চলুন জানি ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে
উৎপাদন কেন্দ্র হতে আবাসিক ভবন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌছানোর নিমিত্তে পরিবাহী তারের এক বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয়।ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন মূলত: এই বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের প্রধান দুটি অংশ। উৎপাদন কেন্দ্র হতে লোড সেন্টারস্থ উপকেন্দ্র সমূহে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন আর গ্রাহক প্রান্তে বিদ্যুৎ বিতরনের জন্য ডিস্টিবিউশন লাইন।
ওভারহেড/আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবস্থায় এসি বা ডিসি যে কোন পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন হতে পারে।বর্তমানে এসি জেনারেশন ও ট্রান্সমিশনের জন্য ৩-Q,৩ তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য ৩-Q,৪ তার পদ্ধতি একটি সার্বজনীন সিস্টেম বা প্রথায় পরিণত হয়েছ।
ওভারহেড সিস্টেমের তুলনায় আন্ডারগ্রাউন্ড সিস্টেম অধিক ব্যয় বহূল।কাজেই নদী-মাতৃক বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ওভারহেড ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন সিস্টেম প্রচলিত। যা হোক, ইৎপাদন কেন্দ্র থেকে গ্রাহক প্রান্ত পর্যন্ত সমগ্র বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক অথাৎ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম পূনরায় প্রাইমারী ও সেকেন্ডারি এই উভয় অংশে বিভক্ত।
ট্রানাসমিশন লাইন:- উৎপাদন কেন্দ্রের প্রেরন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সাব স্টেশন পর্যন্ত উচ্চ পাওয়ার পরিবহনের জন্য যে বিশাল বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয়,সেটি ট্রান্সমিশন লাইন।অধিক পাওয়ার পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন সিঙ্গেল-সার্কিট বা ডাবল-সার্কিট হতে পারে। অপারেটিং ভোল্টেজের ভিত্তিতে ট্রান্সমিশন লাইন দু’ভাগে বিভক্ত :
- ক. প্রাইমারি ট্রানাসমিশন :-২৩০ কেভি,১৩২ কেভি.
- খ. সেকেন্ডারি ট্রানাসমিশন :৬৬ কেভি,৩৩ কেভি.
ডিস্ট্রিবিউশন লাইন:-সাব স্টেশন থেকে গ্রাহক প্রান্তে অথাৎ আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরনের জন্য যে বৈদূতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয়,সেটি হচ্ছে ডিস্ট্রিবিশন লাইন।অপারেটিং ভোল্টেজের ভিত্তিতে ডিস্ট্রিবিউশন দু’ধরনের হয়ঃ
- ক. প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন:১১ কেভি,৬.৬ কেভি,৩.৩ কেভি.
- খ. সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন:৪৪০ ভোল্ট,২৩০ ভোল্ট.
এই পোস্টটি করার একমাএ উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের সকল কে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে একটু ধারনা দেওয়া।আমি চেষ্টা করেছি সংক্ষিপ্ত আকারে সহজে বুঝাতে।যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তবেই আমার লেখাটার উদ্দেশ্য সফল হবে।
EmoticonEmoticon