শীতের সকাল
- আবু জাফর
সকালে সোনার আলো করে ঝিকমিক,
সবুজ ঘাসের শিশির করে চিক চিক ।
ক্ষণে ক্ষণে শীত আর শীতল অনুভূতি,
জানালার ধারে এসে, কাপে প্রজাপতি।
সোনা নয় রুপা নয় জ্বলে ঝিকি মিকি,
বিন্দু বিন্দু শিশির গুলো চেয়ে চেয়ে দেখি।
সাদাকাল নীল দিয়ে আকাশ কেমন সাজে,
আমার মনে গহীন বনে সুরের কঙ্কন বাজে।
চারিদিকে পাখিসব করে রব কল-কাকলী,
সূর্যের আলো মেঘের সাথে করছে মিতালী।
কুয়াশায় ঢাকা ভোরে পড়ছে শিশির ঘাসে,
সূর্য মামা হেলে দূলে দেরী করে আসে।
হিমশীতল শীত
শীত সংখ্যা
মাহ্ফুজা নাহার তুলি
শীত এসেছে লাগলো কাঁপন,লাগলো দোলা প্রাণে/
শীত এসেছে হিমেল হাওয়া,আনন্দ আর গানে/
বিশাল মাঠে সরসে ফুলের অবাধ ছরাছরি,
ভ্রমরগুলো মধুর খোজে করছে ঘোরা-ঘুরি /
শিউলি তলায় ভোর বেলায় ছেলে-মেয়ের মেলা
এই ফুলেতে কত শত গাথবে তারা মালা/
শীত এল তার হিম-কুয়াশা,সাদা চাদর নিয়ে,
শীত এলো গুটি-গুটি,হামাগুড়ি দিয়ে/
শীত এলো তাই রসের হাড়ি খেজুর গাছে ঝোলে,
এই রসেতে পিঠা হবে,ভাবতেই মন দোলে/
খেজুর গুড়ের কথা ভেবে জিবে আসে পানি,
এই গুড়েতে ভাপা পিঠা ,তুলনা নেই জানি/
শীতের তরে সাজলো আকাশ,ভিজলো যে তার জলে
তারই সাথে ভিজলো যে ঘাস,শিশির কনার ঢলে/
শীতের সময় গ্রামগুলোতে যায় পরে যে সারা
যাত্রা-পালা শুরু হবে ,আনন্দ তাই পাড়া/
শীত সকালে আলসেমিতে চায়না কাটতে ঘুম
সকাল বেলার মিষ্টি রোদ,দেয় কপলে চুম/
মিষ্টি রোদের মিষ্টি পরশ শীতকে তাড়ালো,
হিমকুয়াশার শীত বেলা তাই লাগে বড় ভালো/
হিমশীতল সন্ধে বেলায় গায়ে দিয়ে চাদর
জটলা করে বসে সবাই নেই আগুনের আদর/
হিমশীতল শীত আসে হায় রসের হাড়ি নিয়ে,
যাওয়ার সময় কোকিলের সুর যায় যে শুনিয়ে/
শীতবিলাস ও বান্ধবীস্কার্ফ – টুটুল দাস
বান্ধবীদের কফির কাপে পৌষ বিকেলের ছায়া
দাস্তানাতে নাক ঢেকেছে, কুয়াশা দিয়ে মায়া।
সন্ধ্যেগুলো বিষমখাওয়া ভীষণ এলোমেলো
কবিকে ছোঁয়ার ভান করে সব আঁধার ছুঁয়ে গেল।
আঁধার মানে মফঃস্বলের রেডিও বাজা রাত
মেসেজ বেয়ে চুইয়ে নামে শীতঘুম অকস্মাৎ।
শীত পেরিয়ে বান্ধবীদের অবাধ যাওয়া-আসা
গান্ধর্ব মতে পুড়তে থাকে পলাশবনের বাসা।
আগুন দিলাম বান্ধবীদের ব্যালকোনি- কার্নিশে
আগুন ছড়াক শহর জুড়ে পলাশ-বকুল মিশে।
ছাই ঢেলে দাও হিসেবছাড়া অঙ্কখাতার নামে
শীতাকাশে জ্বলুক-নিভুক হাজার নীহারিকা
রাস্তাগুলো বিষণ্ণ হোক, শহর কিংবা গ্রামে
স্কার্ফ ঝুলিয়ে কবিতাখাতায় হাঁটবে আধুনিকা।
পৌষী
তাহমিনা কোরাইশী
শীতের দিনে খাওয়ার মজা
পিঠেপুলির ধুম
লেখাপড়া শিকায় তুলে
দিচ্ছি আমি ঘুম।
চোখ মেলি আর বন্ধ করি
মুখ লুকিয়ে হাসি
দারুণ শীতে বন্ধু আমার
লেপটা ভালবাসি।
সব ভুলে তাই লেপের তলায়
চুপটি করে ভাবি
খেই হারিয়ে সূর্যিমামা
হারায় আলোর চাবি।
শীতের হাওয়া আঁধার আঁধার
হিম কুয়াশায় ঢাকা
পাই না যে আজ নাগাল তারই
রাস্তাঘাটও ফাঁকা।
শহরের শীত এমনিতর
কে কার খবর রাখে!
দিব্বি ঘুমায় শীতের বুড়ি
এই শহরের বাঁকে।
শীতের নায়ে
হুমায়ূন কবীর ঢালী
দরজা খুলতেই হিমেল হাওয়া
বলবে তোমায় সেলাম
জানতে চাইলে কে গো তুমি
-শীতের বুড়ি এলাম।
বাইরে গেলে খুব সকালে
শীত ছুঁয়েছ হাতে
সবুজ ঘাসে পা ছোঁয়াতেই
চমকে উঠলে তাতে।
শিউরে উঠবে তখন তুমি
লাগবে কাঁপন গায়ে
ভয় পেও না খোকন সোনা
উঠলে শীতের নায়ে।
শীত এসেছে
শিপ্রা গোস্বামী
শীত এসেছে বাংলা জুড়ে
শহর থেকে গাঁয়
চতুর্দিকে পড়ছে ঢাকা
হিমের কুয়াশায়।
শীতের সময় নানান পাখি
করছে ডাকাডাকি
শুনছি বসে হরেক সুরে
গায় অতিথি পাখি।
চিতই পিঠা খেজুর গুড়ের
সঙ্গে ভাঁপা পুলি
শীতের দিনের যাত্রা-কীর্তন
কেমন করে ভুলি!
এসো সবাই মিলে করি
শীতের জয়গান
পৌষের এই রোদের দুপুর
না হয় যেন ম্লান।
tags: শীতের কবিতা রবীন্দ্রনাথ, বাংলা শীতের কবিতা, শীতের আগমনের কবিতা, শীতের প্রেমের কবিতা, শীতের আগমনী কবিতা, শীতের সকালের কবিতা, শীতের রাতের কবিতা, শীতের ছড়া
EmoticonEmoticon