অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১। সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।
২। সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?
উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।
৩। রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।
উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে বাথা দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে।
বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।
বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।
৪। কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।
উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।
বিভিন্ন রং এর মানঃ কালো ০, বাদামী = ১, লাল = ২, কমলা = ৩, হলুদ = ৪, সবুজ = ৫, নীল = ৬, বেগুনী = ৭, ধূসর = ৮, সাদা = ৯, সোনালী = ৫%, রুপালী = ১০%, নো কালার = ২০%।
৫। রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বরতে কি বুঝ?
উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।
ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।
কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।
৬। টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।
৭। ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।
৮। কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে।
সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।
৯। ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।
উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে।
সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।
৯। ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।
উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে।
যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।
যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।
পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে।
যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।
যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।
১০। জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তরঃ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি তাপ সহ্য করতে পারে এবং সিলিকনের দাম কম।
১১। হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) াব চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।
ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।
ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।
১২। কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।
ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।
১৩। সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার। ১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর ২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর
খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি (ওহঃৎরহংরপ) সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল (ঊীঃৎরহংরপ) সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার: ১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
১৪। সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা: ১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়।
২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না।
৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি।
৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়।
৫) এটি ভঙ্গুর নয়।
সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা: ১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়।
২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ড বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা: ১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়।
২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না।
৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি।
৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়।
৫) এটি ভঙ্গুর নয়।
সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা: ১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়।
২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ড বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
১৫। বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপলাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।
বায়াসিং দুই প্রকার: ১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং ২) রিভার্স বায়াসিং
ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
১৬। লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্ন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।
১৭। নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ বলে।
১৮। ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।
ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিু অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।
১৯। ডিপ্লে¬শন লেয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লে¬শন লেয়ার বলে।
২০। ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের লোড লাইন বলে।
২১। কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই অপারেটিং বা ছ চড়রহঃ বা কুইসেন্ট বিন্দু বলে। এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তা জানতে পারি।
২৩। ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং উঈ কে খাঁটি উঈ তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।
ইহা পাঁচ প্রকারঃ ১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার ২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার ৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার
৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার ৫) ফিল্টার
৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার ৫) ফিল্টার
২৪। রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?
উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট একমুখী হলেও ইহা (ডধাবভঁষষ) আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে উঈ এবং অঈ উভয় ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।
পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।
২৫। জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?
উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন রিজিয়নে কাজ করে।
২৬। জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২৭। ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার:
১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২) ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়।
৩) রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪) মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৫) লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২) ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়।
৩) রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪) মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৫) লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
ডায়াকের ব্যবহার:
১) ট্রায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়।
২) আলো নি®েপ্রভ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
৩) তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৪) ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।
১) ট্রায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়।
২) আলো নি®েপ্রভ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
৩) তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৪) ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।
২৮। কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডায়োডের প্রতীক ও নাম লিখ।
উত্তরঃ জিনার ডায়োড, টানেল ডায়োড এবং লাইট ইমিটিং ডায়োড। নিুে এদের প্রতীক দেয়া হলো:
জিনার ডায়োড এর প্রতীক: টানেল ডায়োডের প্রতীক: লাইট ইমিটিং ডায়োডের প্রতীক:
উত্তরঃ জিনার ডায়োড, টানেল ডায়োড এবং লাইট ইমিটিং ডায়োড। নিুে এদের প্রতীক দেয়া হলো:
জিনার ডায়োড এর প্রতীক: টানেল ডায়োডের প্রতীক: লাইট ইমিটিং ডায়োডের প্রতীক:
২৯। ভ্যারাক্টর ডায়োড কি? ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি লিখ।
উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।
ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি: আউটপুট কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।
৩০। সোলার সেল এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।
৩১। রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?
উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।
৩২। ঝঈজ কে কত ভাবে ড়হ করা যায়?
