যারা মূলত হ্যাকার নামে পরিচিত। অন্যের তথ্য হাতিয়ে বিক্রি করে দেওয়া বা আর্থিক লাভবান হওয়াই এদের কাজ। বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করতে পারে। পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান,
ম্যালওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে হ্যাক, তথ্য আদান প্রদানের সুযোগেহ্যাকিং, ই-মেইল হ্যাকিং, স্মার্টফোনের তথ্য হ্যাকিং, ওয়েবসাইট এবং চ্যাট রুমের মাধ্যমে তথ্য চুরিসহ আরও নানান উপায়ে গোপনীয় তথ্যের সন্ধানে থাকে হ্যাকাররা। তবে একটু সচেতন থাকলে হ্যাকারদেরও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়। জনপ্রিয় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অবলম্বনে এমন ১০ উপায় তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে।
১. আক্রান্ত সাইট সম্পর্কে সচেতন হোন:
কিছু নিবন্ধনবিহীন ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো প্রলুব্ধকারী সফটওয়্যারের সাহায্যে তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব সাইটে হ্যাকাররা বিভিন্ন উৎসবে সক্রিয় হয়। অনলাইনে কোনো উপহার কেনার সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন ও ছবি দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তাই হ্যাকিং বা ভাইরাস আক্রান্ত না হতে এসব সাইট এড়িয়ে চলতে হবে। ব্রাউজারে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করতে হবে। অথবা পরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।
২. ভুয়া অ্যাপস থেকে সাবধান
স্মার্টফোনে নতুন কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। কেননা কাঙ্খিত অ্যাপসটির সঙ্গে অনেক ক্ষতিকারক অ্যাপসও জুড়ে দেওয়া হয়। এগুলো ভুলক্রমে ডাউনলোড হলে এর ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ফোনের তথ্য চুরি বা নষ্ট করতে পারে। তাই এসব ক্ষতিকারক অ্যাপস থেকে বাঁচতে ইউজার রিভিউ ব্যবহার দেখে নিতে হবে। অথবা অ্যাপস নির্মাতা সম্পর্কে ভালো ভাবে তথ্য যাচাই করে নিতে হবে।
৩. আন্তর্জাতিক কল করতে সাবধানতা অবলম্বন:
ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে অথবা মডেমের সাহায্যে আন্তর্জাতিক কল এখন প্রায় সবাই করেন। এমনটি করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন অনেকেই। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কেননা কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে ডায়ালার অথবা ভিউয়ার নামে কিছু কন্টেট ডাউনলোড করতে বলা হয়। এসব কন্টেট ডাউনলোড করলে তা ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং ফোন বিল কাটা শুরু করে দিবে। এ থেকে নিরাপত্তা পেতে ওই সব প্রোগ্রাম ডাউনলোড থেকে বিরত থাকতে হবে। অথবা কম্পিউটারে এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
৪. ফিশিং থেকে সাবধান:
ফিশিং তথ্য চুরির একটি পুরনো পদ্ধতি হলেও তা এখনও বেশ কার্যকর। এর মাধ্যমে ই-মেইলে যে কোনো সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা বিল পেমেন্ট সাইট থেকে ই-মেইল আসে। এসব মেইল সম্পর্কে সতর্ক না থাকলে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য যেমন: পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বৃত্তান্ত ইত্যাদি চুরি হতে পারে। এমনকি এসব মেইল আক্রান্ত সাইটগুলোর লিংকও বহন করে। তাই এসব মেইল সুরক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে। যে কোনো মেইল ওপেন করার আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে। এবং সন্দেহ হলে প্রয়োজনে ইউআরএল স্ক্যান করতে হবে।
