রমজান মাসের প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে মাসের শুরুতেই একটা কাজের পরিকল্পনা নিতে হবে।রোজার সকলসুন্নতগুলো একনিষ্ঠ ভাবে আদায় করতে হবে।
ক) মওম– রোযার জন্য নিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রোযা হবে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য।নিয়ত ছাড়া রোযা কবুল হবে না।আল্লাহর রাজি-খুশির জন্যই রোযা রাখতে হবে।
খ) ইফতার:- ইফতার তাড়াতাড়ি করতে হবে, সেহরী যথাসম্ভব দেরী করে খেতে হবে।
গ) নিষিদ্ধ কাজ:- সব ধরনের হারাম,মাকরুহ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।যেমন সিগারেট খা ওয়া,নেশা করা,দাড়ায়ে পানিপান। দাড়ি রাখা,ঘর থেকে বের হবার,বাথরুমে যাবার,সফরে যাবার,যানবাহনে আরোহন ইত্যাদি দোয়ার চর্চা এই মাসে যদি শুরুকরা গেলে, এটা সারা বছর পালন করতে সহজ হবে।
ঘ) সালাত:- নামায বেশী করে পড়তে হবে। জামায়াতে নামায পড়ার অভ্যাস না থাকলে,এটা রমজানেই শুরু করতে হবে।
ঙ) তারাবীর নামায:- রমজানে বেশী গুরুত্বপূর্ন হোল তারাবীর নামায।তারাবীর নামায সুন্নত হবার কারনে অনেকে গুরুত্ব দেয়না। ফরজ না হলেও এটা অবশ্যই পড়তে হবে।বহু জায়গায় অত্যন্ত দ্রুতবেগে তারাবী পড়ানো হয়।মূলত: লক্ষ্য হোল, কুরআন শেষকরা।মুসল্লীরা যেন প্রতিটা শব্দ বুঝতে পারে,এভাবে ধীরে পড়তে হবে। তারাবীর নামাজে সুরা ফাতেহার আয়াতগুলো আলাদাআলাদা করে পড়তে হবে। এভাবে পড়লে মহান আল্লাহ প্রতিটি আয়াতের উত্তর দেন।
চ) ইতিকাফ:- কারো পক্ষে সম্ভব হলে শেষ ১০ রোজা ইতেকাফ করবেন। ইতিকাফ অবস্থায় সমস্ত সামাজিক কাজকর্ম থেকেবিরত থাকতে হবে।
ছ) দোয়া করা:- বেশী করে দোয়া করতে হবে।আল্লাহকে বেশী করে স্মরন করতে হবে। সবচেয়ে বেশী সময় দিতে হবে এটারপিছে।
জ) কুরআন পড়া:- বেশী কুরআন পড়তে হবে। আরবী না জানলেও, আপনি যে ভাষা জানেন, সেই ভাষায় পড়েন।তাফসীরপড়ুন কুরআনের বিধি-নিষেধগুলো আপনার জানা হবে।প্রতিদিন ১ পারা করে পড়লে, সম্পূর্ন কুরআন পড়া শেষ হবে।
ঝ) হাদিস:- এই মাসে হাদিস পড়ুন।বুখারী,মুসলিম পড়া ভাল। ‘সিয়াহ-সিত্তার’ অণ্য হাদিগুলোও পড়া যেতে পারে। রাসুলেরজীবনী পড়ুন।
ঞ) যাকাৎ:- রমজান যাকাৎ আদায় করার উপযুক্ত সময় ও এটা ফরয।যার নিসাব পরিমান অর্থ্যাৎ সাড়ে সাত তোলা পরিমান স্বর্ন আছে, তাকে যাকাৎ অবশ্যই দিতে হবে।
অনেকে আছেন যারা সঠিক ভাবে যাকাৎ আদায় করেন না।বেশী দিলে ক্ষতি নাই কিন্তু কম আদায় করলে, পুরোপুরি যাকাৎ হবেনা।কাজেই এটা সতর্ক ভাবে করতে হবে।
ট) খুশী থাকা:- রমজান মাসে হাসি-খুশী থাকতে হবে।পরিবারকে বেশী সময় দিতে হবে।‘সদ্ব্যবহার’ এই মাসের জন্য গুরুত্বপূর্ন।আত্নীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রাখা,প্রতিবেশীর সাথে ভাল ব্যবহার করা ইত্যাদি।কেউ কোন অন্যায় করে থাকলে, তাকে ক্ষমাকরা কিংবা একই ভাবে ক্ষমা পাওয়ার আশা করতে হবে।
ঠ) ইসলাহ বা আত্নসংশোধন:- নিজের কিংবা অন্যের দুভাবেই চিন্তা করা যায়।সামাজিক পর্যায়েও হতে পারে।রমজানেদাওয়াতী(আল্লাহর দিকে আহ্বান করা) কাজ করা সবচেয়ে প্রয়োজন।এটা মুসলিম/অমুসলিম সবার মাঝেই করা যেতে পারে।
সূরা বাকারাহ; আয়াত ১৮৩-১৮৬ (পর্ব ৫১)
সূরা বাকারাহ'র ১৮৩তম আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (183)
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পার।" (২: ১৮৩)