উত্তরঃ ঝঈজ কে পাঁচ ভাবে ড়হ করা যায়, যথা:
১) গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি।
২) থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৩) রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৪) ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৫) ট্রিগারিং পদ্ধতি।
১) গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি।
২) থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৩) রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৪) ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৫) ট্রিগারিং পদ্ধতি।
বেসিক ইলেকট্রনিক্স (৬৮১১)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১। সোল্ডারিং এর সময় কি কি ধাপ বা পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়?
উত্তরঃ সোল্ডারিং এর ধাপ বা পদক্ষে সমূহ নিুরূপ:
১) তার নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য কর্তন।
২) সোল্ডারিং আয়রন, সোল্ডারিং ট্যাগ এবং লিড নির্বাচন।
৩) সোল্ডারিং ট্যাগ ও আয়রন টিপ পরিচ্ছন্নকরণ।
৪) দুটি তার যান্ত্রিকভাবে জোড়া দেয়া বা সোল্ডারিংকরণ।
৫) জয়েন্ট পরীক্ষা করতে হয়।
১) তার নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য কর্তন।
২) সোল্ডারিং আয়রন, সোল্ডারিং ট্যাগ এবং লিড নির্বাচন।
৩) সোল্ডারিং ট্যাগ ও আয়রন টিপ পরিচ্ছন্নকরণ।
৪) দুটি তার যান্ত্রিকভাবে জোড়া দেয়া বা সোল্ডারিংকরণ।
৫) জয়েন্ট পরীক্ষা করতে হয়।
২। ভালো ঝালাই করার শর্ত বা মূল নিয়ম কি? লিখ।
উত্তরঃ ভালোঝালাই এর শর্ত বা নিয়মসমূহ নিুরূপ:
১) ঝালাই এর পূর্বে ঝালাই এর স্থান রজন দ্বারা ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২) ইলেকট্রনিক সার্কিটের ক্ষেত্রে ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করতে হবে।
৩) সোল্ডারিং আয়রন ভালভাবে গরম করে নিতে হবে।
৪) অধিক পরিমাণ টিনযুক্ত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। যাতে টিন ও সীসার পরিমাণ ৬০ঃ৪০।
৫) প্রয়োজনমত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। খুব কম অথবা খুব বেশি সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করা যাবে না।
১) ঝালাই এর পূর্বে ঝালাই এর স্থান রজন দ্বারা ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২) ইলেকট্রনিক সার্কিটের ক্ষেত্রে ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করতে হবে।
৩) সোল্ডারিং আয়রন ভালভাবে গরম করে নিতে হবে।
৪) অধিক পরিমাণ টিনযুক্ত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। যাতে টিন ও সীসার পরিমাণ ৬০ঃ৪০।
৫) প্রয়োজনমত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। খুব কম অথবা খুব বেশি সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করা যাবে না।
৩। সোল্ডারিং আয়রন কি? কত পাওয়ারের সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ যাকে উত্তপ্ত করে দুটি পদার্থ একত্রিত করা যায় তাকে সোল্ডারিং আয়রন বলে। ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪। কয়েক ধরনের ক্যাপাসিটরের নাম লিখ, ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটর, সিরামিক ক্যাপাসিটর, ক্রিস্টল ক্যাপাসিটর ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য:
১) এটি আকারে ছোট।
২) এতে পজেটিভ ও নেগেটিভ ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট করা থাকে।
৩) ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করা হয়।
৪) শুধুমাত্র ডিসিতে ব্যবহার হয়।
১) এটি আকারে ছোট।
২) এতে পজেটিভ ও নেগেটিভ ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট করা থাকে।