৫. ফার্মিং থেকে সাবধান
এটি ফার্মিং এবং ফিশিংয়ের মিলিত রূপ। এ ধারায় হ্যাকাররা ডোমেইন কিনে পরোক্ষভাবে অন্য একটি ওয়েবসাইটের নাম জুড়ে দেয় এবং ওই ওয়েবসাইটকে বাঁধাগ্রস্ত করে। মূলত বড় কাজ যেমন: ব্যাংক অথবা আয়কর বিভাগের তথ্য চুরি করতে হ্যাকাররা ফার্মিং ব্যবহার করে। এমনকি তারা এর সাহায্যে পিন, পাসওয়ার্ড অথবা অ্যাকাউন্ট নম্বর চুরি করে নেয়। এ থেকে সুরক্ষা পেতে নিরাপদ ওয়েব কানেকশন ব্যবহার করতে হবে এবং গোপনীয়তা মেইনটেইন করতে হবে।
৬. ওয়াই-ফাই হ্যাকিং:
বিমানবন্দর, বাস টার্মিনাল, কফি শপের মতো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট লগ অনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এমন ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহারে সবচেয়ে সহজে পাসওয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করা যায়। এমনকি হ্যাকাররা চাইলে ব্রাউজার হিস্টোরিতেও প্রবেশাধিকার পাবে। এ ঝুঁকি আরও প্রবল হবে অ্যাকাউন্ট লগ অনের সময় পাসওয়ার্ড সেইভ করে রাখলে। স্মার্টফোনে গুরুত্বপূর্ণ একাউন্টে ঢুকতে থ্রি-জি অথবা ফোর-জি সংযোগ ব্যবহার করলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
৭. অনলাইন নিলাম এবং কেনাকেচায় সতর্কতা:
অনলাইন নিলাম কিংবা শপিংয়ের ক্ষেত্রে ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র অথবা গ্যাজেটের বিজ্ঞাপন দেওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু এতেও হ্যাকারদের ধোঁকাবাজিতে পড়তে পারেন অনেকেই। অনেক সময় মানহীন পণ্য গছিয়ে দেওয়া কিংবা যে দাম লেখা আছে তার চেয়ে বেশি দর দেওয়ার মতো ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এমনকি ক্রেডিড কার্ডও জালিয়তির খপ্পরে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা নন, বিক্রেতাও ধোঁকা খেতে পারেন। এসব ঝামেলা থেকে বাচঁতে পণ্যটি সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে। পারলে বিক্রেতার খোঁজ নেওয়া এবং শুধু ই-মেইল কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এসব পণ্য না কিনে সরাসরি কথা বলতে হবে।
৮. অনলাইন বিনিয়োগে সাবধানতা:
অনেক সময় অনলাইনে কোনো কেম্পানির শেয়ার সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়। এতে বিনিয়োগ করলে চরম ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা থাকে। তাই বিনিয়োগের আগে কোম্পানির শেয়ার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। নিজে খোঁজ খবর না নিয়ে অথবা কারো তথ্যে বিশ্বাস করে বিনেয়োগ করলে ধোঁকাবাজদের হাতে অর্থ তুলে দিতে হতে পারে।
৯. চাকরিসংক্রান্ত ধোঁকাবাজি:
চাকরির বিষয়টি খুবই নাজুক একটি বিষয়। বেকররা সব সময় যে কোনো উপায়ে কাজ পেতে চায়। এ সুযোগটিই নেয় একটি সুযোগসন্ধানী চক্র। কখনও দেশি বা বিদেশি কোম্পানিতে নিয়োগের কথা বলে সরাসরি অর্থ (অগ্রিম ফিস, গ্যারান্টি বা জামানত) দাবি করা হয়। আবার কখনও বিদেশে চাকরির নামে অর্থ দাবি করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কোম্পানির বিষয়ে ঠিকভাবে না জেনে অর্থ দিলে চক্রটি চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেবে।
১০. ক্লিক স্ক্যাম:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা অনলাইন সাইটে গেইম বা ড্যান্সিং/জাম্পিং অপশনে ক্লিক করতে বলা হয়। ভুলেও এসব অপশনে ক্লিক করা যাবে না। কেননা এগুলো ব্যক্তিগত তথ্য সকলের কাছে ছড়িয়ে দেবে অথবা কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নেবে।
