►পাওয়ার ফ্যাক্টর (Power Factor or pf):
অথবা
অ্যাকটিভ পাওয়ার ও আপাত পাওয়ারের অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
মানে পাওয়ার ফ্যাক্টর = অ্যাকটিভ পাওয়ার / আপাত পাওয়ার
কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণ ϴ হলে,
পাওয়ার ফ্যাক্টর হবে (pf) = Cosϴ
■ পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকার:
১. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor)
২. লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor)
৩. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)
■ ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor):
এ.সি. সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে ইন্ডাকটিভ লোড বেশী হলে, কারেন্ট ভোল্টেজের পরে অবস্থান করে,অর্থাৎ কারেন্ট Lag করে
(ইনডাকটিভ সার্কিট এর ভেক্টর ডায়াগ্রাম দেখলেও দেখা যায় কারেন্ট Lag করতেছে) সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে ইন্ডাকটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
E L I
ই.এম.এফ.(E) ইন্ডাক্টর(L) কারেন্ট(I)
L তে ইন্ডাকটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ইন্ডাকটিভ সার্কিটে ভোল্টেজ আগে, কারেন্ট পরে।
■ লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor)
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোডের চেয়ে ক্যাপাসিটিভ লোড বেশী হলে, ভোল্টেজ কারেন্টের পরে অবস্থান করে, অর্থাৎ কারেন্ট লিড করে (কেপাসিটিভ সার্কিট এর ভেক্টর ডায়াগ্রাম দেখলেও দেখা যায় কারেন্ট Lead করতেছে) সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
I C E
কারেন্ট(I) ক্যাপাসিটর(C) ই.এম.এফ.(E)
C তে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে কারেন্ট আগে, ভোল্টেজ পরে।
■ ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)
আরো কিছু তথ্য :
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোড ও ক্যাপাসিটিভ লোড সমান হলে, ভোল্টেজ ও কারেন্ট একসাথে অবস্থান করে, সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। অর্থাৎ এখানে কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর কোণের কোসাইন জিরো।
এই সার্কিটকে রেজিস্টিভ সার্কিট বলে। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর 1 হয়।
১. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার অর্থাৎ যে পাওয়ার আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। ইহাকে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার মান 0 হতে 1 পর্যন্ত। পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্দেশ করে শতকরা কত ভাগ electricity আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি। একটিভ পাওয়ার কিলোওয়াট (kW) এ পারিমাপ করা হয় এবং এ্যাপারেন্ট পাওয়ার ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার(KVA)এ পরিমাপ করা হয়।
একটিভ পাওয়ার (kW)=VIcosθ, এ্যপারেন্ট পাওয়ার (kVA)=VI
পাওয়ার ফ্যাক্টর,cosθ =kW/kVA, এখানে θ হল কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণ। অর্থাৎ কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের cosine মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার অর্থাৎ যে পাওয়ার আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। ইহাকে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার মান 0 হতে 1 পর্যন্ত। পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্দেশ করে শতকরা কত ভাগ electricity আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি। একটিভ পাওয়ার কিলোওয়াট (kW) এ পারিমাপ করা হয় এবং এ্যাপারেন্ট পাওয়ার ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার(KVA)এ পরিমাপ করা হয়।
একটিভ পাওয়ার (kW)=VIcosθ, এ্যপারেন্ট পাওয়ার (kVA)=VI
পাওয়ার ফ্যাক্টর,cosθ =kW/kVA, এখানে θ হল কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণ। অর্থাৎ কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের cosine মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
২. পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% বলতে কি বুঝ?
পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% অর্থাৎ Cosθ= ০.৮ বলতে বুঝি ১০০ kVA সাপ্লাই পাওয়ার হলে ৮০ কিলোওয়াট একটিভ পাওয়ার পাওয়া যাবে। পাওয়ার ফ্যাক্টর লোড এর উপর র্নিভর করে।
পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% অর্থাৎ Cosθ= ০.৮ বলতে বুঝি ১০০ kVA সাপ্লাই পাওয়ার হলে ৮০ কিলোওয়াট একটিভ পাওয়ার পাওয়া যাবে। পাওয়ার ফ্যাক্টর লোড এর উপর র্নিভর করে।
৩. ল্যাগিং, লিডিং এবং ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে কি বোঝায়?
লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হল যখন কারেন্ট ভোল্টেজ এর থেকে এগিয়ে থাকে। যেমনঃ ৯০ ডিগ্রী লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে বোঝায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাপেক্ষে ৯০ ডিগ্রী এগিয়ে আছে।
ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হল যখন কারেন্ট ভোল্টেজ এর থেকে পিছিয়ে থাকে। যেমনঃ ৯০ ডিগ্রী ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে বোঝায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাপেক্ষে ৯০ ডিগ্রী পিছিয়ে আছে।
যখন কোন সার্কিট রেজিস্টিভ সার্কিটের ন্যায় আচরন করে, তখন উক্ত সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এ অবস্থায় কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যে কোন কৌণিক ব্যবধান থাকেনা, অর্থাৎ কারেন্ট ও ভোল্টেজ ইনফেজে থাকে।
লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হল যখন কারেন্ট ভোল্টেজ এর থেকে এগিয়ে থাকে। যেমনঃ ৯০ ডিগ্রী লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে বোঝায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাপেক্ষে ৯০ ডিগ্রী এগিয়ে আছে।
ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হল যখন কারেন্ট ভোল্টেজ এর থেকে পিছিয়ে থাকে। যেমনঃ ৯০ ডিগ্রী ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে বোঝায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাপেক্ষে ৯০ ডিগ্রী পিছিয়ে আছে।
যখন কোন সার্কিট রেজিস্টিভ সার্কিটের ন্যায় আচরন করে, তখন উক্ত সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এ অবস্থায় কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যে কোন কৌণিক ব্যবধান থাকেনা, অর্থাৎ কারেন্ট ও ভোল্টেজ ইনফেজে থাকে।
যদি লোড Capacitive হয় তাহলে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয় আর যদি লোড Inductive হয় তাহলে পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হয়। লোড Resistive হলে পাওয়ার ফ্যাক্টর Unity হয়, অর্থাৎ ‘এক’ ।
৪.পাওয়ার ফ্যাক্টর কারেকশন কি এবং কিভাবে করা হয়?
