বেসিক ইলেকট্রনিক্স (৬৮১১) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১। সোল্ডারিং এর সময় কি কি ধাপ বা পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়?
উত্তরঃ সোল্ডারিং এর ধাপ বা পদক্ষে সমূহ নিম্নরুপ:
১) তার নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য কর্তন।
২) সোল্ডারিং আয়রন, সোল্ডারিং ট্যাগ এবং লিড নির্বাচন।
৩) সোল্ডারিং ট্যাগ ও আয়রন টিপ পরিচ্ছন্নকরণ।
৪) দুটি তার যান্ত্রিকভাবে জোড়া দেয়া বা সোল্ডারিংকরণ।
৫) জয়েন্ট পরীক্ষা করতে হয়।
২। ভালো ঝালাই করার শর্ত বা মূল নিয়ম কি? লিখ।
উত্তরঃ ভালোঝালাই এর শর্ত বা নিয়মসমূহ নিুরূপ:
১) ঝালাই এর পূর্বে ঝালাই এর স্থান রজন দ্বারা ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২) ইলেকট্রনিক সার্কিটের ক্ষেত্রে ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করতে হবে।
৩) সোল্ডারিং আয়রন ভালভাবে গরম করে নিতে হবে।
৪) অধিক পরিমাণ টিনযুক্ত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। যাতে টিন ও সীসার পরিমাণ ৬০ঃ৪০।
৫) প্রয়োজনমত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। খুব কম অথবা খুব বেশি সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করা যাবে না।
৩। সোল্ডারিং আয়রন কি? কত পাওয়ারের সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ যাকে উত্তপ্ত করে দুটি পদার্থ একত্রিত করা যায় তাকে সোল্ডারিং আয়রন বলে। ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪। কয়েক ধরনের ক্যাপাসিটরের নাম লিখ, ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটর, সিরামিক ক্যাপাসিটর, ক্রিস্টল ক্যাপাসিটর ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য:
১) এটি আকারে ছোট।
২) এতে পজেটিভ ও নেগেটিভ ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট করা থাকে।
৩) ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করা হয়।
৪) শুধুমাত্র ডিসিতে ব্যবহার হয়।
৫। এনার্জি ব্যান্ড কি? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ এনার্জি ব্যান্ড: অসংখ্য পরমাণুর সমন্বয়ে যখন কোন পদার্থ গঠিত হয় তখন বিভিন্ন অরবিটে ইলেক্ট্রনের এনার্জি সমূহ সারিবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। একে এনার্জি স্তর বা এনার্জি ব্যান্ড বলে।
এনার্জি ব্যান্ড তিন প্রকার:
১) ভ্যালেন্স ব্যান্ড
২) কন্ডাকশন ব্যান্ড
৩) ফরবিডেন ব্যান্ড
৬। সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্য:
১) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে।
২) এর কন্ডাকশন ব্যান্ড ইলেক্ট্রন থেকে প্রায় খালি থাকে।
৩) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ও কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ খুব সরু থাকে। প্রায় ।
৪) ০ড়শ তাপমাত্রায় কন্ডাকশন ব্যান্ডে কোনো ইলেক্ট্রন থাকে না।
৫) ০ড়শ তাপমাত্রায় ভ্যালেন্স ব্যান্ড সম্পূর্ণভাবে ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
৬) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাক্টরের পরিবাহীতা বৃদ্ধি পায় এবং রেজিস্টিভিটি হ্রাস পায়।
৭। কার্বোন, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ কার্বনের বৈশিষ্ট্য:
১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাধা দানের ক্ষমতা কমে যায়।
২) বৈদ্যুতিক মেশিনে কার্বন ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩) তলে কোন আয়রন তৈরী হয় না।
৪) পরিবাহীতা এ্যাডজাষ্ট্যাবল।
গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১) খঊউ – তে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ব্যবহার করলে লাল রঙের আলো পাওয়া যায়।
২) এর এনার্জি গ্যাপ ১.৩৪ বা।
৩) ১.২২ (ঠড়ষঃ) ফরোয়ার্ড বায়াসে আলোক শক্তি বিকিরন করতে পারে।
৪) এর পারমাণবিক দূরত্ব ২.৪৪ ।
গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১) ইহা একটি যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ।
২) খঊউ -তে গ্যালিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করলে লাল ও সবুজ রঙের আলো পাওয়া যায়।
৩) এটি ১.২ ভোল্ট থেকে ২ ভোল্ট ফরোয়ার্ড বায়াসে প্রচুর আলো বিকিরন করে।
৮। ফরোয়ার্ড ও রিভার্স বায়াস কাকে বলে? চিত্রসহ দেখাও।