ম্যালওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে হ্যাক, তথ্য আদান প্রদানের সুযোগেহ্যাকিং, ই-মেইল হ্যাকিং, স্মার্টফোনের তথ্য হ্যাকিং, ওয়েবসাইট এবং চ্যাট রুমের মাধ্যমে তথ্য চুরিসহ আরও নানান উপায়ে গোপনীয় তথ্যের সন্ধানে থাকে হ্যাকাররা। তবে একটু সচেতন থাকলে হ্যাকারদেরও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়। জনপ্রিয় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অবলম্বনে এমন ১০ উপায় তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে।
১. আক্রান্ত সাইট সম্পর্কে সচেতন হোন:
কিছু নিবন্ধনবিহীন ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো প্রলুব্ধকারী সফটওয়্যারের সাহায্যে তথ্য হাতিয়ে নেয়। এসব সাইটে হ্যাকাররা বিভিন্ন উৎসবে সক্রিয় হয়। অনলাইনে কোনো উপহার কেনার সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন ও ছবি দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তাই হ্যাকিং বা ভাইরাস আক্রান্ত না হতে এসব সাইট এড়িয়ে চলতে হবে। ব্রাউজারে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করতে হবে। অথবা পরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।
২. ভুয়া অ্যাপস থেকে সাবধান
স্মার্টফোনে নতুন কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। কেননা কাঙ্খিত অ্যাপসটির সঙ্গে অনেক ক্ষতিকারক অ্যাপসও জুড়ে দেওয়া হয়। এগুলো ভুলক্রমে ডাউনলোড হলে এর ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ফোনের তথ্য চুরি বা নষ্ট করতে পারে। তাই এসব ক্ষতিকারক অ্যাপস থেকে বাঁচতে ইউজার রিভিউ ব্যবহার দেখে নিতে হবে। অথবা অ্যাপস নির্মাতা সম্পর্কে ভালো ভাবে তথ্য যাচাই করে নিতে হবে।
৩. আন্তর্জাতিক কল করতে সাবধানতা অবলম্বন:
ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে অথবা মডেমের সাহায্যে আন্তর্জাতিক কল এখন প্রায় সবাই করেন। এমনটি করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন অনেকেই। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কেননা কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে ডায়ালার অথবা ভিউয়ার নামে কিছু কন্টেট ডাউনলোড করতে বলা হয়। এসব কন্টেট ডাউনলোড করলে তা ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং ফোন বিল কাটা শুরু করে দিবে। এ থেকে নিরাপত্তা পেতে ওই সব প্রোগ্রাম ডাউনলোড থেকে বিরত থাকতে হবে। অথবা কম্পিউটারে এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
৪. ফিশিং থেকে সাবধান:
ফিশিং তথ্য চুরির একটি পুরনো পদ্ধতি হলেও তা এখনও বেশ কার্যকর। এর মাধ্যমে ই-মেইলে যে কোনো সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা বিল পেমেন্ট সাইট থেকে ই-মেইল আসে। এসব মেইল সম্পর্কে সতর্ক না থাকলে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য যেমন: পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বৃত্তান্ত ইত্যাদি চুরি হতে পারে। এমনকি এসব মেইল আক্রান্ত সাইটগুলোর লিংকও বহন করে। তাই এসব মেইল সুরক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে। যে কোনো মেইল ওপেন করার আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে। এবং সন্দেহ হলে প্রয়োজনে ইউআরএল স্ক্যান করতে হবে।
৫. ফার্মিং থেকে সাবধান