পাওয়ার ফ্যাক্ট্রর Correction বলতে আমরা সহজে বুঝি কোন একটা সিস্টেমে Reactive পাওয়ার এর পরিমান কমিয়ে Active পাওয়ার এর পরিমান বাড়ানো। আমরা সাধারনত ক্যাপাসিটর ব্যাংক অথবা সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction ও improve করে থাকি। ইন্ডাস্ট্রিতে Capacitor Bank ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction করা হয়। আমরা এক যায়গায় বড় ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার না করে প্রত্যেক লোডে ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার করতে পারি। অথবা যে সব লোড লো পাওয়ার ফ্যাক্টর এর জন্য দায়ী সে সব লোড এর ব্যবহার কমিয়েও পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রভ করতে পারি।
পাওয়ার ফ্যাক্ট্রর Correction বলতে আমরা সহজে বুঝি কোন একটা সিস্টেমে Reactive পাওয়ার এর পরিমান কমিয়ে Active পাওয়ার এর পরিমান বাড়ানো। আমরা সাধারনত ক্যাপাসিটর ব্যাংক অথবা সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction ও improve করে থাকি। ইন্ডাস্ট্রিতে Capacitor Bank ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction করা হয়। আমরা এক যায়গায় বড় ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার না করে প্রত্যেক লোডে ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার করতে পারি। অথবা যে সব লোড লো পাওয়ার ফ্যাক্টর এর জন্য দায়ী সে সব লোড এর ব্যবহার কমিয়েও পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রভ করতে পারি।
৫. এসি সিরিজ সার্কিটে রেজোন্যান্স অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কত? কেন?
এসি সিরিজ সার্কিটে রেজোন্যান্স অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ইউনিটি বা 1 হয় ।
এসি সিরিজ সার্কিটে রেজোন্যান্স অবস্থায় ইন্ডাকটিভ রিয়াক্ট্যান্স (XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়াক্ট্যান্স (XC)সমান (XL = XC) হয়। এ অবস্থায় মোট ইম্পিড্যান্স Z = R+ J(XL-XC) = R হয়। তখন পাওয়ার ফ্যাক্টর, Cosθ= R/Z = R/R = 1 হয়। আবার θ = Cos–1 1 = 00হয় । এ থেকে বুঝা যায় রেজোন্যান্সের সময় সার্কিটের কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যে ফেজ কোন শুন্য হয় অর্থাৎ পাওয়ার ফ্যাক্টর ইউনিটি ( 1 )হয়।
এসি সিরিজ সার্কিটে রেজোন্যান্স অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ইউনিটি বা 1 হয় ।
এসি সিরিজ সার্কিটে রেজোন্যান্স অবস্থায় ইন্ডাকটিভ রিয়াক্ট্যান্স (XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়াক্ট্যান্স (XC)সমান (XL = XC) হয়। এ অবস্থায় মোট ইম্পিড্যান্স Z = R+ J(XL-XC) = R হয়। তখন পাওয়ার ফ্যাক্টর, Cosθ= R/Z = R/R = 1 হয়। আবার θ = Cos–1 1 = 00হয় । এ থেকে বুঝা যায় রেজোন্যান্সের সময় সার্কিটের কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যে ফেজ কোন শুন্য হয় অর্থাৎ পাওয়ার ফ্যাক্টর ইউনিটি ( 1 )হয়।
৬.পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে সিস্টেমে কি অশুবিধা হয়?
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে অনেক বেশি আয়তনের পরিবাহীর প্রয়জন হয়, লাইন লস বৃদ্ধি পাওয়ায় সিস্টেমের দক্ষতা কমে যায় , প্রাথমিক খরচ বেড়ে যায় তাই পার ইউনিট কষ্ট বেশি হয়।
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে অনেক বেশি আয়তনের পরিবাহীর প্রয়জন হয়, লাইন লস বৃদ্ধি পাওয়ায় সিস্টেমের দক্ষতা কমে যায় , প্রাথমিক খরচ বেড়ে যায় তাই পার ইউনিট কষ্ট বেশি হয়।
৭.অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টর কাকে বলে?
পাওার ফ্যাক্টর যে মানে উন্নিত করলে বাৎসরিক সর্বোচ্চ সাশ্রয় হয়, উক্ত পাওয়ার ফ্যাক্টরকে সর্বোত্তম পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
পাওার ফ্যাক্টর যে মানে উন্নিত করলে বাৎসরিক সর্বোচ্চ সাশ্রয় হয়, উক্ত পাওয়ার ফ্যাক্টরকে সর্বোত্তম পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
৮. অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টর এর সুত্রটি লিখ।
2 comments
awesome
Thanks @SujonBD
EmoticonEmoticon