৩) ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করা হয়।
৪) শুধুমাত্র ডিসিতে ব্যবহার হয়।
৫। এনার্জি ব্যান্ড কি? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ এনার্জি ব্যান্ড: অসংখ্য পরমাণুর সমন্বয়ে যখন কোন পদার্থ গঠিত হয় তখন বিভিন্ন অরবিটে ইলেক্ট্রনের এনার্জি সমূহ সারিবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। একে এনার্জি স্তর বা এনার্জি ব্যান্ড বলে।
এনার্জি ব্যান্ড তিন প্রকার: ১) ভ্যালেন্স ব্যান্ড ২) কন্ডাকশন ব্যান্ড ৩) ফরবিডেন ব্যান্ড
৬। সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্য:
১) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে।
২) এর কন্ডাকশন ব্যান্ড ইলেক্ট্রন থেকে প্রায় খালি থাকে।
৩) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ও কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ খুব সরু থাকে। প্রায় ।
৪) ০ড়শ তাপমাত্রায় কন্ডাকশন ব্যান্ডে কোনো ইলেক্ট্রন থাকে না।
৫) ০ড়শ তাপমাত্রায় ভ্যালেন্স ব্যান্ড সম্পূর্ণভাবে ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
৬) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাক্টরের পরিবাহীতা বৃদ্ধি পায় এবং রেজিস্টিভিটি হ্রাস পায়।
১) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে।
২) এর কন্ডাকশন ব্যান্ড ইলেক্ট্রন থেকে প্রায় খালি থাকে।
৩) এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ও কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ খুব সরু থাকে। প্রায় ।
৪) ০ড়শ তাপমাত্রায় কন্ডাকশন ব্যান্ডে কোনো ইলেক্ট্রন থাকে না।
৫) ০ড়শ তাপমাত্রায় ভ্যালেন্স ব্যান্ড সম্পূর্ণভাবে ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
৬) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাক্টরের পরিবাহীতা বৃদ্ধি পায় এবং রেজিস্টিভিটি হ্রাস পায়।
৭। কার্বোন, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ কার্বনের বৈশিষ্ট্য:
১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাধা দানের ক্ষমতা কমে যায়।
২) বৈদ্যুতিক মেশিনে কার্বন ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩) তলে কোন আয়রন তৈরী হয় না।
৪) পরিবাহীতা এ্যাডজাষ্ট্যাবল।
১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাধা দানের ক্ষমতা কমে যায়।
২) বৈদ্যুতিক মেশিনে কার্বন ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩) তলে কোন আয়রন তৈরী হয় না।
৪) পরিবাহীতা এ্যাডজাষ্ট্যাবল।
গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১) খঊউ – তে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ব্যবহার করলে লাল রঙের আলো পাওয়া যায়।
২) এর এনার্জি গ্যাপ ১.৩৪ বা।
৩) ১.২২ (ঠড়ষঃ) ফরোয়ার্ড বায়াসে আলোক শক্তি বিকিরন করতে পারে।
৪) এর পারমাণবিক দূরত্ব ২.৪৪ ।
১) খঊউ – তে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ব্যবহার করলে লাল রঙের আলো পাওয়া যায়।
২) এর এনার্জি গ্যাপ ১.৩৪ বা।
৩) ১.২২ (ঠড়ষঃ) ফরোয়ার্ড বায়াসে আলোক শক্তি বিকিরন করতে পারে।
৪) এর পারমাণবিক দূরত্ব ২.৪৪ ।
গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১) ইহা একটি যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ।
২) খঊউ -তে গ্যালিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করলে লাল ও সবুজ রঙের আলো পাওয়া যায়।
৩) এটি ১.২ ভোল্ট থেকে ২ ভোল্ট ফরোয়ার্ড বায়াসে প্রচুর আলো বিকিরন করে।
৮। ফরোয়ার্ড ও রিভার্স বায়াস কাকে বলে? চিত্রসহ দেখাও।
উত্তরঃ ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