এটি ফার্মিং এবং ফিশিংয়ের মিলিত রূপ। এ ধারায় হ্যাকাররা ডোমেইন কিনে পরোক্ষভাবে অন্য একটি ওয়েবসাইটের নাম জুড়ে দেয় এবং ওই ওয়েবসাইটকে বাঁধাগ্রস্ত করে। মূলত বড় কাজ যেমন: ব্যাংক অথবা আয়কর বিভাগের তথ্য চুরি করতে হ্যাকাররা ফার্মিং ব্যবহার করে। এমনকি তারা এর সাহায্যে পিন, পাসওয়ার্ড অথবা অ্যাকাউন্ট নম্বর চুরি করে নেয়। এ থেকে সুরক্ষা পেতে নিরাপদ ওয়েব কানেকশন ব্যবহার করতে হবে এবং গোপনীয়তা মেইনটেইন করতে হবে।
৬. ওয়াই-ফাই হ্যাকিং:
বিমানবন্দর, বাস টার্মিনাল, কফি শপের মতো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট লগ অনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এমন ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহারে সবচেয়ে সহজে পাসওয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করা যায়। এমনকি হ্যাকাররা চাইলে ব্রাউজার হিস্টোরিতেও প্রবেশাধিকার পাবে। এ ঝুঁকি আরও প্রবল হবে অ্যাকাউন্ট লগ অনের সময় পাসওয়ার্ড সেইভ করে রাখলে। স্মার্টফোনে গুরুত্বপূর্ণ একাউন্টে ঢুকতে থ্রি-জি অথবা ফোর-জি সংযোগ ব্যবহার করলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
৭. অনলাইন নিলাম এবং কেনাকেচায় সতর্কতা:
অনলাইন নিলাম কিংবা শপিংয়ের ক্ষেত্রে ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র অথবা গ্যাজেটের বিজ্ঞাপন দেওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু এতেও হ্যাকারদের ধোঁকাবাজিতে পড়তে পারেন অনেকেই। অনেক সময় মানহীন পণ্য গছিয়ে দেওয়া কিংবা যে দাম লেখা আছে তার চেয়ে বেশি দর দেওয়ার মতো ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এমনকি ক্রেডিড কার্ডও জালিয়তির খপ্পরে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা নন, বিক্রেতাও ধোঁকা খেতে পারেন। এসব ঝামেলা থেকে বাচঁতে পণ্যটি সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে। পারলে বিক্রেতার খোঁজ নেওয়া এবং শুধু ই-মেইল কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এসব পণ্য না কিনে সরাসরি কথা বলতে হবে।
৮. অনলাইন বিনিয়োগে সাবধানতা:
অনেক সময় অনলাইনে কোনো কেম্পানির শেয়ার সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়। এতে বিনিয়োগ করলে চরম ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা থাকে। তাই বিনিয়োগের আগে কোম্পানির শেয়ার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। নিজে খোঁজ খবর না নিয়ে অথবা কারো তথ্যে বিশ্বাস করে বিনেয়োগ করলে ধোঁকাবাজদের হাতে অর্থ তুলে দিতে হতে পারে।
৯. চাকরিসংক্রান্ত ধোঁকাবাজি:
চাকরির বিষয়টি খুবই নাজুক একটি বিষয়। বেকররা সব সময় যে কোনো উপায়ে কাজ পেতে চায়। এ সুযোগটিই নেয় একটি সুযোগসন্ধানী চক্র। কখনও দেশি বা বিদেশি কোম্পানিতে নিয়োগের কথা বলে সরাসরি অর্থ (অগ্রিম ফিস, গ্যারান্টি বা জামানত) দাবি করা হয়। আবার কখনও বিদেশে চাকরির নামে অর্থ দাবি করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কোম্পানির বিষয়ে ঠিকভাবে না জেনে অর্থ দিলে চক্রটি চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেবে।
১০. ক্লিক স্ক্যাম:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা অনলাইন সাইটে গেইম বা ড্যান্সিং/জাম্পিং অপশনে ক্লিক করতে বলা হয়। ভুলেও এসব অপশনে ক্লিক করা যাবে না। কেননা এগুলো ব্যক্তিগত তথ্য সকলের কাছে ছড়িয়ে দেবে অথবা কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নেবে।
EmoticonEmoticon