অনেকের অনেক টাইপের মতলব থাকতে পারে, যার জন্য আপনার ফোন ট্যাপ করা একেবারেই অবিশ্বাস্য কোন ব্যাপার নয়। হতে পারে আপনার অফিসের বস, আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা, আপনার পরিবারের কেউ, অসৎ ব্যাক্তি, বা পুলিশও আপনার ফোন ট্যাপ, ট্র্যাক, বা মনিটর করতে পারে। বিশ্বাস করুণ, আপনি একেবারেই একা নয়, বহু মানুষের ফোন আজকাল নানানভাবে ট্যাপ করা হচ্ছে, আর আপনার কথোপকথন গুলো আড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই স্মার্টফোনের যুগে ফোন ট্যাপিং জিনিষটা অনেক বেশি সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার সেলফোন নেটওয়ার্ক হ্যাক করার দরকার পড়বে না, হ্যাকার জাস্ট আপনার ফোনের ভালনেরাবিলিটি খুঁজে বের করে সহজেই আপনার ফোনকে ট্যাপিং ডিভাইজে পরিণত করে ফেলতে পারে। অনেকে ফোনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বা নানান টাইপের তৃতীয় পক্ষ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ফোন রুট বা জেল ব্রেক করে থাকে, এতে এসকল ক্ষতিকর অ্যাপ সহজেই কাজ করার অনুমতি পেয়ে যায়।
যাই হোক, এই আর্টিকেলে কিছু ক্লেভার আইডিয়া প্রকাশ করলাম, যেগুলো থেকে বুঝতে পারবেন আপনার ফোন ট্যাপ করে কেউ আপনার কথোপকথনের উপর নজর রেখেছে কিনা।
আমার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে কিনা?
ফোন বর্তমানে গোসল খানার চাইতেও অনেক বেশি প্রাইভেট জিনিষে পরিণত হয়েছে, আর ফোন ট্যাপিং করার মাধ্যমে আপনার সকল প্রাইভেসি গুড়িয়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আপনি হয়তো চিন্তা করছেন সেলফোন কোম্পানির কারো সাহায্য ছাড়া কিংবা পুলিশ ছাড়া কেউ ফোন ট্যাপ করতে পারবে না। আসলে আপনার স্মার্টফোন ট্যাপিং বা মনিটর করা পানির মতো সহজ কাজ। জাস্ট আপনার ফোনে স্প্যাইং অ্যাপ একবার ইন্সটল করিয়ে দিতে পারলেই কাজ শেষ। বিশেষ করে আপনার ফোন যদি রুটেড হয়ে থাকে, তবে এরকম অ্যাপ আপনার ধারণার বাইরে আপনার ফোনে কাজ করবে, আর আপনি টু পর্যন্ত টের পাবেন না।
চিন্তা করে দেখুন, আপনি সাড়াদিন ফোনে কতো গুলো কল করেন, কতো টাইপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোর সাথে ডিল করেন, আর সেগুলো যদি কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যায় সেটা কতো ভয়ংকর ব্যাপার হতে পারে। কল ট্যাপিং যেকোনো দিক থেকেই আপনার জন্য ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। তবে চিন্তার খুব একটা বেশি কারণ নেই, নিচের প্যারাগ্রাফ গুলোতে আমি কিছু কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছি, যেগুলো সঠিক অনুসরণ করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ফোন কেউ স্প্যাইং করেছে কিনা।
১। অস্বাভাবিক ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ
ফোন ট্যাপ করা হলে বিশেষ করে কলিং এর সময় বা কথা বলার সময় আজব টাইপের ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ শুনতে পাওয়া যায়। আপনি যদি বিপবিপ সাউন্ড বা আজব টাইপের যেকোনো স্ট্যাটিক সাউন্ড শুনতে পান, হতে পারে আপনার ফোন কল অন্য কেউ শুনছে। বিশেষ করে যখন আপনি কথা না বলে চুপ থাকেন, সে সময়ও যদি ফোনে নয়েজ আসে, তাহলে হতে পারে আপনি ট্যাপিং এর শিকার হয়েছেন।
প্রয়োজনে আপনার ফোন কল রেকর্ড করুণ, Audacity সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার কলের ভয়েজ বা অডিও স্ট্র্যাকচার চেক করে দেখুন, যদি অস্বাভাবিক ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ ফর্ম দেখতে পান, সেক্ষেত্রে ব্যাপারে ঝামেলা আছে বুঝে নিতে হবে। তবে সব সময় এমন নাও হতে পারে, নেটওয়ার্ক জনিত কারণেও এরকম হতে পারে, কিন্তু যদি সব সময়ই এরকম হয় তাহলে নিশ্চয় সমস্যা আছে। যদি আপনি ল্যান্ডলাইন ইউজ করে থাকেন সেক্ষেত্রে ফোন হুক থাকা অবস্থাতেও যদি বিপবিপ আওয়াজ করে সেক্ষেত্রে ফোন ট্যাপ করা হতে পারে।