রোজা বা সিয়াম সাধনা আল্লাহর অন্যতম বিধান যা শুধু ইসলামের বিধান নয়, পূর্ববর্তী ধর্মগুলোতেও এই বিধান ছিল। রোজা হলো একটি অপ্রকাশ্য ইবাদত। আর নামাজ ও হজ্বদৃশ্যমান ইবাদত। রোজা অপ্রকাশ্য ইবাদত বলে তা দিয়ে নিজকে জাহির করা বা লোক দেখানোর সম্ভাবনা কম। রোজা মানুষের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে। যারা একমাস ধরে দিনেরবেলায় সব ধরনের খাদ্য-দ্রব্য ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে দূরে থাকে, তারা অন্যের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে নিজের লোভ-লালসাকে দমন করতে সক্ষমতা লাভ করে। রোজা মানুষকে উদার হতেশেখায়। যারা একমাস ধরে ক্ষুধার যন্ত্রণা উপলব্ধি করে তারা ক্ষুধার্তদের কষ্ট বুঝতে পারে এবং তাদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে ও সহানুভূতিশীল হয়। রোজা গুনাহ বা পাপ বর্জনেরপরিবেশ সৃষ্টি করে। বেশীরভাগ পাপ পেটপূজা ও ইন্দ্রিয় পরায়ণতা থেকেই জন্ম নেয়। রোজা এই দুই প্রবৃত্তিকে দমনে রেখে সমাজে দুর্নীতি ও পাপ হ্রাস করে এবং খোদাভীরুতা বাপরহেজগারিতা বাড়ায়। তাহলে এই আয়াতের মূল বক্তব্য হচ্ছে-
এক. রোজা রাখাটা ঈমানদারীর লক্ষণ। রোজা মানুষের মধ্যে খোদাভীরুতার চেতনাকে শক্তিশালী করে।
দুই. আল্লাহর বিধান পালন করা আমাদের জন্যই কল্যাণকর। এমন নয়, যে আল্লাহ আমাদের নামাজ ও রোজার মুখাপেক্ষী।
এক. রোজা রাখাটা ঈমানদারীর লক্ষণ। রোজা মানুষের মধ্যে খোদাভীরুতার চেতনাকে শক্তিশালী করে।
দুই. আল্লাহর বিধান পালন করা আমাদের জন্যই কল্যাণকর। এমন নয়, যে আল্লাহ আমাদের নামাজ ও রোজার মুখাপেক্ষী।
এই সূরার ১৮৪নং আয়াতে বলা হয়েছে-
أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (184)
"রোজা নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য ফরজ। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় ওই সংখ্যক রোজা রাখতে হবে। রোজা যাদের জন্য কষ্টদায়কযেমন অতি বৃদ্ধদের জন্য, তারা অবশ্যই একজন অভাবগ্রস্তকে অন্নদান করবে।"
যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেশি সৎ কাজ করে, তা তার জন্য বেশী কল্যাণকর হয়। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে, তবে বুঝতে রোজা রাখাই তোমাদের জন্য বেশী কল্যাণকর। (২:১৮৪)
যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেশি সৎ কাজ করে, তা তার জন্য বেশী কল্যাণকর হয়। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে, তবে বুঝতে রোজা রাখাই তোমাদের জন্য বেশী কল্যাণকর। (২:১৮৪)
আল্লাহর বিধান কষ্টদায়ক কিংবা মানুষের সাধ্যাতীত নয়। বরং প্রত্যেকেই তার ক্ষমতা-সাধ্য ও শক্তি অনুযায়ী আল্লাহর বিধান পালন করতে পারে। যেমন সারা বছরের মধ্যে মাত্র একমাস রোজা রাখা ফরজ। এই মাসে কেউ যদি সফরে বা অসুস্থ থাকে তাহলে তাকে অন্য কোন মাসে রোজা রাখতে হবে। আর যদি কোন মাসেই রোজা রাখার ক্ষমতা তার না থাকে তাহলেরোজা রেখে ক্ষুধা সহ্য করার বদলে ক্ষুধার্তকে স্মরণ করে প্রতিটি রোজার পরিবর্তে প্রতিদিন একজন গরীবকে খাবার দিতে হবে। অবশ্য এটা স্পষ্ট, রোজার কাফফারা দিতে গিয়ে কেউযদি একজনের বেশী মানুষকে খাবার দেয়, তাহলে তা বেশী কল্যাণকর। যদি কোন মানুষ রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়, তাহলে সে কখনও এমনটি বলবে না যে, হায়! আমিও যদি রোজা রাখা থেকে মাফ পেতাম এবং এর পরিবর্তে গরীবকে খাওয়াতে পারতাম!