১) ইহা একটি যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ।
২) খঊউ -তে গ্যালিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করলে লাল ও সবুজ রঙের আলো পাওয়া যায়।
৩) এটি ১.২ ভোল্ট থেকে ২ ভোল্ট ফরোয়ার্ড বায়াসে প্রচুর আলো বিকিরন করে।
৮। ফরোয়ার্ড ও রিভার্স বায়াস কাকে বলে? চিত্রসহ দেখাও।
উত্তরঃ ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
১০। পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন আলোচনা কর।
উত্তরঃ পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন দেখানো হয়েছে। যাতে চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম এর সাথে ভেজাল হিসেবে ত্রিযোজী গ্যালিয়াম কে মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (গ্যালিয়াম) একটি করে হোল সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ হোল সরবরাহ করতে পারে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন দেখানো হয়েছে। যাতে চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম এর সাথে ভেজাল হিসেবে ত্রিযোজী গ্যালিয়াম কে মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (গ্যালিয়াম) একটি করে হোল সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ হোল সরবরাহ করতে পারে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন দেখানো হয়েছে। যাতে চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম এর সাথে ভেজাল হিসেবে পঞ্চযোজী আর্সেনিক মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (আর্সেনিক) একটি করে মুক্ত ইলেক্ট্রন সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ পঞ্চযোজী ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ মুক্ত ইলেক্ট্রন সরবরাহ করতে পারে।
১১। সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডকে রেকটিফাইং ডায়োড বলা হয় কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি, রেক্টিফারের মধ্য দিয়ে একমুখী কারেন্ট প্রবাহীত হয়, সেমিকন্ডাক্টরের মধ্য দিয়েও একমুখী কারেন্ট প্রবাহীত হয় এজন্য একে রেকটিফাইং ডায়োড বলে।
১৩। রেকটিফায়ার ও রেকটিফিকেশন কাকে বলে? এদের শ্রেনীবিভাগ দেখাও।
উত্তরঃ রেকটিফায়ার: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তর করার জন্য যে ডিভাইস বা সার্কিট ব্যবহার করা হয় তাকে রেকটিফায়ার বলে। রেকটিফায়ার দুই প্রকার : ১) হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার ২) ফুল ওয়েফ রেকটিফায়ার , ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার আবার দুই প্রকার (ক) ফুল ওয়েভ ব্রীজ রেকটিফায়ার (খ) সেন্টার ট্যাপ ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার।
রেকটিফিকেশন: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকে রেকটিফিকেশন বলে, অর্থাৎ রেকটিফিকেশন হল একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া।
১৪। রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ রিপল যুক্ত ডিসি ভোল্টেজকে পিওর ডিসিতে রুপান্তর করার জন্য রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
১৬। হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ার এর সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ারের সুবিধা নিুে বর্ণনা করা হলো:
১) ইনপুট সিগনালের পূর্ণ সাইকেলকেই আউটপুটে ডিসি আকারে পাওয়া যায়।
২) উচ্চ আউটপুট ভোল্টেজ এবং উচ্চ ট্রান্সফরমার দক্ষতা পাওয়া যায়।
৩) রিপল ফ্রিকোয়েন্সি তুলনামূলকভাবে কম।
৪) রেকটিফিকেশন দক্ষতা হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ারের দ্বিগুণ।
৫) তুলনামূলকভাবে রেগুলেশন ভালো।