আপনার ফোনে ভালো নেটওয়ার্ক থাকার পরেও যদি কথা ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়, তাহলে সেটা আড়ি পাতার লক্ষন হতে পারে, আবার বলছি এটা নেটওয়ার্ক জনিত কারনেও হতে পারে কিন্তু সর্বদাই যদি এমন হয় বা হঠাৎ করে এমন হতে শুরু করে অবশ্যই কোন সমস্যা হয়েছে, যেটা ভালো লক্ষন নয় মোটেও।
২। ব্যাটারি লাইফ চেক করুণ
হঠাৎ আপনার ফোনের ব্যাটারিতে বেশি চার্জ খেয়ে নেওয়া, আপনার ফোন ট্যাপ হওয়ার আরেকটি মোক্ষম কারণ হতে পারে। আপনার ফল কল গুলো অ্যাপের সাহায্যে তৃতীয়পক্ষ কারো কাছে সেন্ড করা হচ্ছে, এতে অবশ্যই ফোনকে দিগুন কাজ করতে হচ্ছে আর এর জন্য চাই বেশি পাওয়ার। আপনি যদি হঠাৎ লক্ষ্য করেন সেখানে আপনার ফোনের চার্জ সারাদিন চলে যেতো, সেখানে কেবল কয়েক ঘণ্টা যাচ্ছে, হতে পারে আপনার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে।
তবে এই ব্যাপারে গভীর ধারণা পাওয়ার জন্য আপনার ব্যবহার আপনাকে ট্র্যাক করতে হবে। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন, আপনার ফোনে কেন চার্জ থাকছে না। আপনি কি আগের থেকে বেশি কল করছেন, নাকি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন হোক আর আইফোন, প্রত্যেক অপারেটিং সিস্টেমে বিস্তারিত ব্যাটারি তথ্য থাকে, সেখানে খুব সহজেই চেক করতে পারবেন।
যদি আপনার ইউজ ঠিক আগের মতোই থাকে, কিন্তু তারপরেও ব্যাটারি লাইফ কমে যায়, তাহলে নিশ্চয় সমস্যা রয়েছে। তবে আপনার ফোনের ব্যাটারির বয়স যদি ১ বছরের বেশি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যাটারি পারফর্মেন্স কমে যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার, আর এর জন্য এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেনঃ কীভাবে স্মার্টফোন ব্যাটারি এর সঠিক যত্ন নেবেন?
যখন আপনার ফোনের ব্যাটারি চার্জ ড্রেইন করবে অবশ্যই স্বাভাবিকের তুলনায় ফোন গরম হয়ে উঠবে। এখন আপনি যদি ফোন ব্যবহার না করেও লক্ষ্য করেন জে ফোনটি গরম হচ্ছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন ট্যাস্ক কাজ করছে এবং এটিও একটি অন্যতম লক্ষণ।
৩। ফোনটি শাটডাউন করে দেখুন
আপনার ফোন ট্যাপ বা মনিটর করা হলে অবশ্যই ফোনে আজব আজব কর্মকাণ্ড ঘটতে দেখা যাবে। হয়তো আপনার ফোন কোন কারণ ছাড়ায় রিস্টার্ট নিতে আরম্ভ করবে বা হঠাৎ হঠাৎ করে ফোনের আলো জ্বলে উঠতে পারে, এতে আপনার বুঝে যেতে হবে ফোনে নিশ্চয় কারো রিমোট আক্সেস রয়েছে।
আরো পরিস্কার করে বোঝার জন্য আপনার ফোনটি শাটডাউন করে দেখুন। ফোন শাটডাউন হওয়ার সময় অপারেটিং সিস্টেম অবশ্যই সকল চলমান ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস টারমিনেট করে দেয়, যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন ম্যালিসিয়াস প্রসেস চলতে থাকে সেটাকে শাটডাউন করতে ফোনের সময় লেগে যাবে, ফলে শাটিং ডাউন প্রসেস অনেক লম্বা হয়ে যেতে পারে। যদি সম্পূর্ণ ফোন শাটডাউন হওয়ার পরেও স্ক্রীনে আলো জ্বলে থাকে বা শাটডাউন নিতে অনেক দেরি হয় কিংবা শাটডাউন ফেইল হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই কোন সমস্যা রয়েছে।
তবে অনেক সময় আলাদা কারণেও এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি রিসেন্টলি আপনার ফোন ওএস আপডেট দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপডেটে কোন সমস্যা থাকলে ফোন পাগলের মতো আচরন করতে পারে।
৪। আজব ফোন অ্যাক্টিভিটি