উত্তরঃ ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির যে প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং যে প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির যে প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং যে প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
৯। পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন আলোচনা কর।
উত্তরঃ পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে। একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন দেখানো হয়েছে। যাতে চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম এর সাথে ভেজাল হিসেবে ত্রিযোজী গ্যালিয়াম কে মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (গ্যালিয়াম) একটি করে হোল সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্য পরিমাণ ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ হোল সরবরাহ করতে পারে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে। একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন দেখানো হয়েছে। যাতে চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম এর সাথে ভেজাল হিসেবে পঞ্চযোজী আর্সেনিক মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (আর্সেনিক) একটি করে মুক্ত ইলেক্ট্রন সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ পঞ্চযোজী ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ মুক্ত ইলেক্ট্রন সরবরাহ করতে পারে।
১০। সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডকে রেকটিফাইং ডায়োড বলা হয় কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি, রেক্টিফারের মধ্য দিয়ে একমুখী কারেন্ট প্রবাহীত হয়, সেমিকন্ডাক্টরের মধ্য দিয়েও একমুখী কারেন্ট প্রবাহীত হয় এজন্য একে রেকটিফাইং ডায়োড বলে।
১১। রেকটিফায়ার ও রেকটিফিকেশন কাকে বলে? এদের শ্রেনীবিভাগ দেখাও।
উত্তরঃ রেকটিফায়ার: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তর করার জন্য যে ডিভাইস বা সার্কিট ব্যবহার করা হয় তাকে রেকটিফায়ার বলে।
রেকটিফায়ার দুই প্রকার :
১) হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার
২) ফুল ওয়েফ রেকটিফায়ার ,
ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার আবার দুই প্রকার
(ক) ফুল ওয়েভ ব্রীজ রেকটিফায়ার
(খ) সেন্টার ট্যাপ ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার।
রেকটিফিকেশন: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকে রেকটিফিকেশন বলে, অর্থাৎ রেকটিফিকেশন হল একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া।
১২। রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ রিপল যুক্ত ডিসি ভোল্টেজকে পিওর ডিসিতে রুপান্তর করার জন্য রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
১৩। হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ার এর সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ারের সুবিধা নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
১) ইনপুট সিগনালের পূর্ণ সাইকেলকেই আউটপুটে ডিসি আকারে পাওয়া যায়।
২) উচ্চ আউটপুট ভোল্টেজ এবং উচ্চ ট্রান্সফরমার দক্ষতা পাওয়া যায়।
৩) রিপল ফ্রিকোয়েন্সি তুলনামূলকভাবে কম।
৪) রেকটিফিকেশন দক্ষতা হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ারের দ্বিগুণ।
৫) তুলনামূলকভাবে রেগুলেশন ভালো।
১৪। খঊউ কি? এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ খঊউ এর পূর্ণ নাম (খরমযঃ ঊসরঃঃরহম উরড়ফব)। যে ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহীত হলেই সেটি থেকে আলো নির্গত হয় তাকে লাইট ইমিটিং ডায়োড বা খঊউ বলে।
এর ব্যবহার:
১) অডিও ভিডিও সিস্টেমে, ইলেক্ট্রনিক মিটারে।
২) ক্যালকুলেটর এবং ডিজিটাল মিটিারে।
৩) সলিড টেস্ট ভিডিও ডিসপ্লেতে।
৪) অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, কম্পিউটার এর মেমোরিতে।
৫) পাওয়ার ইন্ডিকেশন এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সার্কিটে।
৬) কমিউনিকেশন রিমোট কন্ট্রোলার এবং ফ্যাক্স এ।
৭) লেজারে ইনপুট পাওয়ার সরবরাহে।
১৫। ঝঈজ কি? একে কিভাবে ট্রিগারিং করা হয়?
