পৃথিবীতে এখনো এমন অনেক যায়গা রয়েছে যেটা রীতিমত বিস্ময়কর এবং আমাদের অজানা। আজকে মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের সেই অপরিচিত কিন্তু বিস্ময়কর যায়গাগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেঃ
১০) লেক হিলিয়ার, অষ্ট্রেলিয়া
লেক হিলিয়ার সারা পৃথিবীর ভিতরে অন্যতম রহস্যময় স্থান। এটি মূলত একটি লেক। কিন্তু এই লেকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর পানি পুরোটাই গোলাপী বর্নের। মনে হবে ষ্ট্রবেরী মিল্ক শেক তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রায় ২০০০ ফিট লম্বা এবং ৬০০ ফিট চওড়া। লেকের চারপাশে রয়েছে সাদা মাটির কাদা। রেড হাইলোপিলিক নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বেশী থাকার কারনে এর পানি গোলাপী বর্ন ধারন করেছে। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এটি পানি সম্পূর্ন নিরাপদ, শুধু রং টা গোলাপী এই হচ্ছে ব্যাপার।
০৯) ডেড ভ্যালি, নামিবিয়া
দেখলে মনে হবে অন্য কোন গ্রহে চলে এসেছি। কোথাও্ এক ফোঁটা পানি নেই। গাছগুলো মরে গেছে। শুধু রয়েছে গাজের কংকাল। তাই আকাশও পানি শূন্যতায় সব সময় লাল মেঘে ঢাকা থাকে। সাক্ষাৎ মঙ্গলগ্রহের মতো লাগে দেখতে। সত্যিই বিস্ময়কর স্থান।
০৮) জাঙ্গিং ড্যাংক্সিয়া ল্যান্ড ফর্ম, চায়না
চীনের গাংডু প্রদেশে অবস্থিত এই পাহাড়গুলো বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। প্রথমে দেখলে মনে হবে কোন শিল্পী তার রংতুলির আঁচড় প্রতিটা পাহাড়ে লেপে দিয়েছেন। কিন্তু নাহ! প্রাকৃতিকভাবেই প্রত্যেকটা পাহাড় লাল, গোলাপী, সবুজ, হলুদ রংয়ের। বৃষ্টির সময় ধুলো মুছে গিয়ে একদম চকচক করে। প্রথম দেখে যে কারো বিস্ময়কর লাগবে।
০৭) এ্যাচান্টেড ওয়েল, ব্রাজিল
চাপাডা দিয়ামান্তনা ন্যাশনাল পার্ক, ব্রাজিলে অবস্থিত বিশেষ একটি কুয়া। যেটি প্রায় ১২৫ ফুট গভীর। মজার ব্যাপার হচ্ছে সূর্যের আলো যখন পানিতে পরে তখন একদম নিচ পর্যন্ত দেখা যায়। আর বিশেষত্ব হচ্ছে সূর্যের আলী পরলে এর পানি নীল বর্ন ধারন করে।
০৬) মাউন্ট রোরোমিয়া, সাউথ আমেরিকা
দূর থেকে দেখলে মনে হবে মানবসৃষ্ট কোন বিশাল আকৃতির দুর্গ। কিন্তু হাজার হাজার বছর পূর্বে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই রকম সৃষ্টি হয়েছে। ব্রাজিল, ভেনেজুয়ালা সহ আরো একটি দেশের বর্ডারে এটি অবস্থিত। এটি এতই খারা পাহাড় যে, এটির উপরে ওঠা এখনও কারও সম্ভব হয়নি। মানুষ অনেক যায়গা জয় করলেও এটি এখনো কিভাবে জয় করতে পারেনি সেটাই বিস্ময়কর ব্যাপার।
০৫) তার্কুইস আইস, লেক বৈকাল, রাশিয়া
শীতের সময় এই লেকের পানি জমে বরফ হয়ে এতটাই ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার হয়ে যায় যে, বরফগুলো হিরে জহরতের মতো চিকচিক করে আর মনে হবে আপনি কোন হিরের জগতে চলে এসেছেন।
০৪) চকলেট হিলস, ফিলিপাইন
ফিলিপাইনের বোহো দ্বীপে অবস্থিত এই পাহাড়গুলোর নাম চকলেট হিলস। সারা বছর পাহাড়গুলো সবুজ বর্নের থাকলেও গ্রীষ্মসহ যে কোন শুষ্ক মৌসুমে এর লতাপাতাগুলো ব্রাউন বা বাদামী কালার ধারন করে, ফলে দুর থেকে দেখলে মনে হয় আপনি কিকক্যাট চকলেটের জগতে চলে এসছেন।
