ইইই : অসিলেটর, ফিডব্যাক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর।
অসিলেটর এমন একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রেঞ্জের ফ্রিকুয়েন্সি জেনারেট করে ও এমপ্লিফাই করে।
যেহেতু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, এটি ডিসি সোর্স থেকে প্রাপ্ত এনার্জিকে পরিবর্তনশীল আউটপুটে রূপান্তরিত করে। আউটপুট সাধারণত সাইনোসয়ডাল বা নন-সাইনোসয়ডাল হতে পারে। এই লেখাটিতে যেসকল বিষয় আলোচনা করা হবেঃ
অসিলেটর
ফিডব্যাক
সাইনোসয়ডাল অসিলেটর
ট্যাংক সার্কিট, অ্যামপ্লিফায়ার, ফিডব্যাক
অসিলেটর
ইতিমধ্যে আমরা অসিলেটর সংজ্ঞা জেনেছি। অসিলেটর প্রধানত দুই প্রকার,
১। সাইনোসয়ডাল অসিলেটর
২। নন-সাইনোসয়ডাল অসিলেটর।
সাইনোসয়ডাল Oscillator আবার দুই প্রকার,
১। ড্যাম্পড অসিলেটর
২। আন-ড্যাম্পড অসিলেটর
আন-ড্যাম্পড Oscillator আবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা যায়ঃ-
শুধুমাত্র পজেটিভ ফিডব্যাকে কাজ করে থাকে।
যে কোন ফ্রিকুয়েন্সি যুক্ত এসি ভোল্টেজ বা কারেন্ট উৎপন্ন করে।
ফিকুয়েন্সি সময়ের সাপেক্ষে কনস্ট্যান্ট থাকে।
হাই ফ্রিকুয়েন্সি থাকে।
ব্যবহারঃ
টিভি ট্রান্সমিটার ও রিসিভারে।
রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভারে।
উচ্চ ফ্রিকুয়েন্সিতে তাপ দেওয়ার জন্য।
ফিডব্যাক
ইন্টার ইলেকট্রোড ক্যাপাসিটেন্সের জন্য গ্রীড এবং প্লেটের মধ্যে কিছু এনার্জি প্লেট সার্কিট হতে গ্রীড সার্কিটে চলে আসে। অর্থাৎ আউটপুট সার্কিট হতে ইনপুটে সার্কিটে এনার্জি দেওয়াকে ফিডব্যাক বলে।
ফিডব্যাক দুই প্রকার, ১। পজেটিভ ফিডব্যাক। ২। নেগেটিভ ফিডব্যাক
১। পজেটিভ ফিডব্যাকঃ আউটপুট সার্কিটে ইন্ডাক্টিভ লোড থাকলে আউটপুট ভোল্টেজ ইনপুট ভোল্টেজের সাথে ইন ফেজ হয়। এতে ইনপুট সিগন্যালের এক্টিভিটি বেড়ে যায় যাকে রিজেনারেশন বলে। Oscillator শুধু পজেটিভ ফিডব্যাক ব্যবহার করা হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ
বিবর্ধকের গেইন বৃদ্ধি পায়।
নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সি সীমার বিবর্ধন কমে যায়।
ফিডব্যাক বেশি হলে অসিলেশন সৃষ্টি হতে পারে।
২। নেগেটিভ ফিডব্যাকঃ আউটপুট সার্কিট রেজিস্টিভ লোড হলে তখন আউটপুট ভোল্টেজ ইনপুট ভোল্টেজের সাথে ১৮০ ডিগ্রী আউট অফ ফেজ হয়। এতে ইনপুট সিগন্যালের এক্টিভিটি কমে যায় যাকে ডিজেনারেশন ও বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
ফ্রিকুয়েন্সি কমে যায় ও ফেজ পরিবর্তনের জন্য বিকৃতি ঘটে।
নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সি সীমায় বিবর্ধন বৃদ্ধি পায়।
বিবর্ধকের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
গেইন কমে যায়।
হারমোনিক ডিস্টোরশন কম হয়।
সাইনোসয়ডাল অসিলেটর
যে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিকুয়েন্সির সাইনোসয়ডাল ওয়েব উৎপন্ন করা হয় তাকে সাইনোসয়ডাল Oscillator বলে। Oscillator সার্কিট ডিসি সিগন্যালকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিকুয়েন্সির এসি সিগন্যাল তৈরি করে। সাইনোসয়ডাল Oscillator সাধারনত দুই প্রকার, ১। ড্যাম্পড Oscillator ২। আন-ড্যাম্পড Oscillator
১। ড্যাম্পড অসিলেটরঃ যে Oscillator সময়ের সাপেক্ষে উহার উৎপন্নকৃত সিগন্যালের এমপ্লিচুয়েড কমে যায় তাকে ড্যাম্পড Oscillator বলে। নিচের চিত্র লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবো যে সময়ের সাথে এমপ্লিচুয়েড সিগন্যাল কমে যাচ্ছে। এই ধরনের Oscillator পাওয়ার লস হয় এবং লসকৃত পাওয়ার পূরণ করার ব্যবস্থা থাকে না
২। আন-ড্যাম্পড অসিলেটরঃ যে Oscillator সময়ের সাপেক্ষে উহার উৎপন্নকৃত সিগন্যাল এর এমপ্লিচুয়েড স্থির বা কনস্ট্যান্ট থাকে তাকে আন-ড্যাম্পড Oscillator বলে। এই সকল সার্কিটে কোন পাওয়ার লস হয় না বা লস হলেও উক্ত লস পূরন করার ব্যবস্থা থাকে। এই ধরনের Oscillator টেলিকমিউনিকেশন ও ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহারের জন্য এই আন-ড্যাম্পড অসিলেশন প্রয়োজন হয়।
আন-ড্যাম্পড অসিলেটর
ট্যাংক সার্কিট, অ্যামপ্লিফায়ার, ফিডব্যাক
অসিলেটরে মূলত তিনটি কনস্ট্যান্ট থাকে, ১। ট্যাংক সার্কিট ২। আমপ্লিফায়ার সার্কিট ৩। ফিডব্যাক সার্কিট
ট্যাংক সার্কিটঃ ট্যাংক সার্কিট মূলতL-C সার্কিটের সমন্বয়ে গঠিত। এটা এমন একটি নেটওয়ার্ক যা রিজেনারেটর এবং ফ্রিকুয়েন্সি নির্ধারন করে। এটা মূলত ট্যাংক সার্কিট নামেই পরিচিত।
অসিলেটরের প্রধান অংশ হচ্ছে ট্যাংক সার্কিট। এই ট্যাংক সার্কিটের উপর ভিত্তি করে Oscillator কাজ করে থাকে। একারনে ট্যাংক সার্কিটকে অসিলেটরের হার্ট বলা হয়ে থাকে। Oscillator সার্কিটে চার্জিং এবং ডিসচার্জিং এর মাধ্যমে অসিলেশন করার জন্য ট্যাংক সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
অসিলেটর অ্যামপ্লিফায়ারঃ অসিলেটরের অ্যামপ্লিফায়ার হিসেবে থাইরিস্টর কাজ করে থাকে। এটা ইনপুটের সিগন্যাল আউটপুটে বর্ধিত আকারে এমপ্লিফাই করে থাকে।
ফিডব্যাকঃ যে সকল সার্কিটের আউটপুট সিগন্যালকে পুনরায় ব্যবহারের জন্য ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং তা থেকে আউটপুটে পাওয়া যায় এই ধরণের সার্কিটকে ফিডব্যাক সার্কিট বলে
EmoticonEmoticon