আপনার ফোনটি যদি ট্যাপ করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ফোনের অ্যাক্টিভিটি গুলো অন্য টাইপের হতে আরম্ভ করবে। ফোন নিজে থেকেই রিস্টার্ট নেবে, শাটডাউন করবে বা আপনার অনুমতি বা কোন অ্যাক্টিভিটি ছাড়ায় বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করবে। হ্যাকার তার ইন্সটল করানো ম্যালিসিয়াস অ্যাপ থেকে আরো অ্যাপ ইন্সটল করানোর চেষ্টা করে, যাতে ফোনের আরো বেশি অংশে কন্ট্রোল গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
আরেকটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, আপনার ফোন ট্যাপ করা হলে ফলে আজব টাইপের এসএমএস আসতে পারে। যদি কোন এসএমএস দেখতে শুধু কোড বা আলাদা টাইপের ভাষার হয়ে থাকে বিশেষ করে যেটার কোন অর্থই নেই, এতে অনেক সুযোগ বেড়ে যায় আপনার ফোনটি কেউ আড়ি পেতে রেখেছে। আসলে হ্যাকার বিভিন্ন ম্যালিসিয়াস এসএমএস ইউজ করে তার ম্যালিসিয়াস স্প্যাইং অ্যাপে কম্যান্ড দিয়ে থাকে।
তাছাড়া আপনার ফোনের পারফর্মেন্স ও কমে যেতে পারে, এবং আজব টাইপের পপআপ অ্যাডস আসতে শুরু করতে পারে। হঠাৎ করে ফোনের পারফর্মেন্স অনেক কমে গেলে বুঝে নিতে হবে ফোনে নিশ্চয় কোন ম্যালওয়্যার প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে পপআপ দেখানো শুরু করলে।
৫। ইলেকট্রনিক ইন্টারফেরেন্স চেক করুণ
আপনি নিশ্চয় জানেন বা লক্ষ্য করে থাকবেন হয়তো, যখন আপনি ফোনে কল করেন আর ফোনটি যদি কোন স্পীকারের সামনে থাকে তো স্পীকারে বিপবিপ শব্দ করতে শুরু করে দেয়। তাছাড়া আপনার ল্যাপটপ, আলাদা ফোন, বা টিভিতেও বিপবিপ নয়েজ শোনা যেতে পারে। এখন আপনার যদি কলিং অবস্থায় না থাকে, সেক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ইন্টারফেরেন্স বা বিপবিপ শব্দ করা উচিৎ নয়।
যদি দেখেন, কল না করেও আপনার ফোন স্পীকারের সামনে বা টিভির সামনে নিয়ে গেলে বিপবিপ আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, অবশ্যই সমস্যা রয়েছে, আপনার ফোন কেউ ট্যাপ করে রেখেছে এবং শুধু কল আড়ি পেতে শুনছে না বরং আপনার প্রত্যেক মুহূর্তের কথাবার্তা গুলোর উপরও নজর রাখা হয়েছে।
৬। হঠাৎ ফোন বিল বেড়ে যাওয়া
স্প্যাইং অ্যাপ গুলো আপনার ফোনের সেলুলার ডাটা ইউজ করতে পারে, যদি আপনার ফোনে কোন ডাটা প্ল্যান অ্যাক্টিভ করা না থাকে, সেক্ষেত্রে ফোনের বিল প্রচণ্ড হারে বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি পোস্ট পেইড প্ল্যান ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে মাসের শেষে বড় পরিমানে বিল চলে আসতে পারে, যদি প্রিপেইড প্ল্যান ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে ব্যালেন্স তুলতেই নাই হয়ে যেতে পারে।
ম্যালিসিয়াস অ্যাপ গুলো নিজে থেকেই ডাটা অন করে কাজ করতে পারে, এতে আপনি জানতেও পারবেন না। তবে হঠাৎ করে ফোনের ডাটা বেশি খরচ হওয়ার আরো বৈধ কারণ থাকতে পারে। যেমন ধরুন, আপনি নতুন কোন অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন যেটা অনেক বেশি ডাটা কনজিউম করছে বা হতে পারে আপনার বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে সে ভুল করে ডাটা চালু করে রেখে দিয়েছে, এতেও বিল বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া এসএমএস বিল এবং কলের বিলের উপরও নজর দিতে পারেন, যদি লক্ষ্য করে দেখেন আপনার হিসেবের বাইরে কল/এসএমএস সেন্ড করা হয়েছে এবং বেশি বিল এসেছে, সেক্ষেত্রে হতে পারে আপনার ফোনটি ট্যাপ করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপদ থেকে দূরে থাকার উপায় কি? — সমস্যা নেই, নিচের পারাগ্রাফে আমি নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনার উপকারে আসবে!