১) ইনপুট সিগনালের পূর্ণ সাইকেলকেই আউটপুটে ডিসি আকারে পাওয়া যায়।
২) উচ্চ আউটপুট ভোল্টেজ এবং উচ্চ ট্রান্সফরমার দক্ষতা পাওয়া যায়।
৩) রিপল ফ্রিকোয়েন্সি তুলনামূলকভাবে কম।
৪) রেকটিফিকেশন দক্ষতা হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ারের দ্বিগুণ।
৫) তুলনামূলকভাবে রেগুলেশন ভালো।
১৭। খঊউ কি? এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ খঊউ এর পূর্ণ নাম (খরমযঃ ঊসরঃঃরহম উরড়ফব)। যে ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহীত হলেই সেটি থেকে আলো নির্গত হয় তাকে লাইট ইমিটিং ডায়োড বা খঊউ বলে।
এর ব্যবহার:
১) অডিও ভিডিও সিস্টেমে, ইলেক্ট্রনিক মিটারে।
২) ক্যালকুলেটর এবং ডিজিটাল মিটিারে।
৩) সলিড টেস্ট ভিডিও ডিসপ্লেতে।
৪) অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, কম্পিউটার এর মেমোরিতে।
৫) পাওয়ার ইন্ডিকেশন এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সার্কিটে।
৬) কমিউনিকেশন রিমোট কন্ট্রোলার এবং ফ্যাক্স এ।
৭) লেজারে ইনপুট পাওয়ার সরবরাহে।
এর ব্যবহার:
১) অডিও ভিডিও সিস্টেমে, ইলেক্ট্রনিক মিটারে।
২) ক্যালকুলেটর এবং ডিজিটাল মিটিারে।
৩) সলিড টেস্ট ভিডিও ডিসপ্লেতে।
৪) অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, কম্পিউটার এর মেমোরিতে।
৫) পাওয়ার ইন্ডিকেশন এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সার্কিটে।
৬) কমিউনিকেশন রিমোট কন্ট্রোলার এবং ফ্যাক্স এ।
৭) লেজারে ইনপুট পাওয়ার সরবরাহে।
১৮। ঝঈজ কি? একে কিভাবে ট্রিগারিং করা হয়?
উত্তরঃ তিন টার্মিনাল চার স্তর বিশিষ্ট যে সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস এসিকে ডিসিতে রুপান্তরিত করতে পারে এবং একই সাথে লোড কারেন্টকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাকে ঝঈজ বলে । এস.সি.আর. এর গেটে ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ট্রিগারিং করা হয়।
১৯। জিনার ভোল্টেজ কাকে বলে? জিনার ডায়োডের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ক্রিস্টাল ডায়োডে রিভার্স বায়াস বৃদ্ধি করতে থাকলে রিভার্স কারেন্ট খুব বেড়ে যায় এবং যে ভোল্টেজে রিভার্স কারেন্ট হঠাৎ খুব বেশি বৃদ্ধি পায় সে ভোল্টেজকে জিনার ভোল্টেজ বলে।
নিুে জিনার ডায়োডের ব্যবহার দেয়া হলো:
১) ষ্ট্যাবিলাইজার হিেিসবে ব্যবহৃত হয়
২) প্রটেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়
৩) লিমিটার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪) স্কোয়ার ওয়েভ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।
২০। সাধারণ ডায়োড ও জিনার ডায়োডের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
নিুে জিনার ডায়োডের ব্যবহার দেয়া হলো:
১) ষ্ট্যাবিলাইজার হিেিসবে ব্যবহৃত হয়
২) প্রটেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়
৩) লিমিটার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪) স্কোয়ার ওয়েভ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।
২০। সাধারণ ডায়োড ও জিনার ডায়োডের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ সাধারণ ডায়োড এবং জিনার ডায়োডের মধ্যে পার্থক্য দেয়া হলো:
সাধারণ ডায়োড জিনার ডায়োড
১। সাধারণ ডায়োডকে এর ভোল্টেজ রেটিং অনুযায়ী ডোপিং করা হয়। ১। জিনার ডায়োডকে জিনার ভোল্টেজ অনুযায়ী ডোপিং করা হয়।
২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ জিনার ডায়োড অপেক্ষা কম। ২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ সাধারণ ডায়োড অপেক্ষা বেশি।
৩। এর কোনো নির্দিষ্ট ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ নেই। ৩। এর একটি সূক্ষ ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ থাকে, যাকে জিনার ভোল্টেজ বলা হয়।
