আপনি অবশ্যই জানেন, ইন্টারনেটের মধ্যে দুই প্রকারের কম্পিউটার থাকে —একটি ক্লায়েন্ট এবং আরেকটি সার্ভার। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার হলো আপনার আমার পার্সোনাল কম্পিউটার, যে কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুক ব্রাউজিং করি বা আপনি টেকহাবস থেকে আর্টিকেল পড়েন। আর সার্ভার হলো ঐ কম্পিউটার গুলো, যেগুলো ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে পেজ সরবরাহ করে, ফাইল সরবরাহ করে। ইন্টারনেট নিয়ে লেখা বিস্তারিত আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি চমৎকার ভাবে বর্ণিত করেছি! যাই হোক, যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, অবশ্যই এইচটিটিপি (HTTP) সম্পর্কে জানেন, কিংবা অন্তত এটি লেখা থাকতে দেখেছেন, কেনোনা প্রত্যেকটা ওয়েব অ্যাড্রেসের পূর্বে অবশ্যই এইচটিটিপি থাকতেই হয়। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন (ওয়েব ব্রাউজার) এইচটিটিপি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভারের সাথে কানেকশন তৈরি করে।
একই প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট পর্যন্ত রেসপন্স ডাটা, কনটেন্ট যেমন- ওয়েব পেজ এবং কিছু প্রোটোকল ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি এইচটিটিপি রিকয়েস্টের রেসপন্সের সাথে একটি কোড নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেটা রেসপন্সের রেজাল্ট বর্ণনা করে। এই রেজাল্ট কোড গুলো বিশেষ করে তিন ডিজিট নাম্বারে হয়ে থাকে এবং এদের বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। যদিও প্রত্যেকটি রেজাল্ট কোড ব্রাউজার আপনাকে প্রদর্শিত করে না, তবে আমি নিশ্চিত এর মধ্যে কিছু কোড আপনি অবশ্যই দেখে থাকবেন, যেমন- ৪০৪ এরর (এর মানে পেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি), এছাড়াও আরো এরর কোড রয়েছে, যেগুলোর তালিকা আমি নিচে প্রকাশ করলাম এবং কোড গুলোকে ব্যাখ্যা করলাম;
একই প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট পর্যন্ত রেসপন্স ডাটা, কনটেন্ট যেমন- ওয়েব পেজ এবং কিছু প্রোটোকল ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি এইচটিটিপি রিকয়েস্টের রেসপন্সের সাথে একটি কোড নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেটা রেসপন্সের রেজাল্ট বর্ণনা করে। এই রেজাল্ট কোড গুলো বিশেষ করে তিন ডিজিট নাম্বারে হয়ে থাকে এবং এদের বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। যদিও প্রত্যেকটি রেজাল্ট কোড ব্রাউজার আপনাকে প্রদর্শিত করে না, তবে আমি নিশ্চিত এর মধ্যে কিছু কোড আপনি অবশ্যই দেখে থাকবেন, যেমন- ৪০৪ এরর (এর মানে পেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি), এছাড়াও আরো এরর কোড রয়েছে, যেগুলোর তালিকা আমি নিচে প্রকাশ করলাম এবং কোড গুলোকে ব্যাখ্যা করলাম;
HTTP 200 “OK”
HTTP Error 404 “Not Found”
৪০৪ এরর কোডের অর্থ হচ্ছে, ক্লায়েন্ট থেকে আসা রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ওয়েব সার্ভার সেই রিকোয়েস্ট করা পেজটি, ফাইল, বা আলাদা কনটেন্ট খুঁজে পায় নি। তবে ৪০০ এরর মানে কিন্তু ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে নেটওয়ার্ক কানেকশন ঠিক ছিল, কানেকশন সফল হয়েছে, ব্যাট পেজটি সার্ভারে নেই! এই এরর তখন দেখা যায়, যখন আপনি ব্রাউজারে ভুল ইউআরএল প্রবেশ করান, অথবা সাইট অ্যাডমিন সার্ভার থেকে পেজটি ডিলিট করে দেয়, কিংবা পেজটি আলাদা কোন ইউআরএল এ ট্র্যান্সফার করে নিয়ে যায়, কিন্তু রিডাইরেকশন ব্যবহার করেনা। ইউজারকে এই প্রবলেম ফিক্স করার জন্য অবশ্যই ইউআরএল পরিবর্তন করতে হবে।
এছাড়াও কিছু কমন এরর কোড হচ্ছে, ৪০০, ৪০১, ৪০৩; এখানে ৪০০ হচ্ছে ব্যাড রিকোয়েস্ট। ক্লায়েন্ট থেকে প্রোটোকল ডাটাতে এরর থাকলে সার্ভার এই কোড সেন্ড করে। অনেক সময় আপনার ইন্টারনেট সমস্যার জন্য সার্ভারের কাছে ব্রাউজার থেকে ঠিকঠাক মতো রিকোয়েস্ট সেন্ড হতে পারে না, কিংবা ডাটা করাপ্টেড হয়ে যায়, তখন ৪০০ রেসপন্স কোড সেন্ড করা হয়। আবার রিকোয়েস্টে ব্যাড সাইনট্যাক্স কোড থাকলেও ৪০০ এরর আসতে পারে। ৪০১ হচ্ছে আনঅথরাইজড এরর কোড; এখানে ব্রাউজার সার্ভারের কাছে এমন কোন রিসোর্সের রিকোয়েস্ট করে, যেটা সার্ভারে হয়তো রয়েছে, কিন্তু সেটা অ্যাক্সেস করার জন্য পারমিশন নেই। অবশ্যই প্রথমে ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে লগইন করতে হবে বা ভ্যালিড ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে হবে, তবেই রিসোর্সটি অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে।
যদি ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড ভুল হয়, এবং সেই ভুল ক্রেডিনশিয়াল নিয়েই ক্লায়েন্ট সার্ভারের কাছে রিসোর্স রিকোয়েস্ট করে, সেক্ষেত্রে ৪০৩ ফরবিডেন এরর কোড সেন্ড করা হয়। অথবা কোনভাবেই রিসোর্টটি অ্যাক্সেস করার পারমিশন নেই ক্লায়েন্টের, সেক্ষেত্রেও ৪০৩ এরর কোড সেন্ড করা হয়।
EmoticonEmoticon