কিভাবে নিরাপদে থাকবো?
নিরাপদ থাকতে অবশ্যই কমন সেন্স ব্যবহার করা জরুরী!
স্মার্টফোনে বিশেষ করে ম্যালিসিয়াস অ্যাপ ইন্সটল করানোর মাধ্যমেই ফোন ট্যাপিং করা হয়ে থাকে। তবে পুলিশ বা অপারেটর থেকে যদি ট্যাপ করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা হতে পারে। এখন যেহেতু হ্যাকার অ্যাপ দ্বারাই আপানার ফোন আক্রান্ত করানোর চেষ্টা করবে, তাই সাইড লোড মানে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর ব্যাতিত অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিৎ হবে না। প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে আপনার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি কমে যায়।
ফোনের অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোরে প্রত্যেকটি অ্যাপ অ্যালাউ করার পূর্বে অবশ্যই তারা ম্যালওয়্যার স্ক্যান করে এবং অ্যাপটির সোর্স কোড নিরীক্ষা করে দেখা হয়। গুগলের প্লে প্রটেক্টনামের প্রজেক্ট বিশেষ করে ম্যালওয়্যার থেকে নিরাপত্তা প্রদান করার জন্যই কাজ করে। তবে তারপরেও অ্যাপের মধ্যে ম্যালিসিয়াস কোড লুকিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু সেটা অত্যন্ত নগণ্য কেসে ঘটে।
তবে শুধু প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলেই হবে না, আপনাকে নিজেকেও কমন সেন্স ব্যবহার করতে হবে। যদি দেখেন এমন কোন অ্যাপ যার ম্যাসেজ নিয়ে কোন কাজ নেই কিন্তু কল হিস্ট্রি বা ম্যাসেজ পারমিশন পেতে চাচ্ছে, শিউর কোন সমস্যা রয়েছে। অনেক গেমও কল হিস্ট্রি বা ম্যাসেজ পারমিশন চায়, এখন এর বৈধ কারণও থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আপনাকে জাচায় করতে হবে। অ্যাপটি কতোটা ভরসা যোগ্য সেটা নির্ণয় করুণ এবং উল্টাপাল্টা পারমিশন অ্যালাউ করা থেকে বিরত থাকুন।
অনেক হ্যাকার জনপ্রিয় অ্যাপের নাম এবং আইকন কপি করে হুবহু স্টাইলের ফেক অ্যাপ তৈরি করে। এজন্য কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটির ডেভেলপার নাম দেখে নিন তারপরে ডাউনলোড করুণ। ফেক অ্যাপ আপনার নানান ভাবে ক্ষতি করতে পারে। অনেক টাইপের ফেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনার ব্যাংকের সব টাকা হাওয়া করে দিতে পারে।
বাসায় যদি ছোট বাচ্চা থাকে অবশ্যই ফোনে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এনাবল করে রাখুন, এতে আপনার বাচ্চা ভুলবশত ম্যালিসিয়াস অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে না। আর হ্যা, ফোন রুট করা বা জেল ব্রেক করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন, যদি করতেই হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন পাওয়ার ইউজার হতে হবে। আপনি যদি নাইবা জানেন রুট কি, তাহলে এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
উপরের প্যারাগ্রাফ গুলো থেকে যদি কতিপয় লক্ষণ আপনার সাথে ঘটে সেক্ষেত্রে অনেকটায় নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে আপনার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে মানে কেউ আড়ি পেতে আপনার ফোনের সকল কথা শুনছে বা ইচ্ছা মতো ফোনকে রিমোট ভাবে কন্ট্রোল করছে। তবে যদি একটি বা দুইটি লক্ষণ দেখা যায় সেক্ষেত্রে আলাদা সমস্যাও হতে পারে, আর কি আলাদা টাইপের সমস্যা হতে পারে এগুলোতো উপরেই আলোচনা করে নিয়েছি।
EmoticonEmoticon