এই আয়াত থেকে আমরা যে মূল শিক্ষা পেতে পারি তাহলো- ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম এবং এটি প্রত্যেক মানুষের জন্য উপযুক্ত বিধান দিয়েছে। তাই রোজার বিধান সফরকারী, অসুস্থএবং সুস্থদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রকম ।
এই আয়াত থেকে আমরা যে মূল শিক্ষা পেতে পারি তাহলো- ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম এবং এটি প্রত্যেক মানুষের জন্য উপযুক্ত বিধান দিয়েছে। তাই রোজার বিধান সফরকারী, অসুস্থএবং সুস্থদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রকম ।
১৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ (185)
"পবিত্র রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য ও অসত্যের পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারাযেন এ মাসে রোজা রাখে। কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা ভ্রমেণে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তাই চান এবং যা তোমাদেরজন্য কষ্টকর তা চান না। তাই তোমরা রোজা রাখবে অর্থাৎ রোজার সংখ্যা পূরণ করবে এবং নিজেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা গাইবে ওকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।" (২: ১৮৫)
আগের আয়াতে রোজা ফরজ হবার মূলনীতি এবং এর কিছু বিধান তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়াতে রমজান মাসে রোজা রাখার কথা নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। অবশ্য রমজান মাসরোজার চেয়েও যে জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, এ মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। মূলত: রমজানের মর্যাদা ও গুরুত্ব কোরআনের জন্যই। এই মাসের শবে ক্বদরের রাত্রিতেইনাজিল হয় পবিত্র কোরআন। মাসের নাম গুলোর মধ্যে শুধু রমজান মাসের নামই কোরআনে স্থান পেয়েছে।
রামাদান শব্দের অর্থ পোড়ানো। এই মাসে রোজাদারদের পাপ বা গুনাহ পোড়ানো হয়। ইসলাম একটি সহজ সরল ধর্ম। এই ধর্মের ভিত্তি হল সুযোগ সুবিধা ও সরলতা এবং জটিলতাথেকে মুক্তি। তাই রমজান মাসে রোজা রাখা যাদের জন্য কষ্টকর ও অসম্ভব, তারা বছরের অন্য সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে ৩০টি রোজা রাখতে পারে। যদি কোন সময়ই কারো পক্ষে রোজা রাখাসম্ভব না হয়, তাহলে রোজার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে নামাজের ক্ষেত্রেও যদি অজু করতে অসুবিধা থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াকষ্টকর হয়, তাহলে বসে অথবা শুয়েও নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। তাই আল্লাহর কাছে এজন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত যে, তিনি মানুষের শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনকরতে বলেছেন এবং কোন ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করেননি।
এই আয়াতের মূল শিক্ষা হল রমজান মাসে রোজা রেখে আমাদের আত্মাকে পাপের কালিমা থেকে মুক্ত করতে হবে এবং আমাদের অন্তরে কোরআনের প্রভাব তৈরীর জন্য পরিবেশ সৃষ্টিকরতে হবে ।
রামাদান শব্দের অর্থ পোড়ানো। এই মাসে রোজাদারদের পাপ বা গুনাহ পোড়ানো হয়। ইসলাম একটি সহজ সরল ধর্ম। এই ধর্মের ভিত্তি হল সুযোগ সুবিধা ও সরলতা এবং জটিলতাথেকে মুক্তি। তাই রমজান মাসে রোজা রাখা যাদের জন্য কষ্টকর ও অসম্ভব, তারা বছরের অন্য সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে ৩০টি রোজা রাখতে পারে। যদি কোন সময়ই কারো পক্ষে রোজা রাখাসম্ভব না হয়, তাহলে রোজার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে নামাজের ক্ষেত্রেও যদি অজু করতে অসুবিধা থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াকষ্টকর হয়, তাহলে বসে অথবা শুয়েও নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। তাই আল্লাহর কাছে এজন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত যে, তিনি মানুষের শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনকরতে বলেছেন এবং কোন ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করেননি।
