প্রতিদিনই অনেক নতুন নতুন ব্লগার আসছেন ব্লগস্পটে। তৈরী করে নিচ্ছেন তাদের শখের ব্লগ। কেউ শখে তৈরী করছেন আবার কেউ পেঠের তাগিদে। যে যেভাবেই খুলেন না কেন! আজকে সবার জন্যই নিয়ে আসলাম কিছু প্রয়োজনীয় সেটিংস।
আমি প্রায় ব্লগেই দেখি এই সেটিং গুলো করা থাকে না। আমি প্রয়োজনীয় বলে এখন যে সেটিংস গুলো শেয়ার করবো সেটি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয়ও হতে পারে। তাই চলুন মূল কার্যে যাওয়ার আগে একটি লিষ্ট দেখে নেই। লিষ্ট দেখে যদি মনে করেন আপনার এগুলোর দরকার আছে, তাহলে পুরো পোষ্টটা দেখলেন। নাইলে হুদাই সময় নষ্ট করে কি লাভ??
আমি প্রায় ব্লগেই দেখি এই সেটিং গুলো করা থাকে না। আমি প্রয়োজনীয় বলে এখন যে সেটিংস গুলো শেয়ার করবো সেটি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয়ও হতে পারে। তাই চলুন মূল কার্যে যাওয়ার আগে একটি লিষ্ট দেখে নেই। লিষ্ট দেখে যদি মনে করেন আপনার এগুলোর দরকার আছে, তাহলে পুরো পোষ্টটা দেখলেন। নাইলে হুদাই সময় নষ্ট করে কি লাভ??
প্রয়োজনীয় সেটিংসঃ
- ব্লগের ভাষা বাংলা করা (বাংলা ব্লগের জন্য অতি প্রয়োজনীয়)
- টাইম ফর্মেটিং পরিবর্তন করা।
- Quick Edit আইকন রিমুভ করা।
- অবস্থান সেট করা।
- Author Profile দেখানো।
- Comment Moderation চালু করা।
- হোম পেইজে কতগুলো পোষ্ট দেখাতে চান সেটি সেট করা।
১// ব্লগের ভাষা বাংলা করাঃ আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং করেন তাহলে ব্লগের ভাষা বাংলা করার প্রয়োজন আছে। কারণ এটির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে সম্পূর্ন্য বাংলায় রূপান্তর করতে পারবেন। তাছাড়া ব্লগের তারিখ, নাম্বার, কমেন্টস সবগুলো বাংলায় দেখাবে। ব্লগ এর ভাষা বাংলা করার জন্য প্রথমে ড্যাশবোর্ডে যান, তারপর Settings > Language and formatting > Language
২// টাইম ফর্মেটিং পরিবর্তন করাঃ ব্লগের ভাষা পরিবর্তন হয়ে গেলে এখন আপনার ব্লগের যাবতীয় সবকিছু বাংলা হয়েছে গেছে। এখন টাইম ফর্মেট পরিবর্তন করবো। একটি ব্লগ যখন নতুন খোলা হয় তখন টাইম ফর্মেট থাকে এরকমঃ 9:45AM - এখন আপনি ইচ্ছা করলে এই এই ফর্মেটটি পরিবর্তন করতে পারবেন। আরও বেশ কয়েকটি ফর্মেট রয়েছে। প্রথমে ড্যাশবোর্ডে যান, তারপর Settings > Language and formatting > Formatting > Timestamp Format
৩// Quick Edit আইকন রিমুভ করাঃ অনেক সময় দেখবেন ব্লগের মধ্যে প্রতিটি পোষ্টের মধ্যে হলুদ রঙের একটি পেন্সিল দেখাচ্ছে। এটাকেই Quick Edit Icon বলা হয়। আমার কাছে এটা অপ্রয়োজনীয়ই মনে হয়। কারণ আজ পর্যন্ত এটা কোন কাজে লাগে নাই। অন্যকারও কাজে লাগতেও দেখি নাই। সুতরাং ইহা যদি আপনার কাছেও অপ্রয়োজনীয় মনে হয় তাহলে রিমুভ করে নিন। রিমুভ করতে প্রথমে ড্যাশবোর্ড থেকে Layout এ যান। তারপর "ব্লগ পোস্টগুলি / Blog Posts" উইডগেট টি ওপেন করুন। তারপর "Show Quick Editing" এটা uncheck করে দিন।
৪// অবস্থান সেট করাঃ অবস্থান বলতে আপনার লোকেশন। আপনি কোন জায়গা থেকে ব্লগিং করছেন সেটি সেট করে দেওয়া। এতে করে গুগল এর কাছে ব্লগ সাবমিট করতে সহজ হয়। প্রথমে ড্যাশবোর্ড থেকে Layout এ যান। তারপর "ব্লগ পোস্টগুলি / Blog Posts" উইডগেট টি ওপেন করুন। তারপর "Location: Bangladesh" এভাবে লেখে সেভ করুন।
৫// Author Profile দেখানোঃ জেনে রাখা ভালো, এই অপশনটি শুধু যে যে টেমপ্লেট গুলোতে Author box থাকবে সেই টেমপ্লেট গুলোতে কাজ করবে। Author box এর মধ্যে ছবি এবং বিবরণ আপনার গুগল প্লাস প্রোফাইলে যা দেওয়া থাকবে, সেগুলোই Author Box এ দেখাবে।
৬// Comment Moderation চালু করাঃ একটি নতুন/পুরাতন ব্লগে Comment Moderation এর গুরুত্ব অনেক। স্প্যামারদের কারণে আপনার ব্লগটি হুমকির মূখে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং এতো রিস্ক নিয়ে কজা করার দরকার নেই। সব সময় Comment Moderation করবেন। স্প্যাম কমেন্ট হলে সাথে সাথে স্প্যাম হিসেবে মার্ক করে দিবেন। তাহলে চলুন এখন দেখি নেই কিভাবে Comment Moderation চালু করবেন। প্রথমে ড্যাশবোর্ডে যান, তারপর Settings > Posts and Comments > Comment Moderation
৭// হোম পেইজে কতগুলো পোষ্ট দেখাতে চান সেটি সেট করাঃ এটা কিন্তু ব্লগের গুরুত্বপূর্ন্য একটি অংশ। প্রথম পেইজে অল্প সংখ্যক পোষ্ট রাখাই ভালো। এখন যদি আপনি হোম পেইজে ২০- ৩০ টা পোষ্ট দিয়া দেন তাইলে তো ভিজিটর এর মাথা ঘুড়িয়ে পড়ে যাওয়া কথা। পেইজ লোড হওয়ার একটা বিষয় আছে। আপনি হোম পেইজে যত কম পোষ্ট রাখবে ততই ভালো। তার মধ্যে ৮-১০ টা পোষ্ট রাখাই উত্তম। তাহলে চলুন কিভাবে হোম পেইজে নির্দিষ্ট পরিমাণ পোষ্ট রাখবেন সেটি দেখে নেওয়া যাকঃ প্রথমে ড্যাশবোর্ডে যান, তারপর Settings > Posts and Comments > Show at most
আজকে এপর্যন্তই। কারও কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে...
EmoticonEmoticon