৪। একে সব সময় ফরোয়ার্ড বায়াসে সংযোগ করা হয়। ৪। একে সবসময় রিভার্স বায়াসে সংযোগ করা হয়।
সাধারণ ডায়োড জিনার ডায়োড
১। সাধারণ ডায়োডকে এর ভোল্টেজ রেটিং অনুযায়ী ডোপিং করা হয়। ১। জিনার ডায়োডকে জিনার ভোল্টেজ অনুযায়ী ডোপিং করা হয়।
২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ জিনার ডায়োড অপেক্ষা কম। ২। ভেজাল মেশানোর পরিমাণ সাধারণ ডায়োড অপেক্ষা বেশি।
৩। এর কোনো নির্দিষ্ট ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ নেই। ৩। এর একটি সূক্ষ ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ থাকে, যাকে জিনার ভোল্টেজ বলা হয়।
৪। একে সব সময় ফরোয়ার্ড বায়াসে সংযোগ করা হয়। ৪। একে সবসময় রিভার্স বায়াসে সংযোগ করা হয়।
৫। লোডের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়। ৫। লোডের সাথে প্যারালালে সংযোগ করা হয়।
২১। টানেল ডায়োড কি? এর বৈশিষ্ট রেখা অংকন কর।
উত্তরঃ টানেল ডায়োড একটি বিশেষভাবে তৈরি পিএন-জাংশন ডায়োড, যাকে সকল ডায়েডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ডোপিং করা হয়। ফলে এর পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার ভোল্টেজ নিু হয়। এর ডিপ্লেশন লেয়ার খুব পাতলা হওয়ায় কন্ডাকশন ইলেক্ট্রন সমূহ খুব দ্রুত সুড়ঙ্গ পথে মুভ করে। এজন্য একে টানেল ডায়োড বলে।
উত্তরঃ টানেল ডায়োড একটি বিশেষভাবে তৈরি পিএন-জাংশন ডায়োড, যাকে সকল ডায়েডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ডোপিং করা হয়। ফলে এর পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার ভোল্টেজ নিু হয়। এর ডিপ্লেশন লেয়ার খুব পাতলা হওয়ায় কন্ডাকশন ইলেক্ট্রন সমূহ খুব দ্রুত সুড়ঙ্গ পথে মুভ করে। এজন্য একে টানেল ডায়োড বলে।
২২। সিলিকনের চেয়ে গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ সিলিকনের চেয়ে গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের সুবিধা নিুে দেয়া হলো:
১) সিলিকন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টর কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ভেজাল মিশ্রিত সেমিকন্ডাক্টর।
২) সিলিকনের সর্ববহিঃস্থ কক্ষে ৪টি মুক্ত ইলেক্ট্রন থাকে, কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথে একই রকম ইলেক্ট্রন থাকা সত্ত্বেও ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ বেশি থাকে।
৩) সিলিকনের তুলনায় কম তাপমাত্রাতেই গ্যালিয়াম আর্সেনাইড নিঃশেষিত অবস্থায় থাকে এবং তার বিদ্যুৎ পরিবাহীতা সিলিকনের তুলনায় বেশি।
৪) সিলিকনের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় গ্যালিয়াম আর্সেনাইড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
উত্তরঃ সিলিকনের চেয়ে গ্যালিয়াম আর্সেনাইডের সুবিধা নিুে দেয়া হলো:
১) সিলিকন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টর কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ভেজাল মিশ্রিত সেমিকন্ডাক্টর।
২) সিলিকনের সর্ববহিঃস্থ কক্ষে ৪টি মুক্ত ইলেক্ট্রন থাকে, কিন্তু গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথে একই রকম ইলেক্ট্রন থাকা সত্ত্বেও ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ বেশি থাকে।
৩) সিলিকনের তুলনায় কম তাপমাত্রাতেই গ্যালিয়াম আর্সেনাইড নিঃশেষিত অবস্থায় থাকে এবং তার বিদ্যুৎ পরিবাহীতা সিলিকনের তুলনায় বেশি।
৪) সিলিকনের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় গ্যালিয়াম আর্সেনাইড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
EmoticonEmoticon