উত্তরঃ তিন টার্মিনাল চার স্তর বিশিষ্ট যে সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস এসিকে ডিসিতে রুপান্তরিত করতে পারে এবং একই সাথে লোড কারেন্টকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাকে ঝঈজ বলে । এস.সি.আর. এর গেটে ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ট্রিগারিং করা হয়।
১৬। জিনার ভোল্টেজ কাকে বলে? জিনার ডায়োডের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ক্রিস্টাল ডায়োডে রিভার্স বায়াস বৃদ্ধি করতে থাকলে রিভার্স কারেন্ট খুব বেড়ে যায় এবং যে ভোল্টেজে রিভার্স কারেন্ট হঠাৎ খুব বেশি বৃদ্ধি পায় সে ভোল্টেজকে জিনার ভোল্টেজ বলে।
জিনার ডায়োডের ব্যবহার দেয়া হলো:
১) ষ্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়
২) প্রটেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়
৩) লিমিটার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪) স্কোয়ার ওয়েভ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।
১৭। সাধারণ ডায়োড ও জিনার ডায়োডের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ সাধারণ ডায়োড এবং জিনার ডায়োডের মধ্যে পার্থক্য দেয়া হলো:
সাধারণ ডায়োড | জিনার ডায়োড |
১। সাধারণ ডায়োডকে এর ভোল্টেজ রেটিং অনুযায়ী ডোপিং করা হয়। | ১। জিনার ডায়োডকে জিনার ভোল্টেজ অনুযায়ী ডোপিং করা হয় |
২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ জিনার ডায়োড অপেক্ষা কম। | ২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ সাধারণ ডায়োড অপেক্ষা বেশি। |
৩। এর কোনো নির্দিষ্ট ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ নেই। | ৩। এর একটি সূক্ষ ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ থাকে, যাকে জিনার ভোল্টেজ বলা হয়। |
৪। একে সব সময় ফরোয়ার্ড বায়াসে সংযোগ করা হয়। | ৪। একে সবসময় রিভার্স বায়াসে সংযোগ করা হয়। |
৫। লোডের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়। | ৫। লোডের সাথে প্যারালালে সংযোগ করা হয়। |
১৮। টানেল ডায়োড কি? এর বৈশিষ্ট রেখা অংকন কর।
উত্তরঃ টানেল ডায়োড একটি বিশেষভাবে তৈরি পিএন-জাংশন ডায়োড, যাকে সকল ডায়েডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ডোপিং করা হয়। ফলে এর পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার ভোল্টেজ নিম্ন হয়। এর ডিপ্লেশন লেয়ার খুব পাতলা হওয়ায় কন্ডাকশন ইলেক্ট্রন সমূহ খুব দ্রুত সুড়ঙ্গ পথে মুভ করে। এজন্য একে টানেল ডায়োড বলে।
১৯। সিলিকনের চেয়ে গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ সিলিকনের চেয়ে গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের সুবিধা নিম্নে দেয়া হলো:
১) সিলিকন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টর কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ভেজাল মিশ্রিত সেমিকন্ডাক্টর।
২) সিলিকনের সর্ববহিঃস্থ কক্ষে ৪টি মুক্ত ইলেক্ট্রন থাকে, কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথে একই রকম ইলেক্ট্রন থাকা সত্ত্বেও ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ বেশি থাকে।
৩) সিলিকনের তুলনায় কম তাপমাত্রাতেই গ্যালিয়াম আর্সেনাইড নিঃশেষিত অবস্থায় থাকে এবং তার বিদ্যুৎ পরিবাহীতা সিলিকনের তুলনায় বেশি।
৪) সিলিকনের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় গ্যালিয়াম আর্সেনাইড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
বেসিক ইলেকট্রনিক্স , soldering, সোল্ডারিং এর ধাপ, সোল্ডারিং, ব্রীজ রেকটিফায়ার
EmoticonEmoticon