০৩) দি ক্রিষ্টাল কার্ভেনস, মেক্সিকো
এটি মূলত একটি জিপসামের খনি। মাটির প্রায় ১০০০ ফুট নিচে মেকিক্সোর এই খনিটির নাম নাইকা সিলভার মাইন। প্রায় ৩৬টির মতো সলিড ক্রিষ্টাল আছে এখানে। ধারনা করা হয় অগ্ন্যৎপাতের ফলে হাজার বছর পূর্বে এটি সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দেখলে মনে হবে আপনি বোম্বে স্যুইটসের পটেটো স্টিকস দেখছেন।
০২) দি আই অব সাহারা, আফ্রিকা
এটিকে সাহারার চোখ বলা হয়। হঠাৎ দেখলে মনে হবে কোন এক কালে এখানে এলিয়েনদের যান নেমেছিলো। বিশাল এলাকা জুড়ে গোল গোল সার্কেল আছে এখানে। পরে এটির আয়তন মেপে দেখা যায় প্রায় ২৫-৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এর অবস্থান। এটি সাহারা মরুভূমির একদম মাঝখানে অবস্থিত। এখানে একা গেলে আর ফিরে আসা যায়না। এতই গরম যে এখান থেকে লাভার মতো তাপ বের হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি সর্ব প্রথম আবিষ্কার হয় মহাকাশ থেকে। একজন নভোচারী এই যায়গা দেখে পরে এখানে হেলিকপ্টারে আসেন। কেননা হেটে আসার আগেই যে কেউ প্রচন্ড তাপে, তেষ্টায় মারা যাবে।
০১) তিয়ানজি মাউন্টেন, চায়না
জেমস ক্যামেরুনের এভাটার মুভিটা নিশ্চয়ই দেখেছেন? এই পাহাড়গুলো সেই মুভিতেই দেখা গেছে। যদিও প্রথমে সবাই ভেবেছিলো সেগুলো ভিজ্যুয়াল এফেক্ট দিয়ে তৈরি করা কিন্তু সত্যি এই পাহাড়গুলোর খোঁজ পাওয়া যায় চীনে। এগুলো এতো খাড়া আর এতো সরু যে, এখানে মানুষের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব নয়। হাজার হাজার বছর ধরে এই পাহাড়গুলো এভাবেই টিকে আছে।
১০) লেক হিলিয়ার, অষ্ট্রেলিয়া
লেক হিলিয়ার সারা পৃথিবীর ভিতরে অন্যতম রহস্যময় স্থান। এটি মূলত একটি লেক। কিন্তু এই লেকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর পানি পুরোটাই গোলাপী বর্নের। মনে হবে ষ্ট্রবেরী মিল্ক শেক তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রায় ২০০০ ফিট লম্বা এবং ৬০০ ফিট চওড়া। লেকের চারপাশে রয়েছে সাদা মাটির কাদা। রেড হাইলোপিলিক নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বেশী থাকার কারনে এর পানি গোলাপী বর্ন ধারন করেছে। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এটি পানি সম্পূর্ন নিরাপদ, শুধু রং টা গোলাপী এই হচ্ছে ব্যাপার।
০৯) ডেড ভ্যালি, নামিবিয়া
দেখলে মনে হবে অন্য কোন গ্রহে চলে এসেছি। কোথাও্ এক ফোঁটা পানি নেই। গাছগুলো মরে গেছে। শুধু রয়েছে গাজের কংকাল। তাই আকাশও পানি শূন্যতায় সব সময় লাল মেঘে ঢাকা থাকে। সাক্ষাৎ মঙ্গলগ্রহের মতো লাগে দেখতে। সত্যিই বিস্ময়কর স্থান।
০৮) জাঙ্গিং ড্যাংক্সিয়া ল্যান্ড ফর্ম, চায়না
চীনের গাংডু প্রদেশে অবস্থিত এই পাহাড়গুলো বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। প্রথমে দেখলে মনে হবে কোন শিল্পী তার রংতুলির আঁচড় প্রতিটা পাহাড়ে লেপে দিয়েছেন। কিন্তু নাহ! প্রাকৃতিকভাবেই প্রত্যেকটা পাহাড় লাল, গোলাপী, সবুজ, হলুদ রংয়ের। বৃষ্টির সময় ধুলো মুছে গিয়ে একদম চকচক করে। প্রথম দেখে যে কারো বিস্ময়কর লাগবে।
