পাইলস রোগ কী? কেন হয়, লক্ষণ কী, পাইলস হলে করনীয় বিস্তারিত জেনে নিন

pails
পাইলস কী?
পাইলস বা হেমোরয়েড (বাংলায় অর্শ্ব বা গেজ)- এর নামকরন নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। তবে নাম যাই হোক না কেন, পাইলস হচ্ছে মলদ্বারের ভেতরের আবরনী, তার রক্ত নালী ও অন্যান্য মাংশ পেশীর সমন্বয়ে গঠিত একটি কুশন বা গদির ন্যায় তুলতুলে নরম অংশ। এটি মলদ্বারের ভেতরেই থাকে। কিন্তু যখন রোগ হিসাবে প্রকাশ পায় তখন ঝুলে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।
কেন হয়ঃ
বহুবিধ কারনে পাইলস এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
০১. দীর্ঘ সময় টয়লেট এ বসে থাকা এবং চাপ প্রয়োগ করে টয়লেট করা, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য।
০২. প্যান এ টয়লেট করা।
০৩. বংশানুক্রমিক ভাবেও এ রোগ ছড়ায়।
০৪. ঘন ঘন পতলা পায়খানা হওয়া।
০৫. রক্ত নালীর মধ্যে কপাটিকা (ভাল্ব) না থাকা।
০৬. গর্ভকালীন অবস্থা।
লক্ষণ সমূহ:
০১. টয়লেটে তাজা রক্ত যাওয়া।
০২. মলত্যাগের সময় নরম আবরনী ঝুলে বাইরে চলে আসা।
০৩. ব্যাথা- সাধারণত বাইরে এসে আটকে গেলে অথবা ভেতরে রক্তক্ষরণ হলে।
০৪. চুলকানি হওয়া।
০৫. আম (মিউকাস) জাতীয় নিঃসরন।
করনীয়ঃ
পাইলস এর হাতুরে চিকিৎসার ফলে মলদ্বারের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মলদ্বার বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তাই পাইলস এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে এর চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ। শুরুতেই চিকিৎসা নিলে জটিলতা কম হয় এবং ভাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক রোগ নির্নয় করানো উচিৎ। সঠিক রোগ নির্নয় সঠিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত।

চিকিৎসাঃ
পাইলস এর পর্যায় এর উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে।
  • ০১ম পর্যায়ঃ সাধারণত ঔষধ অথবা থাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভালো খাকা যায়।
  • ০২য় পর্যায়ঃ রিং লাইগেশন, ইনজেকশন, সার্জারী।
  • ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ঃ সার্জারী।
সার্জারীঃ
খুবই ভাল সার্জারী সম্ভব। কোন ধরনের দৃশ্যমান কাটাছেড়া ছাড়াই মেশিনের মাধ্যমে পাইলস সার্জারী সম্ভব। একে “লংগো” ( LONGO) অপারেশন বলাহয়। এর রেজাল্ট ও ভালো। আগে পাইলস সার্জারীর পর দেড় থেকে দুই মাস লাগতো ঘা শুকাতে, এখন এসবের কোন ঝামেলাই নাই। অপারেশনের পর রোগী দ্রুত সেরে উঠে এবং কোজে যোগ দিতে পারেন।


EmoticonEmoticon