ট কে অবশ্যই মেনে চলতে আপমার পরামর্শ থাকবে। আসুন কি কি করতে হবে তা জেনে নেই –১. পায়ে অবশ্যই রাবার বা বিদ্যুত অপরিবাহী বস্তু দ্বারা তৈরী সোলের জুতা পড়তে হবে।
২. হাতের কাছে টেস্টার রাখতে হবে এবং সকল সময় কোথাও খালি হাতে সার্কিটে হাত দিতে যাবার আগে সেখানে টেস্টার দ্বারা চেক করে নিতে হবে
৩. হাতে রাবার গ্লোভস পরিধান করা উচিৎ
৪. বৈদ্যুতিক লাইন সঠিক ভাবে গ্রাউন্ডিং আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ
৫. অভিজ্ঞতা না থাকলে হাই ভোল্টেজ লাইন বা বাড়িতে যে বিদ্যুত সকল কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন লাইনে অভিজ্ঞ কারো উপস্থিতি ছাড়া কাজ না করা উচিৎ
৬. লাইনের পজেটিভ নেগেটিভ বা লাইভ নিউট্রাল কখনোই একসাথে সর্ট করা উচিৎ না
৭. কোন কম্পোনেন্ট উল্টো করে লাগানো যাবে না
৮. কোন সার্কিট বানানোর পর কমপক্ষে তিনবার পরীক্ষা করে দেখবার পর সব কিছু সঠিক পাওয়া গ্যালে তারপর কানেকশন দিতে হবে
৮. কোন অবস্থায় ব্যাটারী খুলে ভিতরে কি আছে তা দেখা চলবে না
৯. হাতের কাছে সবসময় পর্যাপ্ত পানি রাখতে হবে কাজ করবার সময়
১০. দ্রুত মেইন লাইন ডিসকানেক্ট করবার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সেই সাথে যথাযথ মানের নিরাপত্তা ফিউজ ব্যবহার করতে হবে
১১. একটি ফার্স্ট এইড বক্স খুব জরুরী ( সামান্য তুলা, ব্যান্ডেজ, এন্টিসেপটিক ক্রিম সহ)
১২. জিহ্বা বা শর্ট করে দিয়ে কখনও ব্যাটারী বা লাইনে বিদ্যুত আছেকিনা তা পরীক্ষা করা যাবে না
১৩. সোল্ডারিং করবার সময় উৎপন্ন ধোয়া সরাসরি নাকে যাতে না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে
১৪. ধারালো বস্তু নিয়ে কাজ করতে হলে সতর্কতার সাথে করতে হবে
১৫. সকল টুলস কাজের আগেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে সচল ও সঠিক ভাবে কাজ করে কিনা
১৬. ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্ত শরীর ও অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে
১৭. সস্তা পার্টস না খুঁজে মানসম্মত পার্টস ব্যবহার করতে হবে
১৮. সব সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে
১৯. কাজের জায়গায় কোন শিশুকে প্রবেশ করতে দিবেন না
২০. অনভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিলে সাহায্য নেবার আগে সাহায্যকারীকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে তারপর কাজ শুরু করবেন
হাউস ওয়্যারিং বা ঘরে বৈদ্যুতিক তার লাগানো
২১. হাই ভোল্টেজ প্রজেক্ট করবার সময় শরীরের কোন অংশ যেনো কোন অবস্থায় না স্পর্শ পায় সেইব্যাপারে সতর্ক থাকবেন
২২. চোখে পরিস্কার রংয়ের নিরাপত্তা চশমা পরা উচিৎ
২৩. বৈদ্যুতিক লাইন সিরিজ কানেকশনে ব্যবহার করা উচিৎ এবং সেই সাথে একটা আলাদা সার্কিট ব্রেকার লাইনের সাথে যুক্তকরে নিলে নিরাপত্তা সংহত হবে।
মনে রাখবেন – আপনি বিদ্যুতের কিছু না জানলেও আপনাকে শক দিতে বিদ্যুত সবসময় প্রস্তুত থাকে তাই কোন প্রকার সাহসীকতা ও ম্যাজিক দেখাতে যাবেন না কোন অবস্থায়ই।
EmoticonEmoticon