এই আয়াতের মূল শিক্ষা হল রমজান মাসে রোজা রেখে আমাদের আত্মাকে পাপের কালিমা থেকে মুক্ত করতে হবে এবং আমাদের অন্তরে কোরআনের প্রভাব তৈরীর জন্য পরিবেশ সৃষ্টিকরতে হবে ।
এরপরের আয়াতে অর্থাৎ ১৮৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ (186)
"আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে প্রশ্ন করে, তখন বলে দিন আমি তো কাছেই রয়েছি। আহ্বানকারী যখন আমাকে আহ্বান করে, আমি তার আহ্বানে সাড়াদেই। সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক যাতে তারা ঠিক পথে চলতে পারে, আর পূর্ণতা লাভ করে।" (২:১৮৬)
কোন এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)কে প্রশ্ন করেন আল্লাহ কি আমাদের কাছে রয়েছেন যে নিঃশব্দে কিছু প্রার্থনা করলেও তিনি শুনবেন অথবা তিনি কি এত দূরে রয়েছেন যে উচ্চস্বরে তারকাছে কিছু চাইতে হবে ?
এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে আল্লাহ পাক এ আয়াতে বলেছেন যে, "তিনি তার বান্দাদের কাছেই রয়েছেন, এমনকি মানুষের কল্পনার চেয়েও তিনি কাছে।" যেমন সুরা ক্বাফের ১৬ নম্বর আয়াতেআল্লাহ পাক বলেছেন, "আমি মানুষের ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে রয়েছি।" দোয়া বা প্রার্থনার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান ও সময়ের দরকার হয় না। মানুষ যে কোন সময় যে অবস্থাতেইথাকুক না কেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে। অবশ্য রমজান মাস দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ মাস বলেই প্রার্থনা বিষয়ক আয়াত রমজানের রোজা সংক্রান্ত আয়াতের মধ্যেস্থান পেয়েছে। এই ছোট্ট আয়াতে আল্লাহ পাক সাতবার নিজের পবিত্র সত্ত্বার এবং সাতবার বান্দাদের কথা উল্লেখ করেছেন। যাতে মানুষ ও আল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। এই আয়াতথেকে আমরা শিখলাম আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা ও আহবান শোনেন এবং আমাদের চাহিদা বা অভাব পূরণ করেন। তাই আমরা শুধু তার কাছেই চাইবো ও শুধু তারই নির্দেশ পালনকরবো। কারণ আমাদের সৌভাগ্য ও উন্নতি তার প্রতি বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করছে। #
এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে আল্লাহ পাক এ আয়াতে বলেছেন যে, "তিনি তার বান্দাদের কাছেই রয়েছেন, এমনকি মানুষের কল্পনার চেয়েও তিনি কাছে।" যেমন সুরা ক্বাফের ১৬ নম্বর আয়াতেআল্লাহ পাক বলেছেন, "আমি মানুষের ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে রয়েছি।" দোয়া বা প্রার্থনার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান ও সময়ের দরকার হয় না। মানুষ যে কোন সময় যে অবস্থাতেইথাকুক না কেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে। অবশ্য রমজান মাস দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ মাস বলেই প্রার্থনা বিষয়ক আয়াত রমজানের রোজা সংক্রান্ত আয়াতের মধ্যেস্থান পেয়েছে। এই ছোট্ট আয়াতে আল্লাহ পাক সাতবার নিজের পবিত্র সত্ত্বার এবং সাতবার বান্দাদের কথা উল্লেখ করেছেন। যাতে মানুষ ও আল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। এই আয়াতথেকে আমরা শিখলাম আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা ও আহবান শোনেন এবং আমাদের চাহিদা বা অভাব পূরণ করেন। তাই আমরা শুধু তার কাছেই চাইবো ও শুধু তারই নির্দেশ পালনকরবো। কারণ আমাদের সৌভাগ্য ও উন্নতি তার প্রতি বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করছে। #
EmoticonEmoticon