০৭) এ্যাচান্টেড ওয়েল, ব্রাজিল
চাপাডা দিয়ামান্তনা ন্যাশনাল পার্ক, ব্রাজিলে অবস্থিত বিশেষ একটি কুয়া। যেটি প্রায় ১২৫ ফুট গভীর। মজার ব্যাপার হচ্ছে সূর্যের আলো যখন পানিতে পরে তখন একদম নিচ পর্যন্ত দেখা যায়। আর বিশেষত্ব হচ্ছে সূর্যের আলী পরলে এর পানি নীল বর্ন ধারন করে।
০৬) মাউন্ট রোরোমিয়া, সাউথ আমেরিকা
দূর থেকে দেখলে মনে হবে মানবসৃষ্ট কোন বিশাল আকৃতির দুর্গ। কিন্তু হাজার হাজার বছর পূর্বে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই রকম সৃষ্টি হয়েছে। ব্রাজিল, ভেনেজুয়ালা সহ আরো একটি দেশের বর্ডারে এটি অবস্থিত। এটি এতই খারা পাহাড় যে, এটির উপরে ওঠা এখনও কারও সম্ভব হয়নি। মানুষ অনেক যায়গা জয় করলেও এটি এখনো কিভাবে জয় করতে পারেনি সেটাই বিস্ময়কর ব্যাপার।
০৫) তার্কুইস আইস, লেক বৈকাল, রাশিয়া
শীতের সময় এই লেকের পানি জমে বরফ হয়ে এতটাই ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার হয়ে যায় যে, বরফগুলো হিরে জহরতের মতো চিকচিক করে আর মনে হবে আপনি কোন হিরের জগতে চলে এসেছেন।
০৪) চকলেট হিলস, ফিলিপাইন
ফিলিপাইনের বোহো দ্বীপে অবস্থিত এই পাহাড়গুলোর নাম চকলেট হিলস। সারা বছর পাহাড়গুলো সবুজ বর্নের থাকলেও গ্রীষ্মসহ যে কোন শুষ্ক মৌসুমে এর লতাপাতাগুলো ব্রাউন বা বাদামী কালার ধারন করে, ফলে দুর থেকে দেখলে মনে হয় আপনি কিকক্যাট চকলেটের জগতে চলে এসছেন।
০৩) দি ক্রিষ্টাল কার্ভেনস, মেক্সিকো
এটি মূলত একটি জিপসামের খনি। মাটির প্রায় ১০০০ ফুট নিচে মেকিক্সোর এই খনিটির নাম নাইকা সিলভার মাইন। প্রায় ৩৬টির মতো সলিড ক্রিষ্টাল আছে এখানে। ধারনা করা হয় অগ্ন্যৎপাতের ফলে হাজার বছর পূর্বে এটি সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দেখলে মনে হবে আপনি বোম্বে স্যুইটসের পটেটো স্টিকস দেখছেন।
০২) দি আই অব সাহারা, আফ্রিকা
এটিকে সাহারার চোখ বলা হয়। হঠাৎ দেখলে মনে হবে কোন এক কালে এখানে এলিয়েনদের যান নেমেছিলো। বিশাল এলাকা জুড়ে গোল গোল সার্কেল আছে এখানে। পরে এটির আয়তন মেপে দেখা যায় প্রায় ২৫-৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এর অবস্থান। এটি সাহারা মরুভূমির একদম মাঝখানে অবস্থিত। এখানে একা গেলে আর ফিরে আসা যায়না। এতই গরম যে এখান থেকে লাভার মতো তাপ বের হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি সর্ব প্রথম আবিষ্কার হয় মহাকাশ থেকে। একজন নভোচারী এই যায়গা দেখে পরে এখানে হেলিকপ্টারে আসেন। কেননা হেটে আসার আগেই যে কেউ প্রচন্ড তাপে, তেষ্টায় মারা যাবে।
০১) তিয়ানজি মাউন্টেন, চায়না
জেমস ক্যামেরুনের এভাটার মুভিটা নিশ্চয়ই দেখেছেন? এই পাহাড়গুলো সেই মুভিতেই দেখা গেছে। যদিও প্রথমে সবাই ভেবেছিলো সেগুলো ভিজ্যুয়াল এফেক্ট দিয়ে তৈরি করা কিন্তু সত্যি এই পাহাড়গুলোর খোঁজ পাওয়া যায় চীনে। এগুলো এতো খাড়া আর এতো সরু যে, এখানে মানুষের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব নয়। হাজার হাজার বছর ধরে এই পাহাড়গুলো এভাবেই টিকে আছে।
EmoticonEmoticon